জেলার সুনামগঞ্জের নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলার বংশীকুন্ডা২নং দক্ষিণ ইউনিয়নের কাউয়ানী গ্রামের মৃত আলী নূরের ছেলে সাফেল মিয়া গেলো বৃহস্পতিবার সন্ধায় চলন্ত ট্রলার থেকে পড়ে গেলে অনেক খুঁজা খুজি করে শুক্রবার মধ্যনগর থানা পুলিশ ও এলাকাবাসীর সহযোগিতা তার মৃত দেহ উদ্ধার করা হয়। মৃত সাফেল মিয়া(১৮), পিতা- মৃত আলী নুর, সাং- কাউয়ানী, ০২ দক্ষিণ বংশীকুন্ডা ইউপি, থানা- মধ্যনগর গত ৩০/০৫/২০২৪ খ্রিঃ অনুমান ০৩.০০ ঘটিকায় তার একই গ্রামের বন্ধু সাগর মিয়াসহ সাগর মিয়ার একটি ইঞ্জিন চালিত ট্রলার যোগে বাজার করার জন্য বংশীকুন্ডা বাজারে যায়। উভয়ই লুঙ্গি ও শর্ট প্যান্ট কিনে ফেরার সময় নৌকায় তাদের একই গ্রামের ইমরান হোসেন (১৭) এবং জুবায়ের (১৯) কে সহ অনুমান ১৮.০০ ঘটিকায় রওয়ানা করে। ইমরান এসএসসি পাস করেছে, সে কলেজে ভর্তির অনলাইন ফরম পুরন করতে বাজারে গিয়েছিল, জুবায়েল সদাই-পাতি করতে হাটের নৌকায় পৃথকভাবে গিয়েছিল, ঐ দিন বৃহস্পতিবার হাট বার ছিল। নৌকা ফেরার সময় নৌকা চালক হিসেবে বৈঠার হাল ধরে ভিকটিম সাফেল, তখন সাগর মিয়া তাকে নিষেধ করেন তুমি পারবে না, নৌকার বৈঠায় সমস্যা আছে কিন্তু সে বলে পারবে। বাকি ৩ জন নৌকার সামনে গলুইয়ে বসে দুজন গল্প করে এবং ইমরান স্মার্ট ফোন টিপে। অনুমান ০৩ কিমি আসার পর মাগরিবের আগে মুহূর্তে সানিয়া গ্রামের পূর্বে মনাই নদীতে হঠাৎ একটি আওয়াজ হয় এবং নৌকা ঘুরে গেলে নৌকায় থাকা বাকি ০৩ জন দেখতে পায় নৌকা থেকে ভিকটিম পরে গেছে, তখন তারা সাথে সাথে পানিতে নেমে খোঁজা খুঁজি করে এবং তাদের আওয়াজে পাশের গ্রামের এবং সংবাদ ভিত্তিতে কাউয়ানী গ্রাম থেকে লোকজন বিভিন্ন ভাবে উদ্ধারের চেষ্টা করে। পরবর্তীতে অদ্য ৩১/০৫/২০২৪ তারিখ সকাল অনুমান ০৯.১৫ ঘটিকায় তার আত্মীয় ও স্থানীয় লোকজন রাম জালি দিয়ে তাকে উদ্ধার করে। নৌকায় থাকা সংগীয় তিন জনের কাছ থেকে জানা যায় ভিকটিমের পরনে জিন্স প্যান্ট পরিহিত পকেটে বাটন মোবাইল পাওয়া গিয়েছে, পরনের শার্ট পাওয়া যায়নি মধ্যনগর থানার প্রাথমিক তদন্তে ধারনা করা হচ্ছে, দুর্ঘটনার সময় ভিকটিম চলন্ত নৌকার ইঞ্জিনের পাখায় পরে গুরুতর আঘাত প্রাপ্ত হয়ে পানিতে নিমজ্জিত হয়ে যায়, তার মুখে, গলায় বুকে মারাত্মক কাটা অনেক জখম পরিলক্ষিত হচ্ছে, তারা ৩ ভাই, ০৩ বোন, বাবা ১৫ বছর পূর্বে মৃত্য হয়েছে। বড় ভাই বিবাহিত, মেঝো ভাই ঢাকা বিস্কুট ফ্যাক্টরিতে চাকরি করে, সংবাদ পেয়ে মাকে নিয়ে ঢাকা থেকে আসে। তিন বোন বিবাহিত। ভিকটিমদের মৃত্যু নিয়ে পরিবার ও নিকট আত্মীয় স্বজন কারো কোন অভিযোগ কিংবা সন্দেহ নেই। তারা বিনা ময়নাতদন্তে লাশ দাপন করতে যাচ্ছে, স্থানীয় চেয়ারম্যান ও মেম্বার, সাংবাদিক ভিকটিমের লাশ দেখেছে। মধ্যনগর থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা ওসি মোঃ এমরান হোসেন লাশ উদ্ধারের বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।