বিরামপুর (দিনাজপুর) প্রতিনিধি- শস্য ভাণ্ডার খ্যাত দিনাজপুরে এবার আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। দিনাজপুরের বিরামপুরে আগাম জাতের আলু তুলতে শুরু করেছে চাষিরা। আবহাওয়া ভালো থাকায় এবার কম উৎপাদন খরচে আলুর বাম্পার ফলন ও বাজারে ভালো দাম পাওয়ায় কৃষকরা আগাম জাতের আলু চাষ করে লাভের মুখ দেখছেন।উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, বিরামপুর উপজেলায় ২ হাজার ৮০০শ হেক্টর জমিতে আলু চাষ হচ্ছে। এর মধ্যে আগাম জাতের আলু চাষ হয়েছে ১ হাজার ৫০০শ হেক্টর জমিতে। এবার আগাম জাতের আলু হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ১৭ মেট্রিক টন।পৌর শহরের মামুদপুর গ্রামের কৃষক মুশফিকুর বলেন, এবার আগাম জাতের আলু লাগিয়েছি দেড় বিঘা জমিতে মাত্র ৫৫ দিন পরে খেত থেকে নুতন আলু তুলতে শুরু করেছি। আলুর ফলন বেশ ভালো হয়েছে। এবার আবহওয়া ভালো থাকায় কীটনাশক স্প্রে করতে হয়নি। দেড় বিঘা জমিতে আলুর উৎপাদন খরচ হয়েছে ৩০ হাজার টাকা। দেড় বিঘা জমিতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়েও প্রায় দুই লাখ টাকা লাভ হবে আশা করছি।
কৃষক আপেল বলেন, আমি তিন বিঘা জমিতে আগাম জাতের আলু লাগিয়েছি ইতি মধ্যে প্রায় ১০ কাটা জমির আলু খেত থেকে তুলতে শুরু করেছি। তিন বিঘা জমিতে আমার খরচ হয়েছে প্রায় ১ লাখ টাকার মত।আলু যে হারে এবার ফলন হয়েছে তাতে উৎপাদন খরচ বাদ দিয়ে তিন থেকে সাড়ে তিন লাখ টাকা লাভ হবে।গতবছর আলুর দামটা কম ছিলো উৎপাদন খরচটা বেশি ছিলো এবার আলুর বাজার ভালো আবার ফলন ভালো হয়েছে তাই এবার লাভ একটু বেশি হচ্ছে।উপসহকারী কৃষি কর্মকর্তা শামীমা আক্তার বলেন, কৃষকরা ফসলের মাঠ থেকে আগাম জাতের আলু উত্তলন শুরু করেছে। আলু চাষিদের কৃষি অফিস থেকে সবধরনের সহযোগিতা ও পরামর্শ দেওয়া হয়েছে। কৃষকরা বর্তমান বাজারে আলু দাম বেশ ভালো পাচ্ছে। এর পরের মৌসুমে আগাম জাতাতে আলু লাগানোর জন্য কৃষকদের উদ্বুদ্ধ হচ্ছে। উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কমল কৃষ্ণ রায় বলেন, আগাম জাতের আলু চাষিরা ৫৫ থেকে ৬০ দিনে ফসল উত্তোলনের পর আবার তার ভুট্টা ও বোর ধান লাগাবে। আগে ধান কেটে জমি ফেলে রাখতেন কৃষকরা এখন ৩টি ফসল উৎপাদন করছে কৃষকরা। এবার আগাম জাতের আলু হেক্টর প্রতি ফলন হয়েছে ১৭ মেট্রিক টন।বাজারে আলু দাম ভালো থাকায় আগাম জাতের আলু চাষ করে কৃষকরা লাভবান হচ্ছে।