সুনামগঞ্জের হাওর বেষ্টিত অপরূপ প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে ঘেরা বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী এলাকা নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলার মধ্যনগর বাজার হতে উত্তরে ভারত সীমান্ত বর্তী বংশকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের শেষ সীমানা মহিষখলা পর্যন্ত সড়কটির বেহাল দশা।এই রাস্তাটি দিয়ে প্রতিদিন হাজার হাজার মানুষ আসা যাওয়া করে, অথচ উপজেলার সবচয়ে গুরত্বপূর্ণ সড়কটি ইট বিছানো,এমনিতেই ভাঙাচোরা, আর এ বছর বন্যায় আরো ক্ষতিগ্রস্থ হয়েছে সড়কটি। দুই পাশে হাওর থাকায় ঢেউয়ের তোড়ে কোথাও কোথাও সড়ক ভেঙে বিলীন হয়ে গেছে হাওরে। ছড়িয়ে ছিটিয়ে আছে সড়কের ইট। সেতু, কালভার্টের উভয় পাশ থেকে সরে গেছে মাটি। এ চিত্র সুনামগঞ্জের নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলার মধ্যনগর-মহিষখলা সড়কের।
উপজেলার বংশীকুন্ডা উত্তর, বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ও চামরদানি ইউনিয়নের জনগণকে এলজিইডির এ সড়ক ব্যবহার করে মধ্যনগর উপজেলা সদরে যোগাযোগ করতে হয়। মধ্যনগর থেকে মহিষখলার দূরত্ব প্রায় ২০ কিলোমিটার। ওই তিনটি ইউনিয়নের জনগণ ছাড়াও পার্শ্ববর্তী তাহিরপুর উপজেলার হাজারও মানুষ চলাচল করে এ সড়ক দিয়ে।
দীর্ঘদিন ধরে সংস্কার না হওয়ায় সুনামগঞ্জের মধ্যনগর উপজেলার গুরুত্বপূর্ণ এ রাস্তাটির অবস্থা বেহাল। এতে চলাচলে চরম ভোগান্তিতে পড়েছে উপজেলার লক্ষাধিক মানুষ। দূর-দূরান্তের যাত্রীরা জীবনের ঝুঁকি নিয়ে ভাঙাচোরা এই রাস্তা দিয়ে মোটর সাইকেলে করে চলাচল করতে বাধ্য হচ্ছে।
জানা যায়, ২০১০-১১ অর্থবছরে স্থানীয় সরকার প্রকৌশল অধিদপ্তরের (এলজিইডি) আওতায় মধ্যনগর-মহেষখলা ১২ কিলোমিটার রাস্তা নির্মাণ করা হয়। নির্মাণকালে হাওরের ঢেউয়ের কারণে সৃষ্ট ভাঙন ঠেকাতে পাকা ব্লকের পরিবর্তে জিও ব্যাগভর্তি বালুর বস্তা দেওয়া হয়, যা নির্মাণের কয়েক বছরের মধ্যে ঢেউয়ের আঘাতে ধসে পড়ে।
বংশীকুন্ডা উত্তর ইউনিয়নের কালাগড় গ্রামের বাসিন্দা শফিকুল ইসলাম সবুজ বলেন, ‘মধ্যনগরবাসীর দীর্ঘদিনের স্বপ্ন মধ্যনগর উপজেলা বাস্তবায়ন হয়েছে। এই রাস্তাটি উপজেলার সবচেয়ে জনগুরুত্বপূর্ণ রাস্তা।এটি জনচলাচলের উপযোগী নয়।যার দরুন সীমান্তবর্তী এলাকা মহিষখলা থেকে উপজেলা কেন্দ্রীক সেবা গ্রহন করতে মধ্যনগর যাওয়া দূর্ভোগে পড়তে হয়। তাই অনতিবিলম্বে রাস্তাটি পূণঃ নির্মাণ করা প্রয়োজন।
মধ্যনগর ও ধর্মপাশা উপজেলা এলজিইডি’র প্রকৌশলী শাহাব উদ্দিন জানান, ‘গুরুত্বপূর্ণ এই সড়কটি পূণঃ নির্মাণের জন্য ডিজাইন প্রস্তুত করা হচ্ছে। অতি দ্রুত প্রাক্কালন তৈরি করে টেন্ডারে যাবে।’ আশাকরা যায় এই অর্থ বছরেই পূণঃনির্মাণ কাজ শুরু হবে।
উপজেলার চামারদানী ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান আলমগীর খসরু বলেন, ‘মধ্যনগর উপজেলার সর্বাধিক গুরুত্বপূর্ণ এই সড়ক মেরামত করা হলে চারটি ইউনিয়নের মানুষের চলমান দুর্দশা লাঘব হবে।
মধ্যনগর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা নাহিদ হাসান খান বলেন, ‘যাত্রাপথে মানুষকে এই রাস্তা দিয়ে চলাচল করতে অসহনীয় দুর্ভোগ পোহাতে হয়। দ্রুত ব্যবস্থা নিতে এলজিইডি কর্তৃপক্ষের সঙ্গে কথা বলা হবে।