ময়মনসিংহের সদর উপজেলায় ভূমি ব্যবস্থাপনায় ই-নামজারিতে বিপ্লব ঘটিয়েছেন সহকারী কমিশনার (ভূমি) এইচ এম ইবনে মিজান। যোগদান করার পরে থেকেই মানুষ হয়রানি মুক্ত, দুর্নীতিমুক্ত, প্রত্যেকটি ইউনিয়ন ভূমি অফিসে মানুষ যাতে সহজেই ই-নামজারি করতে পারে সেজন্যে সর্ব সময় জেলা প্রশাসকের নির্দেশে কাজ করছেন,কোন মানুষ যাতে হয়রানির শিকার না হয় সেই মোতাবেক কাজ করে যাচ্ছেন ময়মনসিংহ সদর উপজেলার সহকারী কমিশনার (ভূমি) এইচ এম ইবনে মিজান।
অনলাইনে প্রক্রিয়া শুরু হয় ২০২১ সালের ডিসেম্বর নাগাদ। ই-নামজারির ক্ষেত্রে ব্যক্তি আবেদনে বা এলটি নোটিশ প্রাপ্তির পর সাধারণ ক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ২৮ কার্য দিবস, প্রবাসী বাংলাদেশি নাগরিক হলে মহানগরীর জন্য ৯ কার্য দিবস ও অন্যান্য ক্ষেত্রে ১২ কার্য দিবস এবং নির্দিষ্ট কয়েকটি জেলার বিনিয়োগবান্ধব শিল্প ও বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠানের জন্য সাত দিনের মধ্যে নামজারি সেবা পাওয়া যাচ্ছে।
এ ছাড়াও সাধারণ ক্ষেত্রে ১০ কার্যদিবসের মধ্যে বীর মুক্তিযোদ্ধারা জমির নামজারি সেবা পাচ্ছেন। ভূমি ব্যবস্থাপনায় এটাকেই বিপ্লবই বলছে সবাই ও সংশ্লিষ্টরা। ক্রয়, উত্তরাধিকার বা যেকোনও সূত্রে জমির মালিক হলে নতুন মালিকের নাম সরকারি খতিয়ানভুক্ত করার প্রক্রিয়াকে নামজারি বলা হয়। ভূমি জরিপকালে ভূমি মালিকের মালিকানা নিয়ে যে বিবরণ প্রস্তুত করা হয় সেটাকেই বলা হয় খতিয়ান।
বাংলাদেশের প্রেক্ষাপটে নামজারির সিস্টেম একটি জটিল প্রক্রিয়া ছিল। এতদিন হয়রানি, দীর্ঘসূত্রিতা ও দুর্নীতি মাড়িয়ে করা হতো নামজারি। এসব সীমাবদ্ধতা কাটিয়ে ই-নামজারিকে একটি বিপ্লবই বলেই মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
এ প্রসঙ্গে জানতে চাইলে ময়মনসিংহ জেলার সদর উপজেলার কয়েকটি ইউনিয়ন ভূমি অফিস ঘুরে এই চিত্র দেখা যায় কেউয়াটখালি ইউনিয়ন ভূমি অফিসের সহকারী কর্মকর্তা ( তহশিলদার) সিরাজ ইসলাম জানিয়েছেন, নামজারি নিয়ে সাধারণ মানুষের নানা মত ও অভিযোগে বিষয়টি জটিল হয়ে উঠেছিল। ই-নামজারি আশার সঞ্চার ঘটিয়েছে। এখন নেই কোনও অভিযোগ। নির্দিষ্ট সময়ের মধ্যে জমির মালিক নিজেই ঘরে বসে আবেদন করছেন। সমাধানও পেয়ে যাচ্ছেন।
ভূমি মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, ই-নামজারিসহ অন্যান্য সব ভূমিসেবার ডিজিটালাইজেশন কার্যক্রম মূলত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার,ডিজিটাল বাংলাদেশ’-এর একটি অংশ। ই-নামজারি কার্যক্রম ২০১৭ সালের ১ ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশের ৭টি উপজেলায় পাইলট আকারে শুরু হয়েছিল।