সুনামগঞ্জের নব গঠিত মধ্যনগর উপজেলায় বাংলাদেশ আওয়ামী মৎসজীবী লীগের বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন কমিটি গঠনের মাত্র ৩ সপ্তাহ পর সভাপতি সাধারন সম্পাদক সহ বিভিন্ন পদে রদবদল করে নতুন কমিটি ঘোষনা করা হয়েছে।
গত ২৮ নভেম্বর ২০২২ খ্রীস্টাব্দ তারিখে উপজেলা শাখার আহবায়ক রুহুল আমিন খাঁন ও যুগ্ম আহবায়ক সজল রায় কর্তৃক স্বাক্ষরিত ও অনুমোদিত কমিটিতে সাবেক যুবলীগ নেতা মোঃ মানিক মিয়াকে সভাপতি ও আব্দুল হেলিমকে সাধারন সম্পাদক করে ৪১ সদস্য বিশিষ্ট বংশীকুন্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন আওয়ামী মৎসজীবী লীগের পূর্ণাঙ্গ কমিটি ঘোষনা করা হয়। যা বিভিন্ন গনমাধ্যম ও সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে প্রকাশিত হয়।
কিন্তু কোনো প্রকার কারন ও ব্যাখ্যা ছাড়াই গঠনতন্ত্র বহির্ভূত ভাবে গত ৬ জানুয়ারী ২০২৩ খ্রীস্টাব্দ শুক্রবার বংশীকুন্ডা বাজারস্থ বঙ্গবন্ধু পরিষদ কার্যালয়ে অনুমোদিত কমিটির সাধারন সম্পাদক আব্দুল হেলিমকে সভাপতি ও জনৈক আব্দুল হাকিম কে সাধারন সম্পাদক করে বিগত ১৯ ডিসেম্বর ২০২২খ্রীস্টাব্দ তারিখে উপজেলা মৎসজীবী লীগের আহবায়ক রুহুল আমিন খাঁন ও যুগ্ম আহবায়ক সজলরায় এবং বিদ্যা মিয়া স্বাক্ষরিত একটি কমিটি পরিচিতি সভা অনুষ্ঠানের মাধ্যমে প্রকাশ করা হয়।
কমিটির বিনিময়ে উপজেলা শাখার আহবায়ক রুহুল আমিন খাঁন পঞ্চাশ হাজার টাকা চেয়েছিলেন সভাপতি মোঃ মানিক মিয়ার কাছে। মানিক টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে টাকার বিনিময়ে সাধারন সম্পাদক আব্দুল হেলিমকে সভাপতি পদে ও আব্দুল হাকিমকে সাধারন সম্পাদক পদে পদায়িত করে নতুন কমিটি ঘোষনা করা হয় বলে জেলা কমিটির বরাবর এক লিখিত অভিযোগ পত্রে মানিক মিয়া জানিয়েছেন।
অভিযোগপত্রে টাকার বিনিময়ে উক্ত কমিটিতে বিএনপি নেতা ও ইউপি সদস্য আব্দু সামাদকে সহ-সভাপতি , ইউপি’র কর্মরত গ্রাম পুলিশ মনধন দাসকে প্রচার সম্পাদকপদে অন্তর্ভূক্ত করা হয়েছে বলে দাবী করেছেন মোঃ মানিক মিয়া। সেই সাথে উপজলা কমিটির আহবায়ক রুহুল আমীন খাঁন সহ কমিটি বানিজ্যের সাথে জড়িতদের বিরুদ্ধে সাংগঠনিক শাস্তির দাবী জানানো হয়।
এ নিয়ে মধ্যনগর উপজেলা মৎসজীবী লীগের আহবায়ক রুহুল আমীন খাঁন বলেন, আমার বিরুদ্ধে আনা অভিযোগ সত্য নয়। মানিক মিয়া মামলার আসামী, তাকে দলীয় কাজে খুঁজে পাওয়া যায় না। তাই তাকে সভাপতি থেকে বাদ দিয়ে সহ সভাপতি করা হয়েছে।
মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারন সম্পাদক পরিতোষ সরকার বলেন, রুহুল আমিন খাঁন বহিরাগত, সে পার্শ্ববর্তী নেত্রকোনা জেলার কলমাকান্দা উপজেলার পোগলা গ্রামের বাসিন্দা। সে হাওরের ফসলরক্ষার বাঁধ নির্মাণে দূর্নীতি সহ বিভিন্ন অপকর্মের দায়ে অভিযুক্ত। তাকে মৎসজীবী লীগের মধ্যনগর উপজেলা শাখার আহবায়ক করা উচিত হয়নি। তার জন্য স্থানীয় আওয়ামী লীগের ভাবমূর্তি নষ্ট হচ্ছে। অনতিবিলম্বে তাকে সংগঠন থেকে বহিষ্কার করার দাবী জানাই।