রংপুর মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামু’র বিরুদ্ধে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ সংক্রান্ত একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরালের ঘটনাকে কেন্দ্র করে তোলপাড় শুরু হয়েছে। এ ঘটনাকে কেন্দ্র করে সোমবার বিএনপি’র দলীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলন করে মহানগর আহ্বায়ক সামু সাংবাদিকদের জানান, একটি পক্ষ তার বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্র করছে। ওদিকে বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনের পর দলের অভ্যন্তরে একে অপরের বিরুদ্ধে বিষোদগার করে ব্যাপক সমালোচনার সৃষ্টি হয়েছে। সংবাদ সম্মেলনে সামু বলেন, বিএনপি নেতা কাওছার জামান বাবলা আওয়ামী লীগের লোকজনকে শেল্টার দেওয়ার জন্য কেন চেষ্টা করছে।
তিনি আরও বলেন, মটর মালিক সমিতির জনৈক নেতার সাথে বিএনপি’র কয়েকজন নেতা বৈঠক করেছে। ওই সমিতিতে যেন সাধারন সদস্যরা নির্বাচিত হতে না পারে সেই চেষ্টা করা হচ্ছে। এছাড়া মটর শ্রমিক ইউনিয়নে বিএনপি’র ত্যাগী কর্মীরা যেন নির্বাচিত হতে না পারে। চক্রান্ত যতই হোক, আমাদের জয় নিশ্চিত হবে। যারা আমার বিরুদ্ধে গণমাধ্যমে বক্তব্য দিয়েছে তাদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক ব্যবস্থা নিতে দলের চেয়ারম্যান বরাবর লিখিত অভিযোগ দেওয়া হবে। সংবাদ সম্মেলনে, জেলা যুবদলের সভাপতি নাজমুল আলম নাজুসহ মহানগর বিএনপি’র তার সমর্থিত নেতাকর্মী উপস্থিত ছিলেন। উল্লেখ্য বৈষম্য বিরোধী আন্দোলনে আহতকে দিয়ে নিরীহদের আসামী করে মামলা বাণিজ্যের অভিযোগ উঠেছে রংপুর মহানগর বিএনপি আহ্বায়কের বিরুদ্ধে। এনিয়ে একটি ভিডিও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ভাইরাল হয়েছে। ওই ভিডিওতে মহানগর বিএনপি’র অন্যতম সদস্য কাওছার জামান বাবলার সাথে বাদী মামুনের একটি কথোপকথনে মামুনকে বলতে শোনা যায়, তিনি আড়াই মাস আগে মামলার জন্য মহানগর বিএনপি’র আহ্বায়ক সামসুজ্জামান সামুকে আওয়ামী লীগ ও অঙ্গসংগঠনের ২৫ জনের নাম দিয়েছিলেন। এরপর আড়াই মাসেও মামলা না হলে বিলম্বের কারণ জানতে চেয়ে ফোন করলে বিএনপি নেতা সামু মামলার জন্য অপেক্ষা করতে বলেন। এরপর গত ১০ নভেম্বর মামুনকে ডেকে এজাহারে সই নেন সামসুজ্জামান সামু। মামলায় এত ব্যক্তির নাম কেন মামুন জিজ্ঞাসা করলে সামু জানান পরে ঠিক হয়ে যাবে। এ সংক্রান্ত ভিডিওটি সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ছড়িয়ে পড়লে তা ব্যাপক ভাইরাল হয়। দেশের পরিবর্তিত পরিস্থিতিতে বিএনপি নেতার এমন কর্মকান্ডে বিব্রতবোধ করেন।