বিল্লাল আহমেদ লাখাই হবিগঞ্জ প্রতিনিধি :
লাখাই উপজেলায় ইসলাম দরদী ইনসাফ কমিটির ুউদ্যোগে৷ প্রাণপ্রিয় নবীজীর অবমামননাকারীদের ফাঁসির দাবীতে সমাবেশ করেছে ইনসাফ কায়িমকারী ছাত্র,শ্রমিক,জনতা। আজ ১২ই রজবুল হারাম শরীফ, ১৪৪৬ হিজরী,১৩ জানুয়ারী ২০২৫ ইংরেজি ইছনাইনিল আযীম (সোমবার) সকাল ১১ ঘটিকায় হবিগঞ্জের লাখাই উপজেলায় এক প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়।
উক্ত প্রতিবাদ সমাবেশে বক্তাগণ বলেন, “খালিক্ক মালিক্ব রব মহান আল্লাহ পাক তিনি উনার হাবীব নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মাধ্যমে সৃষ্টি জগতের কল্যাণে সম্মানিত পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনাকে হাদিয়া করেছেন। কিন্তু শয়তানের অনুসারী ইসলামের চিরশত্রু ইহুদি-মুশরিক, কাফির, মুনাফিকেরা কখনও বক্তা সেজে কখনও সংস্কৃতিবাদী ইত্যাদি বিভিন্ন ছুরতে আমাদের প্রাণপ্রিয় রসূল ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী করার অপচেষ্টা করে যাচ্ছে। আমাদের বক্তব্য পরিস্কার: “নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে অবমাননাকারীদের অবশ্যই অবশ্যই অবশ্যই ফাঁসি দিতে হবে।” নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম তিনি ঈমানের মূল। উনাকে জীবনের থেকে বেশি মুহব্বত করা এবং বেশি তাযীম-তাকরীম করাই হচ্ছে ঈমানের দাবী। তিনি শুধু আল্লাহ পাক নন এছাড়া সমস্ত মর্যাদা মরতবা মুবারক উনার অধিকারী তিনি। কুল মাখলুকাতের জন্য উসওয়াতুন হাসানাহ, সর্বোত্তম আদর্শ মুবারক। তিনি হায়াতুন্নবী অর্থাহ জিন্দা নবী ছল্লাল্লাহু আলাইহ ওয়া সাল্লাম। তিনি মুত্ত্বলা আ’লাল গইব অর্থাৎ সৃষ্টির শুরু থেকে শেষ পর্যন্ত প্রকাশ্য গোপন সব সমস্ত ইলিম মুবারক উনার আধিকারী। উনার কাছে কোনো কিছু গইব বা অজানা নেই। তিনি মহান আল্লাহ উনার প্রদত্ত ক্ষমতায় ছিফত হিসেবে সম্মানিত নূর ও রহমত মুবারক হিসেবে কায়িনাতের সর্বত্র হাযির ও নাযির। এবং জাত হিসেবে যেকোনো সময় যে কোনো স্থানে হাক্বীক্বী ছুরত মুবারকে বা মেছালী ছুরত মুবারকে হাযির ও নাযির হতে পারেন। সুবহানাল্লাহ। এটা উনার একটি বিশেষ শান মুবারক। মহান আল্লাহ পাক তিনি উনাকে সমস্ত ক্ষমতা মুবারক হাদিয়া করেছেন। স্বয়ং মহান আল্লাহ পাক পবিত্র কালামুল্লাহ শরীফে আয়াতে আয়াতে, হরফে হরফে নূরে মুজাসসাম, হাবীবুল্লাহ হুযুর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার ছানাছিফত মুবারক, প্রশংসা মুবারক করেছেন। যে বা যারা উনার শান মুবারকের খিলাফ বলবে মহান আল্লাহ পাক নিজেই তাদের জন্য ‘ক্বতল’ বা ‘মৃত্যুদণ্ড’ ঘোষণা করেছেন। ,
নবীজীর দুশমন, কাট্টা কাফির, কুলাঙ্গার বক্তা মিজান আযহারী বার বার প্রিয় নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার শান মুবারকে কটুক্তি করেছে। ইদানিং প্রিয় নবীকে “কাউবয়’, ‘টেলেন্ট হান্টার’ এবং অনুরুপ অনেক মানহানীমূলক শব্দ বলে সম্বোধন করে চরম কুফরী করেছে। নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ! নাউযুবিল্লাহ!আমরা নবীজীর দুশমন কুলাঙ্গার বক্তা ও তার সমগোত্রীয় কুলাঙ্গারদের যারা প্রাণপ্রিয় নবীজী ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম উনার মানহানী করে এবং নবীজী উনার শানে কটুক্তি বা ব্যঙ্গ করে তাদের সকলের অবশ্যই ‘ফাঁসি’ দাবী করছি।” বক্তাগণ আরো বলেন, “নূরে মুজাসসাম হাবীবুল্লাহ হুযূর পাক ছল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এবং মহাসম্মানিত হযরত আহলু বাইত শরীফ আলাইহিমুস সালাম উনাদের মুবারক শানে কোনো কুলাঙ্গার মানহানি করলে অবশ্যই তার শরঈ শাস্তি ‘ফাঁসি’ বাস্তবায়ন করতেই হবে। পৃথিবীর যে কোনো প্রান্তে কেউ উনার মুবারক শানে বেয়াদবি করলে তার একমাত্র শরয়ী শাস্তি ‘ফাঁসি’ দিতেই হবে এবং তা বাস্তবায়নের জন্য আমাদের দেশ থেকে রাষ্ট্রীয়ভাবে উদ্যোগ নিতে হবে। সাথে সাথে এদের বক্তৃতার যারা আয়োজন করবে তাদেরকেও গ্রেফতার করে বিচারের আওতায় আনতে হবে এবং শরয়ী শাস্তি বাস্তবায়ন করতে হবে। এদের শরয়ী শাস্তি ‘ক্বতল’ বা ‘ফাঁসি’ বাস্তবায়ন করা উম্মতের জন্য ফরজ। ”এবক্তাগণ আরো বলেন,“ শতকরা ৯৮ ভাগ মুসলমানের এই দেশে পাঠ্যসূচী, পাঠ্যপুস্তকে ও শিক্ষানীতিতে অবশ্যই দ্বীনী শিক্ষা বাধ্যতামূলক করতে হবে এবং শরীয়তসম্মত শিক্ষাসূচী ও পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। কোনো ভাবেই কোনো অনৈসলামিক শিক্ষা দেওয়া যাবেনা। দাখিল নবম-দশম শ্রেণির বাংলা ব্যাকরণ ও নির্র্মিতি পুস্তকে শেষ প্রচ্ছদে পবিত্র দ্বীন ইসলাম উনার সাথে বাতিল ধর্মগুলোকেও সমান মর্যাদার ইংগিত করে ছবি অংকিত রয়েছে। নাউযুবিল্লাহ।
নতুন পাঠ্যবইয়ে চরিত্র নষ্টের জন্য কীভাবে গর্ভ নষ্ট করতে হয় তার শিক্ষাও রয়েছে। আরো রয়েছে অবৈধ মেলামেশার শিক্ষা। এই নিকৃষ্ট পাঠ্যসূচি এবং সকল পাঠ্যপুস্তকসমূহ বাদ দিতে হবে। এর পরিবর্তে নতুন করে পাঠ্যপুস্তক প্রণয়ন করতে হবে। চারুকলার নামে হারাম গান বাজনা শিক্ষা পরিহার করতে হবে।শিক্ষার জন্য দ্বীনী পরিবেশ সৃষ্টি করতে হবে। সহশিক্ষা, বেপর্দা, অবাধ মেলামেশা, ট্রান্সজেন্ডার, এলজিবিটিকিউর মতো সমাজবিধ্বংসী অপসংস্কৃতি পরিহার করতেই হবে। ছেলেদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহে অবশ্যই মুসলমান পুরুষ শিক্ষক দিয়েই শিক্ষা দিতে হবে এবং মেয়েদের শিক্ষা প্রতিষ্ঠানসমূহ অবশ্যই মুসলমান দ্বীনদার মহিলাদের দ্বারাই পরিচালনা করতে হবে ও শিক্ষা দিতে হবে। পাঠ্যপুস্তক, শিক্ষানীতিতে যারা দেশবিরোধী এবং পবিত্র দ্বীন বিরোধী বিষয় প্রবেশ করিয়েছে তাদের সবাইকে গ্রেফতার করে শাস্তি দিতে হবে। দ্বীনদারীর শিক্ষা ছাড়া কখনও সুনাগরিক তৈরী সম্ভব নয়। সমাবেশে বক্তব্য রাখেন মুফতি আকিকুল ইসলাম বেলালী আল্লামা আব্দুর রহিম আছেমী, মাহদী হাসান আরিফসহ অনেকেই। সর্বশেষ পবিত্র মিলাদ শরীফ ও তবারক বিতরণের মাধ্যমে সমাবেশ সমাপ্ত করা হয়।