রিপন কান্তি গুণ, বিশেষ প্রতিনিধি (নেত্রকোনা): নেত্রকোনার সীমান্তবর্তী উপজেলা কলমাকান্দায় সেনাবাহিনী ও পুলিশের যৌথ অভিযানে চোরাই পথে আনা ভারতীয় কম্বল ও সিগারেটের ফিল্টার জব্দ করা হয়েছে। যার আনুমানিক সাড়ে ১৭ লক্ষ টাকা।
গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত রাতে উপজেলার রংছাতি মুন্সিপুর গ্রামের ইউনিয়ন ছাত্রদলের সভাপতি মো. এরশাদূর রহমানের গুদাম ঘরে যৌথ বাহিনী অভিযান চালিয়ে এসব মালামাল জব্দ করে। তবে এ অভিযানে কাউকে আটক করা যায়নি।
নেত্রকোনার কলমাকান্দা সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন আসিফ প্রামাণিক নুহাশ বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন।
এসব তথ্য নিশ্চিত করে নেত্রকোনা জেলায় দায়িত্বরত ৮ ইস্ট বেঙ্গল রেজিমেন্ট এর মেজর জিসানুল হায়দার সাংবাদিকদের কাছে প্রেরিত এক প্রেস বিজ্ঞপ্তিতে জানান, গোপন সংবাদের ভিত্তিতে নেত্রকোনার কলমাকান্দা সেনাবাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের কমান্ডার ক্যাপ্টেন আসিফ প্রামাণিক নুহাশ এর নেতৃত্বে যৌথ বাহিনীর একটি টিম মঙ্গলবার রাতে কলমাকান্দা উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের মুন্সিপুর এলাকার মোঃ এরশাদুর রহমানের গোডাউনে অভিযান চালায়। অভিযানে যৌথ বাহিনী গোডাউন থেকে চোরাই পথে আনা (২২১টি ডাবল এবং ১১০টি সিংগেল) ভারতীয় কম্বল জব্দ করে। যার আনুমানিক মূল্য ১০ লক্ষ ৪৮ হাজার ৫ শত টাকা। এছাড়াও গোডাউন থেকে চোরাই পথে আনা ১ লক্ষ ৪০ হাজার পিস সিগারেট এর ফিল্টার জব্দ করে। যার আনুমানিক মূল্য ৭ লক্ষ টাকা। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর উপস্থিতি টের পেরে গুদামে থাকা লোকজন পালিয়ে যায়। ফলে এ অভিযানে কাউকে আটক করা সম্ভব হয়নি।
তিনি আরো জানান, গোডাউনের মালিক মো. এরশাদুর রহমানের বাড়ি উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের মুন্সিপুর গ্রামে। তিনি উপজেলার রংছাতি ইউনিয়নের ছাত্রদলের সভাপতি।
কলমাকান্দা উপজেলা ছাত্রদলের সিনিয়র যুগ্ম আহ্বায়ক ইশতিয়াক হাসান সৌরভ অভিযুক্ত এরশাদুর রহমানের দলীয় পদের বিষয়টি নিশ্চিত করে বলেন, আমরাও ঘটনাটি শুনেছি। ছাত্রদলের কোনো নেতা কিংবা কর্মী কোনো ধরনের অপকর্ম করলে তাদের বিরুদ্ধে দলীয় সিদ্ধান্ত জিরো টলারেন্স। অভিযুক্ত ছাত্রদল নেতার বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নেওয়া হচ্ছে।
কমান্ডার ক্যাপ্টেন আসিফ প্রামাণিক নুহাশ জানান, চোরাই পথে আনা জব্দকৃত ভারতীয় মালামাল নেত্রকোনা-৩১ বিজিবির কাছে হস্তান্তর করা হবে।