নওগাঁ প্রতিনিধিঃ ‘নিয়মিত ভূমি উন্নয়ন কর প্রদান করি নিজের জমি সুরক্ষিত করি’ এই প্রতিপাদ্যকে সামনে রেখে প্রতিবছরের ন্যায় এবারেও নওগাঁয় তিন দিনব্যাপী ভূমি মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। রোরবার সকালে সদর উপজেলা ভূমি অফিস প্রাঙ্গনে ফেলুন ও ফেস্টুন উড়িয়ে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন প্রধান অতিথি জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল।আলোচনা সভায় বক্তারা বলেন, ভূমি সেবা সপ্তাহ উপলক্ষে জেলার প্রতিটি ভূমি অফিসে আগামী তিন দিনব্যাপী বিশেষ ভূমিসেবা প্রদান, বিনামূল্যে অনলাইনে আবেদন করার সুযোগ ও ডিজিটাল সেবা সম্পর্কে সচেতনতা কার্যক্রম চালানো হবে। এমন আয়োজন স্বচ্ছতার সঙ্গে ভূমি সেবা প্রতিটি মানুষের দ্বারে পৌছে দিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন।এসময় জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ আব্দুল আউয়াল বলেন, ভূমি সেবা প্রাপ্তি সম্পর্কে প্রত্যন্ত অঞ্চলের মানুষের মাঝে সচেতনতার ব্যাপক অভাব রয়েছে। আগে সেবা প্রাপ্তির বিভিন্ন বিষয় সম্পর্কে জানতে হবে তবেই যে কোন সরকারি অফিসে গিয়ে হয়রানী ছাড়াই সহজেই সেবা পাওয়া সম্ভব হবে। আর ভূমি সেবা নিতে আসা অধিকাংশ মানুষরাই জানেন না ডিজিটাল ভূমি সেবা সম্পর্কে। আর এই সব মানুষরা যখন ইউনিয়ন পর্যায়ে ভূমি সংক্রান্ত সেবা নিতে আসেন তখন অনেক ভূমি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা ওই সব সেবা গ্রহিতাদের একটি বিষয় একাধিকবার বলতে নারাজ।তিনি আরও বলেন, অনেক মানুষই ভয়ে তৃতীয় পক্ষের দালালদের কাছে গিয়ে হয়রানীর শিকার হোন এবং অর্থ খোয়া দেন। আগে তথ্য জানতে এবং অপরকে জানাতে হবে। আর এই জন্য প্রত্যন্ত এলাকার মানুষদের ভূমি সেবা সম্পর্কে সচেতন করার লক্ষ্যে জেলা প্রশাসনের পক্ষ থেকে নানা পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়েছে। এছাড়া সেবা নিতে আসার প্রতি মানুষদের সাথে ভালো ব্যবহারের মাধ্যমে একটি বিষয় একাধিকবার ভালো ভাবে বুঝিয়ে দিয়ে ভূমি সেবার তথ্যগুলো সম্পর্কে সচেতন করার কোন বিকল্প নেই বলে মনে করেন তিনি।নওগাঁ জেলা প্রশাসন ও সদর উপজেলা ভূমি অফিস কর্তৃক আয়োজিত অনুষ্ঠানে অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (রাজস্ব) মো: সোহেল রানার সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন সদর উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা মো. ইবনুল আবেদীন, সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার সালমান হাবিব, জেলা ও উপজেলা প্রশাসনের অন্যান্য দপ্তরের কর্মকর্তা-কর্মচারীসহ গনমাধ্যমকর্মী, সেবা গ্রহিতা, সুধীজনরা।শেষে জেলা প্রশাসক সেবা গ্রহিতাদের মাঝে ভূমির খাজনা আদায়ের রশিদ, খারিজের রশিদ, নামজারির রশিদ এবং ভূমি অধিগ্রহণের অর্থের চেক প্রদান করেন।