গাইবান্ধার হরিণাবাড়ি কলেজে ভূয়া নিয়োগ দিয়ে বেতন-ভাতা উত্তোলন করছেন ইসলামী শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক আনোয়ারুল ইসলাম। গাইবান্ধার পলাশবাড়ি উপজেলায় হরিণাবাড়ি কলেজের ইসলামী শিক্ষা বিভাগের প্রভাষক আনোয়ারুল ইসলাম ভূয়া নিয়োগ নিয়ে অবৈধভাবে মাসের পর মাস সরকারি বেতন-ভাতার অংশ উত্তোলন করছেন বলে অভিযোগ উঠেছে। কলেজ কর্তৃপক্ষ বিষয়টি নিয়ে নীরব ভূমিকা পালন করছেন। ১৯৯৯ সালে কলেজটি পলাশবাড়ি উপজেলা সদর হতে প্রায় ২০ কিলোমিটার পশ্চিম দক্ষিণ অঞ্চলে প্রত্যন্ত প্রান্তে প্রতিষ্ঠিত হয়। বর্তমানে কলেজে ছাত্র/ছাত্রীর সংখ্যা ৫ শতাধিক। শিক্ষক-কর্মচারীর সংখ্যা ৩৯ জন। ২১টি বিষয়ে অনুমোদন রয়েছে। প্রতিষ্ঠা লগ্ন থেকে কলেজটি সুষ্ঠু সুন্দরভাবে পরিচালিত হয়ে আসছে। পরীক্ষার ফলাফলও ভালো বলে জানা যায়। কলেজটিতে শিক্ষা মন্ত্রণালয় কর্তৃক ২১টি বিষয়ে অনুমোদন থাকলেও ইসলামী শিক্ষা বিষয়ে অনুমোদন না নিয়ে ভূয়া কাগজপত্র দেখিয়ে এমপিওভূক্ত করা হয়। যা আইনের পরিপন্থী।
উল্লেখ থাকে যে, ওই প্রভাষক মো. আনোয়ারুল ইসলাম গত ৫ অক্টোবর ২০২৪ সালে বকেয়া বেতন-ভাতার জন্য কলেজ ই-মেইল থেকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আঞ্চলিক কার্যালয় রংপুরে কাগজপত্র প্রেরণ করেন। উক্ত কাগজপত্রে কলেজের সাবেক অধ্যক্ষ মো. আব্দুর রশিদ সরকারের সীল স্বাক্ষর ছিল। এ বিষয়ে সাবেক অধ্যক্ষ আব্দুর রশিদের কাছে মুঠোফোনে বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করলে তিনি জানান, আমি গত ৩১ জুলাই ২০২৪ সালে অবসর গ্রহণ করি। অতএব গত ৫ অক্টোবর ২০২৪ তারিখ সম্বলিত স্বাক্ষর আমার নয়। উক্ত শিক্ষক ও ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নানের যোগসাজসে বেতন-ভাতা উত্তোলনের বিষয়ে নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক শিক্ষক-কর্মচারী বলেন, ওই শিক্ষকের বেতন-ভাতা ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ ভাগাভাগি করে নিচ্ছেন।
এ ব্যাপারে ইসলামী শিক্ষা বিষয়ের প্রভাষক মো. আনোয়ারুল ইসলামের কাছে বিষয়টি জানতে চাইলে তিনি কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি। ভারপ্রাপ্ত অধ্যক্ষ আব্দুল মান্নান বলেন, চলতি বছরের ১ আগস্ট আমি দায়িত্বভার গ্রহণ করি। সাবেক অধ্যক্ষ এই ভূয়া নিয়োগ দিয়েছে। ভূয়া নিয়োগ জেনেও আপনি বেতন-ভাতা দিচ্ছেন কেন প্রশ্ন করলে তিনি প্রতিবেদককে জানান, সভাপতি মহোদয়কে বিষয়টি অবগত করেছি। গভর্ণিং বডির সিদ্ধান্ত চুড়ান্ত বলে বিবেচিত হবে। অত্র কলেজের গভর্ণিং বডির (এডহক) সভাপতি ও পলাশবাড়ি উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. কামরুল হাসান বলেন, তদন্ত সাপেক্ষে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।