ভারতের সুপ্রিম কোর্ট বলেছে যে আদানি গ্রুপকে বাজার নিয়ন্ত্রকের বর্তমান যাচাই-বাছাইয়ের বাইরে আরও তদন্তের মুখোমুখি হওয়ার দরকার নেই> এটি একটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র-ভিত্তিক শর্টসেলারের ভুল কাজের অভিযোগের দ্বারা কঠোরভাবে আঘাতপ্রাপ্ত সমষ্টির জন্য একটি বড় স্বস্তি>
সিকিউরিটিজ অ্যান্ড এক্সচেঞ্জ বোর্ড অফ ইন্ডিয়া (SEBI)আদানি গ্রুপের তদন্ত করছে যার নেতৃত্বে বিলিয়নেয়ার গৌতম আদানি হিন্ডেনবার্গ রিসার্চের পর জানুয়ারী 2023 সালে ট্যাক্স হেভেনগুলির অনুপযুক্ত ব্যবহার এবং গোষ্ঠী দ্বারা স্টক ম্যানিপুলেশনের অভিযোগ৷ আদানি গ্রুপ অভিযোগ অস্বীকার করেছে, কিন্তু হিন্ডেনবার্গের প্রতিবেদন এখনও তার স্টক মার্কেট মূল্য থেকে $ 150 বিলিয়ন কেটেছে।

যদিও সাম্প্রতিক মাসগুলিতে কিছু বিনিয়োগকারীদের আস্থা ফিরে এসেছে কারণ আদানি ব্যাঙ্কার এবং বিনিয়োগকারীদের সমর্থন জিতেছে, হিন্ডেনবার্গ রিপোর্ট এবং নিয়ন্ত্রক যাচাই-বাছাই গ্রুপের ব্যবসায়িক লেনদেনের উপর উপর গুরুত্ব দিয়েছে এবং খ্যাতি।
[the supreme court] যেটি জনস্বার্থ মামলার মামলার বিষয়ে রায় দিচ্ছিল যে বিষয়টি তদন্ত করার জন্য একটি বিশেষ তদন্ত দল চেয়েছিল, বুধবার বলেছে আদালতের কাছে তদন্ত স্থানান্তরের ক্ষমতা থাকা সত্বেও এই ধরনের পরিবর্তনের এই মামলার তথ্য নিশ্চিত করে না>৷

রায়টি ইঙ্গিত দেয় যে বর্তমান সেবি তদন্তের বাইরে আদানি গ্রুপের উপর নিয়ন্ত্রক বা আইনি ঝুঁকি বাড়বে না।

সেই দৃষ্টিভঙ্গির প্রতিফলন করে, আদানি গ্রুপের বিভিন্ন কোম্পানির শেয়ার বেড়েছে, আদানি এনার্জি সলিউশনস 9.1 শতাংশ, আদানি টোটাল গ্যাস 7.1 শতাংশ, আদানি গ্রিন এনার্জি 5.5 শতাংশ এবং ফ্ল্যাগশিপ ব্যবসা আদানি এন্টারপ্রাইজ 2.6 শতাংশ বেড়েছে, রয়টার্স নিউজ এজেন্সি জানিয়েছে>

শীর্ষ আদালত, যা SEBI তদন্তের তত্ত্বাবধান করছিল, এছাড়াও বলেছিল যে অফশোর তহবিলের জন্য দেশের প্রকাশের নিয়মে কোনও পরিবর্তনের আদেশ দেওয়ার দরকার নেই।
হিন্ডেনবার্গ অভিযোগ করেছিল যে আদানির অফশোর শেয়ারহোল্ডারদের কিছু SEBI নিয়ম লঙ্ঘনের জন্য ব্যবহার করা হয়েছিল, যদিও কোম্পানিটি সমস্ত আইন মেনে চলে।

সুপ্রিম কোর্টের রায়ের পরে, গৌতম আদানি এক্স, পূর্বে টুইটারে বলেছিলেন যে আদালতের রায় দেখায় যে সত্যের জয় হয়েছে এবং গোষ্ঠীটির “ভারতের বৃদ্ধির গল্পে অবদান অব্যাহত থাকবে”।

এই রায়ের পর বিশ্বব্যাপী বিনিয়োগকারীরা কোম্পানির শেয়ারে বিনিয়োগে আরও আস্থা পাবে, বলেছেন দেবেন চোকসি, কেআরচোকসি শেয়ারস অ্যান্ড সিকিউরিটিজ প্রাইভেট লিমিটেডের ব্যবস্থাপনা পরিচালক, একজন ব্রোকার৷

নিয়ন্ত্রক পূর্বে সুপ্রিম কোর্টকে জানিয়েছিল যে এটি তার তদন্তের ফলাফলের ভিত্তিতে যথাযথ ব্যবস্থা নেবে। বুধবার আদালত সেবিকে তদন্ত শেষ করার জন্য তিন মাস সময় দিয়েছে।

সুপ্রিম কোর্ট আরও বলেছে যে ভারতীয় কোম্পানিগুলির অফশোর বিনিয়োগকারীদের নিয়ন্ত্রণকারী বর্তমান নিয়মগুলিতে হস্তক্ষেপ করার প্রয়োজন নেই। SEBI জুন মাসে অস্বচ্ছ কর্পোরেট কাঠামোতে স্পষ্টতা আনতে প্রকাশগুলিকে আরও কঠোর করে সেই প্রবিধানগুলিকে কঠোর করেছে৷

ভারতের আইনের অধীনে, প্রতিটি কোম্পানির মূল্যের হেরফের এড়াতে পাবলিক শেয়ারহোল্ডারদের কাছে তার 25 শতাংশ শেয়ার থাকতে হবে, কিন্তু হিন্ডেনবার্গ অভিযোগ করেছে যে আদানির কিছু অফশোর শেয়ারহোল্ডার এই নিয়ম লঙ্ঘন করতে ব্যবহার করা হয়েছিল। আদানি বলেছে যে এটি সমস্ত আইন মেনে চলে।

বিদেশী পোর্টফোলিও প্রকাশের বিষয়ে SEBI-এর নিয়ন্ত্রক অবস্থানকে সমর্থন করার সময় আদালত বুধবার বলেছে, “প্রবিধানের বর্তমান আকারে পৌঁছানোর জন্য অনুসরণ করা পদ্ধতিটি অনিয়মের শিকার হয় না।