ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রভোস্ট কাউন্সিলের ১৪০ তম সভায় মাধ্যমে সদ্য ঘোষিত সান্ধ্য আইন সম্পর্কে গভীর উদ্বেগ ও ক্ষোভ প্রকাশ করেছে বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ।
উক্ত আইনে ছাত্রদের জন্য রাত ১১ টার মধ্যে ছেলেদের হলগেট বন্ধ করে দেয়া হবে এবং ছাত্রীদের মাগরিবের নামাজের ১৫ মিনিটের মধ্যে হল বন্ধ করার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। এই আইন শিক্ষার্থীদের মৌলিক স্বাধীনতা ও তাদের জীবনযাত্রাকে সীমাবদ্ধ করার আশঙ্কা সৃষ্টি করেছে।
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের সভাপতি মাহমুদুল হাসান এবং সাধারণ সম্পাদক নুর আলম এক যৌথ বিবৃতিতে বলেন, “বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন সব সময় শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা এবং অধিকার রক্ষায় কাজ করে আসছে। কোনো ধরনের শৃঙ্খলা বা নীতির নামে শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতা হরণের সিদ্ধান্ত গ্রহণ কোনোভাবেই সমর্থনযোগ্য নয়। একটি বিশ্ববিদ্যালয় যাতে শিক্ষার্থীদের স্বাধীন চিন্তা, মতপ্রকাশ এবং নিজেদের জীবনযাত্রা পরিচালনা করতে পারে, সে ধরনের পরিবেশ তৈরি করা উচিত। তবে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সদ্য ঘোষিত সন্ধ্যা আইন শিক্ষার্থীদের স্বাধীনতাকে সংকুচিত করবে এবং একটি অস্বস্তিকর পরিস্থিতি সৃষ্টি করবে।”
তারা আরও বলেন, “আমরা বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনকে অনুরোধ জানাই, দ্রুত সময়ের মধ্যে এই আইন বাতিল করতে হবে এবং শিক্ষার্থীদের মতামত ও স্বার্থের প্রতি আরও যত্নবান হতে হবে। বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ আগামী দিনে এই আইন বাতিলের দাবিতে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের বিরুদ্ধে সব ধরনের শান্তিপূর্ণ আন্দোলন ও প্রতিবাদ অব্যাহত রাখবে।”
বাংলাদেশ ছাত্র ইউনিয়ন ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয় সংসদ সংশ্লিষ্ট সকলকে অনুরোধ জানাচ্ছে, যেন তারা এই বিষয়ে আরও সচেতন থাকে এবং শিক্ষার্থীদের অধিকার রক্ষায় একসঙ্গে কাজ করে।
উল্লেখ্য, গত ২১ ডিসেম্বর ২০২৪, শনিবার অনুষ্ঠিত ১৪০ তম প্রভোস্ট কাউন্সিলের সাধারণ সভায় উঠে আসা তিন নাম্বার প্রস্তাবে ছাত্র ও ছাত্রীদের হলে রাতে প্রবেশের সময় নির্ধারণ প্রসঙ্গে এ সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়। এতে বলা হয়, ছাত্রদের প্রতিটি হলে রাত ১১ (এগারো) টার মধ্যে শিক্ষার্থী প্রবেশ বাধ্যতামূলক। আর ছাত্রীদের হলে মাগরিবের আজান হওয়ার ১৫ (পনেরো) মিনিটের মধ্যে প্রবেশ বাধ্যতামূলক। শিক্ষার্থীদের স্ব-স্ব হল ব্যতিরেকে জন্য হলে অবস্থান নিষিদ্ধ।