সুনামগঞ্জের নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলায় শতবর্ষে হাওরের বাতিঘর উত্তরে দাঁড়িয়ে মেঘালয় পাহাড়। চারদিকে হাওরের পর হাওর। বর্ষায় তাতে বিস্তীর্ণ জলরাশি। হেমন্তে অন্যরূপ– খাঁ খাঁ পথপ্রান্তর। বসন্তে দিগন্ত-বিস্তৃত সবুজ মাঠ। বৈশাখে সোনালি ফসল। প্রকৃতি এমন নিপুণ করে সাজালেও হাওরের পরতে পরতে লুকিয়ে আছে দুঃখগাথা। তারই মাঝে সগৌরবে মাথা উঁচু করে দাঁড়িয়ে শতবর্ষী মধ্যনগর বিশ্বেশ্বরী পাবলিক উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ। হাওরাঞ্চলের আলোর বাতিঘর। শতবর্ষপূর্তি উৎসব ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে বাধঁভাঙা উচ্ছাসে মেতে উঠেছিল সুনামগঞ্জের মধ্যনগর বিপি স্কুল অ্যান্ড কলেজের প্রাক্তন শিক্ষার্থী ও মধ্যনগরের বিভিন্ন শ্রেনী-পেশার মানুষ। গতকাল শুক্রবার(১০ জানুয়ারী) নানা আয়োজনের মধ্যদিয়ে বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে শতবার্ষি অনুষ্ঠান উদযাপন করা হয়।এ উপলক্ষে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানকে সাজানো হয় বর্ণিল সাজে। পুরাতন ছাত্র-ছাত্রী ও নবাগতদের পদচারণায় বিদ্যালয় প্রাঙ্গণে মিলন মেলায় পরিণত হয়। শতবর্ষপূর্তি উৎসব ও পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানের শুভ সুচনা লগ্নে জাতীয় সংগীত পরিবেশনা ও জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মধ্যদিয়ে উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের পর্ব শুরু হয়।অনুষ্ঠানে প্রধান অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন মধ্যনগরের কৃতিসন্তান ওই বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন শিক্ষার্থী এবং অন্তবর্তীকালীন সরকারের প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উপদেষ্টা অধ্যাপক ডা. বিধান রঞ্জন রায় পোদ্দার।আমন্ত্রিত অথিতি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন সুনামগঞ্জের জেলা প্রশাসক ড. ইলিয়াস মিয়া, পুলিশ সুপার আ. ফ. ম. আনোয়ার হোসেন খান,মধ্যনগরের উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা(ইউএনও) ও উক্ত প্রতিষ্ঠানের গভর্নিং বডির সভাপতি উজ্জ্বল রায়।শতবর্ষ পূর্তি উৎসব উদযাপন পরিষদের আহ্বায়ক ও বিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষক বসন্ত কুমার বিশ্বাসের সভাপতিত্বে ও প্রাক্তন শিক্ষার্থী দেলোয়ার হোসেন বাবুর সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ওই বিদ্যাপীঠের প্রাক্তন শিক্ষার্থী বাংলাদেশ পানি উন্নয়ন বোর্ড এর উত্তর পূর্বাঞ্চলীয় প্রধান প্রকৌশলী খুশী মোহন সরকার, সিলেট শিক্ষা বোর্ড এর প্রাক্তন চেয়ারম্যান ড.রমা বিজয় সরকার,বাংলাদেশ ব্যাংকের সাবেক পরিচালক গোলাম হায়দার প্রমূখ।
ঐতিহ্যবাহীএ বিদ্যাপীঠের অধ্যক্ষ ও শতবর্ষপূর্তি উৎসব উদযাপন পরিষদের সদস্য সচিব বিজন কুমার তালুকদার বলেন, অনুষ্ঠান ঘিরে সবার মাঝে ব্যাপক উৎসাহ-উদ্দীপনা ছিল। তবে এ প্রতিষ্ঠানের প্রাক্তন শিক্ষার্থী প্রধান অতিথি হিসেবে অংশগ্রহণের বিষয়টি ছিল আমাদের জন্য অনন্য অনুভূতি।