সালমান কেন্দুয়া প্রতিনিধি:
ঈদুল আযহাকে সামনে রেখে যখন কেন্দুয়াবাসী বাজারঘাট, কেনাকাটা ও নানা প্রস্তুতিতে ব্যস্ত থাকার কথা, ঠিক তখনই একটানা বৃষ্টিপাত যেন সবকিছুকে থমকে দিয়েছে। বৃহস্পতিবার রাত থেকে উপজেলাজুড়ে কখনো গুঁড়ি গুঁড়ি, কখনো ভারী বর্ষণে জনজীবনে নেমে এসেছে স্থবিরতা।
উপজেলার সদরসহ বিভিন্ন ইউনিয়নের হাটবাজারগুলোতে বেচাকেনা প্রায় বন্ধ। দোকানিদের অভিযোগ, ঈদের ঠিক আগে এমন দিনে ক্রেতা থাকে উপচে পড়া—কিন্তু আজ যেন বাজার ছিল জনশূন্য। রাস্তাঘাট কাদায় ভরা, কোথাও কোথাও সৃষ্টি হয়েছে জলাবদ্ধতা।শুধু ব্যবসা-বাণিজ্য নয়, চরম দুর্ভোগে পড়েছেন স্কুল-কলেজগামী শিক্ষার্থী, অফিসগামী কর্মকর্তা-কর্মচারীরাও। অধিকাংশ শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ও অফিসে উপস্থিতির হার ছিল অত্যন্ত কম।বৃষ্টির বিরূপ প্রভাব পড়েছে কৃষি খাতেও। ইতোমধ্যে কিছু নিম্নাঞ্চলের আমন ধানের জমি পানিতে তলিয়ে গেছে। শাকসবজি ও মৌসুমি ফসল নিয়েও দেখা দিয়েছে অনিশ্চয়তা।এ বিষয়ে কেন্দুয়া উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা মো. হুমায়ুন দিলদার বলেন,টানা বৃষ্টি যদি আরও কয়েকদিন স্থায়ী হয়, তাহলে ফসলের ব্যাপক ক্ষতির আশঙ্কা রয়েছে। মাঠ পর্যায়ে আমাদের পর্যবেক্ষণ চলছে।তবে কেউ কেউ বলছেন, দীর্ঘ খরার পর এই বৃষ্টি কিছুটা স্বস্তি এনেছে। যদিও দিনমজুর, রিকশাচালক, শ্রমজীবী মানুষজন এবং দৈনন্দিন কাজে বাইরে বের হওয়া সাধারণ মানুষের কাছে এই বৃষ্টি দুর্ভোগই বয়ে এনেছে।সার্বিক পরিস্থিতিতে ঈদের প্রস্তুতি, কৃষিকাজ ও জনজীবন যেন এক সঙ্গে থমকে দাঁড়িয়েছে। আবহাওয়ার উন্নতির অপেক্ষায় এখন গোটা উপজেলাবাসী।