নওগাঁয় নারী উদ্যোক্তাকে যৌন হয়রানির ও অনৈতিক প্রস্তাবের
অভিযোগে ইউনিয়ন পরিষদের এক চেয়ারম্যান বরখাস্ত।
নওগাঁর বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান মাসুদ রানাকে ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের নারী উদ্যোক্তা জাকিয়া সুলতানাকে যৌন হয়রানির অভিযোগে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার স্থানীয় সরকার বিভাগ থেকে পাঠানো এক বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
স্থানীয় সরকার বিভাগের উপসচিব মোহাম্মদ সাঈদ-উর-রহমান স্বাক্ষরিত প্রজ্ঞাপনে উল্লেখ করা হয়, নওগাঁ জেলার বদলগাছী উপজেলার মথুরাপুর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মাসুদ রানার বিরুদ্ধে একই ইউনিয়ন পরিষদের ডিজিটাল সেন্টারের উদ্যোক্তা জাকিয়া সুলতানাকে যৌন হয়রানি এবং অনৈতিক প্রস্তাবের অভিযোগ স্থানীয় তদন্তে সন্দেহাতীতভাবে প্রমাণিত হওয়ায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ – এর ৩৪ (ঘ) ধারা অনুযায়ী জেলা প্রশাসক, নওগাঁ ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য সুপারিশ করেছেন।
প্রজ্ঞাপনে আরো বলা হয়, চেয়ারম্যান মাসুদ রানা কর্তৃক সংঘটিত অপরাধমূলক কার্যক্রম ইউনিয়ন পরিষদসহ জনস্বার্থের পরিপন্থী বিবেচনায় স্থানীয় সরকার (ইউনিয়ন পরিষদ) আইন, ২০০৯ এর ৩৪ (৪) (ঘ) ধারার অপরাধ সংঘটিত করায় একই আইনের ধারা ৩৪ (১) অনুযায়ী উল্লিখিত ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যানকে তার পদ থেকে সাময়িক বরখাস্ত করা হলো।
এব্যাপারে অভিযোগকারী উদ্যোক্তা জাকিয়া সুলতানা সংবাদকর্মীকে বলেন, পরিষদে কাজ করতে বিভিন্ন সময়ে চেয়ারম্যান মাসুদ রানা আমাকে কুপ্রস্তাব সহ যৌন হয়রানি করে আসতো। তার অত্যাচারে অতিষ্ঠ হয়ে এক পর্যায়ে আমি উপজেলা নির্বাহী অফিসার, নওগাঁ জেলা প্রশাসক মহোদয়সহ স্থানীয় সরকার মন্ত্রণালয় বিভাগে লিখিত অভিযোগ দেয়। সে অভিযোগের প্রেক্ষিতে তদন্তকারী দল তদন্তে যৌন হয়রানির সত্যতা পাওয়ায় তাকে সাময়িক বরখাস্ত করায় আমি সন্তুষ্ট নয়। তাকে চূড়ান্তভাবে বরখাস্ত করলেই আমি সন্তুষ্ট হবো।
সদ্য বরখাস্তকৃত ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ রানা বলেন, এবিষয়ে আমি কোনও চিঠি পাইনি। তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ করা হয়েছে বলেও দাবি করেন তিনি।