মনোয়ার বাবু, ঘোড়াঘাট (দিনাজপুর) প্রতিনিধিঃ
বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন বলেন, শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমান স্বাধীন বাংলাদেশে প্রথম বৈষম্যের শিকার হয়েছিলেন। তাঁকে আর্মির চীফ করা হয়নি। অথচ ওনার জুনিয়র অফিসারকে আর্মির চীফ করা হয়েছিল। বৈষম্যের শুরু হয়েছিল শহীদ জিয়াকে দিয়ে। কিন্তু বিএনপি কোনো ধরনের বৈষম্য বা বিভাজনে বিশ্বাস করে না। এ কারণেই শহীদ জিয়া দিয়ে গেছেন বাংলাদেশি জাতীয়তাবাদ। শুক্রবার (২২ নভেম্বর) বিকাল সাড়ে ৪ টায় দিনাজপুরের ঘোড়াঘাট উপজেলার রাণীগঞ্জ সরকারী স্কুল এন্ড কলেজ মাটে কারাবরণকৃত নেতা-কর্মীদের সাথে মত বিনিময় সভায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।এসময় ২৩ থেকে ২৪ সালে বিগত সরকারের শাসনামলে পৌর সভার ৪১ জন ও উপজেলার ৭১ জন কারাবরণ কারী বিএনপির অঙ্গ ও সহযোগী সংগঠনের নেতাকর্মীদের মাঝে উপহার সামগ্রী তুলে দেওয়া হয়।জাহিদ হোসেন বলেন, ১৭ বছরে সবাই ক্ষতিগ্রস্ত। বেগম খালেদা জিয়া ছয় বছর জেল খেটেছেন। একটা মিথ্যা ভূয়া মামলায়। আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের রায় নিয়ে এখনো বিদেশের মাটিতে আছে। আরাফাত রহমান কোকো প্রায় বিনা চিকিৎসায় মারা গেছেন, আমার ভাই ইলিয়াস আলী কোথায় আছেন জানিনা। কাজেই সব কিছু বিবেচনা করলে আমরা সবাই কষ্ট করেছি আপনারাও কষ্ট করেছেন। সবাই কে মনে রাখতে হবে, ঠিক ৭ নভেম্বর ১৯৭৫ শহীদ জিয়ার উপর কেন সাধারণ মানুষ আস্থা রেখেছিল! কারণ তাঁর কর্মের কারণে। তিনি স্বাধীনতার ঘোষণা দিয়েছিলেন, অস্ত্র হাতে যুদ্ধ করেছিলেন এবং দেশ হানাদার মুক্ত করে আবার ব্যারাকে ফেরত গিয়েছিলেন। কত সুশৃঙ্খলা একটা মানুষ। আপনারা আমরাতো তাঁরই উত্তরাধিকারী।তিনি আরও বলেন, বিএনপি একটা পরিবার। আপনারা কখনো কেউ ভাববেন না যে আপনার পাশে কেউ নেই। আপনার পাশে আল্লাহ আছেন আর বিএনপি পরিবার আছে। যে কোন সংকটময় পরিস্থিতিতে আমরা একে অপরের পাশে দাঁড়াবো। তাহলেই কেবল কষ্টটা কমবে। আলোচনা সভায় পৌর বিএনপির সভাপতি আব্দুস সাত্তার মিলনের সঞ্চালনায় ও উপজেলা বিএনপির সভাপতি শাহ্ মো. শামীম হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, বিএনপির জাতীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য সৈয়দ জাহাঙ্গীর আলম, দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন বুলবুল,জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক বখতিয়ার আহম্মেদ কচি, জেলা বিএনপির সহ-সভাপতি আতিকুর রহমান রাজা সহ প্রমুখ।