রিপন কান্তি গুণ, বিশেষ প্রতিনিধি নেত্রকোনা;
পবিত্র ঈদুল আজহাকে সামনে রেখে নেত্রকোনার বিভিন্ন উপজেলায় শেষ সময়ে জমে উঠেছে কোরবানির পশুর হাট। ক্রেতারা হাটে ঘুরে ঘুরে গরু, ছাগল, মহিষসহ বিভিন্ন কোরবানির পশু দেখছেন এবং দাম যাচাই করে কিনছেন। জেলার বিভিন্ন এলাকা থেকে বিভিন্ন বাজারে কোরবানির পশু নিয়ে এসেছেন ব্যাপারীরা।আজ (১৫ মে) শনিবার নেত্রকোনার বিভিন্ন গরুর হাট ঘুরে দেখা গেছে, হাটে প্রচুর পরিমানে গরু, ছাগল ও ভেড়া উঠছে। ক্রেতা-বিক্রেতারা জানান, সুন্দর পরিবেশে ও নিরাপদে কোরবানির পশু কেনাবেচা হচ্ছে।নেত্রকোনার কাইলাটি থেকে আসা গরু বিক্রেতা আওলাদ মিয়া জানান, এবার তিনি ৪টি গরু বাজারে তুলেছেন। সবচেয়ে বড় ষাঁড় গরুটির ওজন হবে প্রায় ১০ মণ দাম চাইছেন ২ লক্ষ ৮০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে ষাঁড়টির দাম উঠেছে ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা। তিনি বলেন, ষাঁড় গরুটির দাম ২ লক্ষ ৫০ হাজার টাকা উঠলে বিক্রি করবেন। এ বছর গোখাদ্যের দাম একটু বেশি হওয়ায় লাভের অঙ্কটাও একটু কম হবে বলে ধারণা করছেন তিনি। বারহাট্টা উপজেলা সদরের হাটে নওয়াগাঁও থেকে আসা গরু বিক্রেতা রফিকুল ইসলাম জানান, তার নিজের বাড়িতে পালিত ৭ মণ ওজনের ষাঁড়টির দাম চেয়েছেন ২ লক্ষ ৩০ হাজার টাকা। ইতিমধ্যে গরুটি তিনি ২ লক্ষ ১৫ হাজার টাকায় বিক্রি করেছেন।নেত্রকোনা সদরের হাটে গরু কিনতে আসা ক্রেতা সবুজ আকন্দ জানান, গত বাজারে গরুর দাম বেশি ছিল তাই কেনেনি। আজকের বাজারে গরুর দাম একটু কমেছে। তাই আজ গরু কেনার ইচ্ছে আছে।বারহাট্টা বজারের গরুর হাটে টিটু আকন্দ নামে অপর এক ক্রেতা জানান, গত বাজারের তুলনায় আজকের বাজারে গরুর দাম তুলনামূলক ভাবে কম। তাই ২ লক্ষ ২৫ হাজার টাকা দিয়ে বেশ ভাল একটা ষাঁড় কিনে ফেললাম।নেত্রকোনা সদরের গরুর হাটের ইজারাদার আবু মনসুর আহমেদ বলেন, নিরাপত্তার জন্য হাটে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে। ফলে ক্রেতা-বিক্রেতা শান্তিপূর্ণ পরিবেশে কেনাবেচা করছেন।জেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ মোহাম্মদ ওয়াহেদুল আলম বলেন, ‘প্রতিটি হাটের কোরবানির পশুর স্বাস্থ্য পরীক্ষার জন্য আমাদের মেডিকেল টিম কর্মরত রয়েছেন। কোনো অসুস্থ গরু কেউ যেন বিক্রি করতে না পারে, সে বিষয়ে আমাদের মেডিকেল টিম কাজ করে যাচ্ছে।’এদিকে পশুর হাটগুলোতে প্রশাসনের পক্ষ থেকেও প্রয়োজনীয় নিরাপত্তার ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।নেত্রকোনা সদরে কোরবানির পশুর হাট পরিদর্শন করেন নবনির্বাচিত নেত্রকোনা সদর উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান মারুফ হাসান খান (অভ্র), উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তানিয়া তাবাসসুম, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা (ভারপ্রাপ্ত) ডা.নুসরাত জাহান মুনা, নেত্রকোনা মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কালাম (পিপিএম) প্রমুখ।