মধ্যনগর (সুনামগঞ্জ)
সুনামগঞ্জ জেলার মধ্যনগর উপজেলার মহিষখলা বাজারে ১ মে, বুধবার রাত ১১টা ৪৫ মিনিটে এক ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের ঘটনা ঘটে। প্রাথমিক তদন্তে জানা গেছে, বৈদ্যুতিক শর্ট সার্কিট থেকেই এই অগ্নিকাণ্ডের সূত্রপাত।রাতের নিস্তব্ধতা ভেঙে মুহূর্তেই আগুন ছড়িয়ে পড়ে বাজারের বিভিন্ন দোকানে। আগুনের লেলিহান শিখা দেখে আশপাশের ব্যবসায়ী ও সাধারণ মানুষ ছুটে আসেন এবং নিজের জীবনকে ঝুঁকিতে ফেলে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালান। পানির উৎসের অভাব, রাতের অন্ধকার ও দাহ্য সামগ্রীর কারণে আগুন দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে, পরিস্থিতি ক্রমেই ভয়াবহ আকার ধারণ করে।স্থানীয়দের ঐক্যবদ্ধ ও সাহসী প্রচেষ্টায় আগুন কিছুটা নিয়ন্ত্রণে এলে, খবর পেয়ে কলমাকান্দা ফায়ার সার্ভিস ইউনিট ঘটনাস্থলে এসে আধুনিক যন্ত্রপাতির মাধ্যমে কার্যকরভাবে অভিযান শুরু করে। দীর্ঘ প্রায় এক ঘণ্টা চেষ্টা চালিয়ে রাত ১২টা ৫০ মিনিটে আগুন সম্পূর্ণভাবে নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব হয়।এই অগ্নিকাণ্ডে বাজারের বহু দোকান পুড়ে ছাই হয়ে যায়। বিশেষ করে ব্যবসায়ী হেলাল, আবু বোয়ালী কলমদর, মুক্তার হোসেন, মিজান ডাঃ ও সাজাহান ডাঃ-এর দোকানগুলো সম্পূর্ণরূপে ক্ষতিগ্রস্ত হয়। প্রাথমিকভাবে ধারণা করা হচ্ছে, এ ঘটনায় প্রায় এক কোটি ৩৫ লক্ষ টাকার মালামাল পুড়ে গেছে।ঘটনার খবর পেয়ে মধ্যনগর থানার এসআই আসাদুল ইসলাম ও এএসআই মহিনুর ইসলামের নেতৃত্বে পুলিশের একটি দল দ্রুত ঘটনাস্থলে পৌঁছে এলাকার নিরাপত্তা নিশ্চিত করে এবং জনসাধারণকে সহযোগিতা করে।মহিষখলা বাজারের ব্যবসায়ী ও ইউনিয়ন যুবদল সেক্রেটারি মোঃ দেলোয়ার হোসেন বলেন,“এই ভয়াবহ পরিস্থিতিতে ব্যবসায়ী ও সাধারণ জনগণের সাহসিকতা এবং ফায়ার সার্ভিস ও পুলিশের তাৎক্ষণিক পদক্ষেপ ছাড়া পরিস্থিতি আরও ভয়াবহ হতে পারত। আমাদের ঐক্যই আজ বড় বিপর্যয় থেকে রক্ষা করেছে।”বর্তমানে স্থানীয় প্রশাসন অগ্নিকাণ্ডের তদন্ত ও ক্ষয়ক্ষতির চূড়ান্ত হিসাব নিরূপণের কাজ করছে। ক্ষতিগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা সরকারের কাছে পুনর্বাসন ও সহায়তার দাবি জানিয়েছেন।এই ঘটনায় পুরো মহিষখলা বাজার এলাকায় শোকের ছায়া নেমে এসেছে। স্থানীয়রা বলছেন, এমন মর্মান্তিক ঘটনা এর আগে কখনও দেখেননি।