একের পর এক বিবাহের মাধ্যমে অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়া চক্রের ১ জনকে আটক পূর্বক ৫ জন ভিকটিম কে উদ্ধার করেছে র্যাব।
র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্পের বিশেষ অভিযানে প্রতারণার মাধ্যমে ৬টি বিবাহ করে অর্থ ও স্বর্ণালংকার হাতিয়ে নেওয়া প্রতারক চক্রের মূলহোতা একজন কে গ্রেফতার পূর্বক ৫ জন ভিকটিমকে উদ্ধার র্যাব।
ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করে র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট কাম্প থেকে জানানো হয়, র্যাব-৫, সিপিসি-৩, জয়পুরহাট ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল কোম্পানী অধিনায়ক মেজর মোঃ মোস্তফা জামান এবং স্কোয়াড কমান্ডার সিনিয়র সহকারি পুলিশ সুপার মোঃ মাসুদ রানা এর নেতৃত্বে বৃহস্পতিবার দুপুর ১টারদিকে জয়পুরহাট জেলা সদর থানাধীন জামালপুর এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ৫ জন ভিকটিম কে উদ্ধার পূর্বক প্রতারক চক্রের মূলহোতা মোঃ মেহেদী হাসান (২৮), পিতা-মোঃ আব্দুল আলীম, সাং-পাঞ্চাতীপাড়া কেন্দুলী, থানা ও জেলা-জয়পুরহাটকে গ্রেফতার করা হয়। এসময় র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে চক্রের ২ জন পালিয়ে যান।
র্যাব আরো জানান, অভিযুক্ত ও গ্রেফতারকৃত মূলহোতা মোঃ মেহেদী হাসান (২৮), মোঃ লতিফ (২৫) ও মোঃ মিন্টু (২৪) এরা সকলে পেশাদার প্রতারক।
এপ্রতারক চক্র বিভিন্ন এলাকায় গিয়ে নিজেদেরকে ঠিকাদার, বালুমহলের ইজারাদার এবং অনেক বিত্তশালী ব্যক্তি হিসেবে পরিচয় দিয়ে বিভিন্ন এলাকায় ভুয়া কাবিননামার মাধ্যমে বিয়ে শাদী করে শশুর বাড়ির লোকজনের কাছ থেকে লাখ লাখ টাকা হাতিয়ে নেয় এবং সেই এলাকা ত্যাগ করে অন্য এলাকায় গিয়ে আবার একই ধরনের কাজ করা তাদের পেশা। উল্লেখ্য যে, তারা পরস্পর যোগসাজশে একে অপরের ভাই বা আত্মীয় বা সাক্ষী হিসেবে পরিচয় দিয়ে কাজ করত। বিষয়টি নিয়ে অভিযুক্তদের মূলহোতা মেহেদীর কথিত পাঁচ নম্বর স্ত্রী মেফতাহুল জান্নাত (২৩) গত ২০ জানুয়ারি জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পে এসে অভিযোগ করেন। পরবর্তীতে বিষয়টি নিয়ে জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্প ছায়া তদন্ত শুরু করে এবং ঘটনার সত্যতা পায়। এরিমাঝে বৃহস্পতিবার ২৬ জানুয়ারি সকাল ১১ টারদিকে অভিযুক্ত মেহেদীর কথিত ৫ম স্ত্রীর ভাই র্যাব ক্যাম্পে ফোন দিয়ে বলে যে, মূলহোতা মেহেদী ও তার সহযোগীরা মিলে তার কথিত ষষ্ঠ শশুর বাড়ি জয়পুরহাট জেলা সদর থানাধীন জামালপুর এলাকায় তার বোন, ভাগ্নে ও মাকে আটকে রেখে নির্যাতন করছে। এমন খবর পেয়ে জয়পুরহাট র্যাব ক্যাম্পের একটি চৌকস আভিযানিক দল ঘটনাস্থলে গিয়ে ঘটনার সত্যতা নিশ্চিত করেন এবং অভিযুক্ত প্রতারক চক্রের মূলহোতা মেহেদীকে গ্রেফতার ও তার কথিত ৫ম স্ত্রী মেফতাহুল জান্নাত (২৩), রুমি পারভিন (২৫), শাশুড়ি শামিমা আক্তার (৪৫) এবং ৫ম স্ত্রীর দুই শিশু সন্তানকে উদ্ধার করতে সক্ষম হয়। এসময় প্রতারক চক্রের অন্য দুই সদস্য মোঃ লতিফ ও মিন্টু র্যাবের উপস্থিতি টের পেয়ে ঘটনাস্থল থেকে পালিয়ে যায়।
এঘটনায় জয়পুরহাট জেলা সদর থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে বলেও নিশ্চিত করেছে র্যাব।