ধর্মপাশা( সুনামগঞ্জ) প্রতিনিধিঃ সুনামগঞ্জের ধর্মপাশায় ২০২৩-২৪ অর্থ বছরের প্রথম পর্যায়ের কাবিখা ও কাবিটা বরাদ্দের হলিদাকান্দা গ্রামের দুইটি রাস্তার মাটি ভরাটের কাজের জন্য ২১ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছে। প্রকল্প দুইটির কাজ না করে উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোতালেব সরকার এর সহযোগিতায় ফাইনাল বিল তোলে আত্মসাৎ করেছেন প্রকল্প কমিটির সভাপতি ও সদস্য সচিবরা। এই নিয়ে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার বরাবর লিখিত অভিযোগ করেছেন হলিদাকান্দা গ্রামের জনগন। অভিযোগ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, প্রকল্প গুলো হলো, হলিদাকান্দা এলজিইডি রাস্তা হইতে ইসমাইলের বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাটের জন্য ১১ টন চাল, হলিদাকান্দা এলজিইডি রাস্তা হইতে লংকাপাতারিয়া করিম হাজির বাড়ি পর্যন্ত রাস্তার মাটি ভরাটের জন্য ১০ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল। সাবেক এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতনের কাছের লোকজনকে এই কাজের পিআইসি দেওয়া হয়। এলাকাবাসী জানতইনা এই গ্রামের উন্নয়ন এর জন্য ২১ টন চাল বরাদ্দ দেওয়া হয়েছিল।খোঁজ নিয়ে দেখা যায় এলাকাবাসী অভিযোগের সত্যতা পাওয়া যায়।
হলিদাকান্দা গ্রামের সাবেক ইউপি সদস্য আবুল কাসেম দেশবাংলা প্রতিদিনকে বলেন আমাদের গ্রামে দুইটি প্রকল্পে ২১ টন চাল সরকারি বরাদ্দ হয়েছিল, এক মাটিকাটা হয়নি, প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোতালিব সরকারের সহযোগিতায় প্রকল্প কমিটির সভাপতিরা টাকা আত্মসাৎ করেছে। পিআইও দুর্নীতিবাজ, মোটা আংকের টাকা দিলে কোন প্রকল্পের কাজ করতে হয় না, সে বিল দিয়ে দেয়, এই রকম আরো অনেক বিল কাজ না হলেও বিল দিয়েছে। এর সঠিক তদন্ত করে আইনের আওতায় আনতে হবে, আমরা এর আইন গত বিচার চাই।
প্রকল্প সভাপতি ইসমাইল হোসেন বলেন, পিআইও সাহেবের কথায় আমার বাবা মার গোরস্তানে ও আমার বাড়ির সামনে কিছু মাঠি ভরাট করেছি। পি আই ও অফিসকে মেনেজ করে টাকা উত্তোলন করেছে
প্রকল্প সভাপতি জিয়াউর রহমান বলেন, আমি কাজ করেছি। আমি আপনার সাথে দেখা করতে চাই, সব বুঝিয়ে বলবো।
ধর্মপাশা উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মোতালিব সরকার বলেন, আমার বিরুদ্ধে টাকা আত্মসাৎ এর বিষয়টি সত্যি নয়, এলাকা বাসী পারলে প্রমান করুক আমি এসবের পরোয়া করি না।
ধর্মপাশা উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইউএনও মোহাম্মদ গিয়াস উদ্দীন বলেন, এ বিষয়ে একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি, তদন্ত করে আইন গত ব্যবস্থা নেওয়া হবে।