সৈয়দ সময় , নেত্রকোনা :
নেত্রকোনার দুর্গাপুর উপজেলার চন্ডিগড় ইউনিয়নের বানিয়াপাড়া সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে রবিবার ঠিকাদার কর্তৃক স্কুলের মেইন গেইটে তালা লাগানোর ঘটনা ঘটে,এতে পাঠদান ব্যহত হয়।স্কুলের ভবনের পাশেই ওয়াশ ব্লকের নির্মাণ কাজ হচ্ছে, গত দেড় মাস ধরে নির্মাণ কাজ করছে একটি ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান তবে নির্মাণ শ্রমিকরা ওই স্কুল ভবনের সিড়ি ব্যবহার করতে স্কুলের প্রধান গেটের চাবি প্রধান শিক্ষকের কাছে চেয়েও না পেয়ে স্কুলের তালা ভেঙে নতুন তালা লাগিয়েছে। এদিকে এ ঘটনার পর সকাল নয়টা থেকে দুপুর আড়াইটা পর্যন্ত স্কুলে এসেও মাঠে কেটেছে সারাদিন শিক্ষক-শিক্ষার্থীদের, করানো হয়নি পাঠদান।প্রধান শিক্ষক মাকসুদা আক্তার জানান, স্কুল চলাকালীন সময়ে ওয়াশ ব্লক নির্মাণ কাজে স্কুল ভবনের সিড়ি ব্যবহার করতেন নির্মাণ শ্রমিকরা। তবে স্কুল ছুটি শেষে প্রধান গেইটে তালা লাগিয়ে চলে যেতেন প্রধান শিক্ষক। গত বৃহস্পতিবার ছুটির পর চলে যাওয়ার সময় ঠিকাদারের শ্রমিকরা প্রধান গেটের চাবি চাইলে তিনি দিতে অপরগতা প্রকাশ করেন এবং বাড়িতে চলে যান। এরপর নির্মাণ শ্রমিকরা স্কুলের প্রধান গেটের তালা ভেঙে নিজেরা নিজেদের কাজ শেষে দুটি তালা ঝুলিয়ে চলে যান। শুক্র-শনিবার দুইদিন ছুটি শেষে রবিবার সকাল ৯ টায় শিক্ষক-শিক্ষার্থীরা স্কুলে আসলেও তালাবদ্ধের কারণে পাঠদান করাতে পারেনি।তিনি আরও বলেন, আমি তাদের আগেই বলেছি স্কুল চলাকালীন সময়ে আমি সহযোগিতা করবো কিন্তু ছুটির পর খোলা রাখতে চাবি দিয়ে যেতে পারবো না। শ্রেণী শিক্ষক ও অভিভাবকরা জানান, সকাল থেকেই বাহিরে অপেক্ষা করছেন। স্কুলের তালা খুলে না দেওয়ায় পাঠদান হয়নি। অপরদিকে তাদের সাথে বাহিরে অপেক্ষা করছে শিক্ষার্থীরাও। এ ব্যাপারে ঠিকাদার টিটুর কাছে জানতে চাইলে নতুন তালা লাগানো বিষয়টির পেছনের ঘটনা বলতে রাজি নন তবে ঘটনাটি সমাধান হয়েছে দাবী করে এটুকুই বললেন। এ প্রসঙ্গে উপজেলা প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার মো. ফজলুর রহমান মুঠোফোনে বলেন, ঘটনাটিতে পাঠদান ব্যাহত হয়েছে । তবে আমি ঘটনা জানতে পেরে ঠিকাদারের শ্রমিকদের দেওয়া তালা ভেঙে পাঠদান করানোর নির্দেশ দিয়েছি প্রধান শিক্ষককে।পরবর্তীতে বিষয়টি ইউএনও স্যারের কাছে চলে এসেছে এবং স্যার প্রধান শিক্ষক ও ঠিকাদারকে ডেকেছেন। তিনি আরও বলেন, ঠিকাদারের সঙ্গে কথা হয়েছে আমার আমাকে ঠিকাদার বলেছে শ্রমিকরা ছাদ ডালায় দিতে বিকল্প পথ হিসেবে স্কুলের সিড়ি ব্যবহার করতে এই তালা ভাঙার কাজ টা করে ফেলেছে এটা ঠিকাদার জানতো না, বিষয়টি না বুঝেই করে ফেলেছে শ্রমিকরা।