সাভারের আশুলিয়ায় ট্রাফিক পুলিশের হাতে মারধরের  ভ্যানচালক আহত হওয়ার ঘটনায় মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ করেছে অটোরিকশা ও ভ্যানচালকরা। এসময় মহাসড়কে টায়ার জ্বালিয়ে দেয়। এছাড়া পাশের একটি ট্রাফিক পুলিশ বক্স ভাঙ্গচুর চালায় ও পুলিশ সদস্যকে মারধর করে। পরে পুলিশের হস্তক্ষেপে অবরোধ তুলে নেয় অটোরিকশা ও ভ্যানচালকরা।

সোমবার বিকাল ৫টার দিকে নবীনগর-চন্দ্রা মহাসড়কের আশুলিয়া শ্রীপুরে এলাকায়  এই ঘটনা ঘটে। এসময় মহাসড়কের উভয় পাশে দীর্ঘ যানজটের সৃষ্টি হয়।  প্রায় দুই ঘন্টা  পর সন্ধ্যা ৭টার দিকে আশুলিয়া থানা পুলিশের আশ্বাসে অবরোধ তুলে নেয় চালকরা। এদিকে আহত ভ্যানচালককে স্থানীয় একটি হাসপাতালে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

বিক্ষুব্ধ চালকরা জানান, তুচ্ছ ঘটনায় ট্রাফিক পুলিশের এক এস আই নাজমুল হাসান নামে এক ভ্যানচালককে বেধড়ক মারধর করে মাথা ফাটিয়ে দেয়। এসময় উপস্থিত অন্য রিকশা ও ভ্যানচালকরা বিষয়টি দেখলে প্রতিবাদ শুরু করে ও অভিযুক্তদের বিচারের দাবীতে মহাসড়ক অবরোধ করে বিক্ষোভ শুরু করে। প্রায় সময়ই ট্রাফিক ও হাইওয়ে পুলিশসহ কমিউনিটি পুলিশ সদস্যরা নানা অজুহাতে অটো রিকশা ও ভ্যান আটকে রেকার বিল আদায় করে। প্রতিবাদ করলে মারধর করার অভিযোগ করেন ভুক্তভোগী চালকরা।

ভুক্তভোগী ভ্যানচালকের নাম নাজমুল হোসেন (৩২)। তিনি রংপুর জেলার বাসিন্ধা । বর্তমানে আশুলিয়ার শ্রীপুরে পরিবারসহ বসবাস করে ও পেশায় ভ্যানচালক।

এসময় শরিফুল ইসলাম নামে এক অটো রিকশা চালক বলেন, আমরা অনেক সময় হাইওয়ে রাস্তা উঠি না। ভিতরের সড়কের দিকে থাকলেও ধরে নিয়ে যায় ট্রাফিক পুলিশ। মাফ চাইলে, উল্টো গালাগালি করে। পরে ২ হাজার ৬০০ টাকা রেকার বিল দিয়ে নিতে আসতে হয়েছে। প্রায় তারা এমন কাজ করছে।

অভিযুক্ত সাভার ট্রাফিক পুলিশের এস আই হেলাল উদ্দিন বলেন,  দুপুরে আশুলিয়ার বলিভদ্র অবৈধ অটোভ্যান ধরার সময় নাজমুল নামে ভ্যানচালক পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। পরে তাকে ধাওয়া দিয়ে ধরার চেষ্টা করলে ধস্তাধসি শুরু করে। এসময় ওয়ারল্যাসের সাথে তার মাথায় একটু আঘাত লাগে। ঘটনার প্রায় দুই ঘন্টা বিভিন্ন রিকশা ও ভ্যানচালকরা ডিইপিজেড সংলগ্ন ট্রাফিক পুলিশ বক্সে হামলায় চালিয়ে পুলিশকে মারধরসহ বক্সে ভাঙ্গচুর চালায়।

এদিকে সাভার ট্রাফিকের পুলিশ পরিদর্শক (প্রশাসন) আব্দুস সালাম জানায়, প্রাথমিকভাবে বিষয়টি জেনেছি। ঘটনা তদন্ত করে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হবে।