• ঢাকা, বাংলাদেশ মঙ্গলবার, ১৯ অগাস্ট ২০২৫, ১১:৩৬ পূর্বাহ্ন
  • [কনভাটার]
সর্বশেষ খবর
কলমাইদে নেতাকর্মীদের সাথে সৌজন্য সাক্ষাৎ করলেন উপজেলা বিএনপির সভাপতি সালাম  রাণীনগরে জাতীয় মৎস্য সপ্তাহের উদ্বোধন নওগাঁয় ১শ’ ৯৩কেজি গাঁজা ও ৪টি দেশীয় অস্ত্র রামদাসহ মাদক কারবারী আটক আটপাড়ায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ-২০২৫ উপলক্ষে উদ্বোধনী অনুষ্ঠান ও আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত সুনামগঞ্জে বাংলাদেশ প্রেস ক্লাবের উদ্যোগে তুহিন হত্যার বিচারের দাবিতে বিক্ষোভ শ্রীপুরে শিশুর লাশ দাফনে বাধা, ২২ ঘণ্টা পর সম্পন্ন নানা আয়োজনে নেত্রকোনায় জাতীয় মৎস্য সপ্তাহ অনুষ্ঠিত চাঁপাইনবাবগঞ্জে ইনসাফ কায়েমকারী ছাত্র-শ্রমিক জনতার বিক্ষোভ গাজা নগর দখলের আগে ইসরায়েলের ভয়াবহ হামলা, অন্তত ১১ ফিলিস্তিনি নিহত গোবিন্দগঞ্জে নজরুল হত্যা মামলার মূল আসামী গ্রেফতার
বিশেষ খবর
কলমাকান্দা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন ফিল্মি স্টাইলে শিক্ষককে তুলে নিয়ে মাথা ফাটাল ছাত্রদল” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন  অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধাভোগীদের বিএনপিতে স্থান হবে না আনিসুজ্জামান বাবু নেত্রকোনায় জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিতে মানব-বন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আ.লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা, যা বললেন সিইসি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে : সিইসি সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করছে ইসি: সিইসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ বছর পর সম্মেলন ঘিরে বিএনপির ব্যাপক প্রস্তুতি ষড়যন্ত্র রুখে ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচন আদায় করতে হবে: রুমিন ফারহানা
মিঠাপুকুর উপজেলা রংপুর: / ৩২ জন দেখেছেন
আপডেটঃ রবিবার, ২২ জুন, ২০২৫

সংগ্রাম, সাহস ও নেতৃত্বের প্রতীক মোজাহিদুল ইসলাম

মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম

মিঠাপুকুর উপজেলা রংপুর:
সময়টা ৩ মার্চ ১৯৮০।রংপুর জেলার মিঠাপুকুর উপজেলার ২নং রানীপুকুর ইউনিয়নের নাসিরাবাদ গ্রামের সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারে জন্ম নেন মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম। তাঁর বাবা মোঃ নুরুল ইসলাম রুপাল ছিলেন একজন সম্মানিত শিক্ষক, যিনি শুধু পেশাগত দায়িত্বেই নয়, মানবিক গুণেও ছিলেন সমাজের শ্রদ্ধার পাত্র। মা মোছাঃ সাদিকা বেগম (বাবলি) ছিলেন এক আদর্শ ও স্নেহময় গৃহিণী।পরিবারের দুই সন্তানের মধ্যে তিনি একজন। তাঁর বড় ভাই মোঃ নাজমুল সাহেদ বাংলাদেশ সেনাবাহিনীতে একজন অফিসার হিসেবে কর্মরত ছিলেন — যিনি দেশের জন্য নিবেদিত ছিলেন সম্মান ও দায়িত্ববোধে।
 শিক্ষাজীবন ও রাজনীতিতে সূচনা
শৈশবেই শিক্ষার প্রতি আগ্রহ এবং নেতৃত্বের বীজ বপিত হয় তাঁর হৃদয়ে। পড়াশোনা করেন রানীপুকুর সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে, এরপর রানীপুকুর উচ্চ বিদ্যালয় ও মহাবিদ্যালয়ে। উচ্চ মাধ্যমিক শেষে রংপুর সরকারি কলেজ থেকে পড়াশোনা চালিয়ে যান। ছাত্রজীবনের উষালগ্নেই তিনি যুক্ত হন রাজনীতির সঙ্গে — দেশের প্রতি ভালোবাসা ও ন্যায়-অন্যায়ের পার্থক্য বোঝার বয়স থেকেই।
১৯৯০ সালে রংপুর কারমাইকেল কলেজে বিএসসি পড়াকালীন তিনি ছাত্রদলের আহ্বায়ক কমিটির সদস্য হিসেবে নির্বাচিত হন। তরুণ বয়সে সেই সাহসিক পদক্ষেপ ছিল একটি বৃহৎ রাজনৈতিক পথচলার সূচনা।
 ছাত্র রাজনীতি থেকে মূল রাজনীতিতে উত্তরণ
ছাত্ররাজনীতিতে নিজের প্রতিভা, দলের প্রতি নিষ্ঠা ও নেতৃত্বগুণের মাধ্যমে বিএনপির শীর্ষ নেতাদের আস্থা অর্জন করেন তিনি। এরপর ২০০১ সালে নিজ জন্মভূমি রানীপুকুরে ফিরে আসেন এবং ইউনিয়ন বিএনপির সদস্য হিসেবে রাজনীতির মাঠে সক্রিয়ভাবে অবতীর্ণ হন।
২০০৩ সালে সংগঠনিক সম্পাদক পদে নির্বাচিত হন। সভাপতির অনুপস্থিতিতে একাই দলের দায়িত্ব কাঁধে তুলে নেন — সমন্বয়, সংগঠন ও কার্যক্রমে নেতৃত্ব দিয়ে সামনে এগিয়ে নেন রানীপুকুর বিএনপিকে।
 দুঃসময়ের দৃঢ় সাহসী মুখ
২০০৬ সালের পর শুরু হয় রাজনৈতিক প্রতিহিংসা, দমন-পীড়ন, এবং গুম-খুনের রাজনীতি। বিএনপির নেতাকর্মীরা হয়রানি, মিথ্যা মামলা ও জুলুমের শিকার হন। কেউ পলায়নপর, কেউ কারাগারে। কিন্তু মোজাহিদুল ইসলাম ছিলেন অবিচল — অন্যায়ের বিরুদ্ধে আপসহীন।
সরকারি চাকরির সুযোগও কেবল রাজনৈতিক পরিচয়ের কারণে হারাতে হয়েছে তাঁকে। তারপরও তিনি দলের পতাকা ধরে রেখেছেন মাথা উঁচু করে।
২০১০ সালে ইউনিয়ন বিএনপির সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হন, আর ২০১৫ সালে পুনরায় সেই পদে আসীন হন। একই বছরে মিঠাপুকুর উপজেলা বিএনপির সদস্য পদও লাভ করেন।
 নির্বাচনী লড়াই ও গণমানুষের ভালোবাসা
২০২২ সালে তিনি রানীপুকুর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান পদে নির্বাচন করেন এবং বিপুল ভোটে জয়লাভ করেন। কিন্তু জনরায়ের প্রতি অসম্মান দেখিয়ে ক্ষমতাসীন দল প্রশাসনের সহায়তায় জালিয়াতির মাধ্যমে তাঁকে বিজয় থেকে বঞ্চিত করে। এটা ছিল গণতন্ত্রের কণ্ঠরোধের এক নির্মম উদাহরণ।
তবুও তিনি হাল ছাড়েননি। ২০২৩ সালে উপজেলা আহ্বায়ক কমিটির অন্যতম সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পান। আর ২০২৪ সালে, যখন জনতার জাগরণে স্বৈরাচারের পতন ঘটে এবং গণতন্ত্র ফিরে আসে — মোজাহিদুল ইসলাম ছিলেন সেই ইতিহাসের নীরব সৈনিকদের একজন।
অবশেষে নেতৃত্বের স্বীকৃতি
২০২৪ সালে তিনি রানীপুকুর ইউনিয়ন বিএনপির আহ্বায়ক নির্বাচিত হন। এবং ২০২৫ সালের দিবার্ষিক সম্মেলনে, কোনো প্রতিদ্বন্দ্বিতা ছাড়াই হাজারো নেতাকর্মীর নির্ভরতা ও ভালোবাসায় সভাপতি পদে নির্বাচিত হন।
এটি ছিল তাঁর দীর্ঘ রাজনৈতিক জীবনের এক অনন্য স্বীকৃতি।
বর্তমানে তিনি আসন্ন মিঠাপুকুর উপজেলা বিএনপির দ্বিবার্ষিক কাউন্সিলে সাংগঠনিক সম্পাদক পদে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করার ঘোষণা দিয়েছেন। তিনি আশা করেন, গণতান্ত্রিক চেতনায় বিশ্বাসী নেতাকর্মীরা তাঁকে একটি করে মূল্যবান ভোট দিয়ে জয়ী করবেন।
 শেষ কথা
মোঃ মোজাহিদুল ইসলাম — এক সাহসী নাম, সংগ্রামী নেতৃত্বের প্রতীক, আদর্শ ও ত্যাগের জীবন্ত প্রতিচ্ছবি।
যিনি কেবল রাজনীতি করেন না, বরং নেতৃত্ব দেন ভালোবাসা দিয়ে, আগুনঝরা সময়েও আপস না করে প্রমাণ করেছেন — সত্যিকারের নেতা হতে গেলে পায়ের নিচে নয়, মাথার উপর রাখতে হয় মানুষের আস্থা।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিষয়ের আরও খবর
August 2025
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

Categories