মনোয়ার বাব, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
দিনাজপুরের ঘোড়াঘাটে পালশা ইউনিয়নের আরাফাত হোসেন, আলতাফ হোসেন, আফাজ উদ্দিনসহ আরও কয়েক ব্যক্তির বিরুদ্ধে সরকারি খাস পুকুর দখল করে মাছ চাষের অভিযোগ পাওয়া উঠেছে। ওই পুকুরে তারা মাছ চাষ করে বিক্রিও করেছেন বলে জানা গেছে। এদিকে উপজেলা প্রসাশনের পক্ষ থেকে সরকারি স্বার্থ রক্ষা ও বিধি মোতাবেক পুকুরটি ইজারা নেওয়ার জন্য বললেও জৈনিক ব্যক্তিরা না অজুহাতে পাশ কেটে যেত।রবিবার (১৮ নভেম্বর) উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল আল মামুন কাওসারের নেতৃত্ব পালশা ইউনিয়নের সোনারপাড়ায় গিয়ে ওই পুকুরে মাছ ধরা হয়। পরে বিকাল ৪টায় মাছ গুলো বিক্রির সিন্ধান্ত নেওয়া হয়।উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট আব্দুল আল মামুন কাওসার জানান, ৮ মন মাছ ধরা হয়েছে। মাছ গুলো বিক্রি করে সরকারি কোষাগারে জমা দেওয়ার সিন্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
তিনি আরও জানান, ওই পুকুরের জলকর আনুমানিক ২ একর। যার মধ্যে এক একর সরকারি খাস সম্পত্তি। বাকি এক একর জলকর ব্যক্তি মালিকানা। এই সুযোগে জৈনিক ব্যক্তিরা দুই একরের ওই পুকুর ভোগদখল করে মাছ চাষ করতো। তাঁদেরকে বাকি এক একর সরকারি খাস পুকুরটি বার বার ইজারা নিতে বললে আইনি জটিলতা দেখিয়ে পাশ কেটে যেত। তাই আজ উপজেলা প্রসাশনের সিদ্ধান্তে ওই পুকুরের মাছ ধরা হয়েছে। সেই সাথে তাদেরকে ইজারা না নেওয়া পর্যন্ত মাছ ধরা ও ছাড়ার ব্যাপার নিষেধ করা হয়েছে।