সালমান আহম্মদ :–নেএকোনা কেন্দুয়া
অনেক কষ্ট ছিলো মনে, তারে বোঝাইতে পারি নাই—এমন চিরকুট লিখে বিষপানে আত্মহত্যা করেছে রোয়াইলবাড়ী ফাজিল মাদ্রাসার ১০ম শ্রেণির এক শিক্ষার্থী। হৃদয়বিদারক এই ঘটনাটি ঘটেছে কেন্দুয়া উপজেলার রোয়াইলবাড়ী মাকাসীপাড়া গ্রামে। জানা গেছে, মৃত শিক্ষার্থীর নাম সুমাইয়া।অভিযোক্ত নিলাম্বরখীলা গ্রামের সাবেক মেম্বার আর্জুর ছোট ছেলে, আনিসুল হকের ছোট ভাই আশরাফুল ইসলাম নামে এক যুবকের সঙ্গে দীর্ঘদিন প্রেমের সম্পর্কে জড়িত ছিল মেয়েটি। পরিবার ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, বিয়ের প্রলোভনে বিভিন্ন জায়গায় নিয়ে একাধিকবার শারীরিক সম্পর্কের পর সম্প্রতি সম্পর্ক থেকে সরে আসতে চায় আশরাফুল।গত ২৯শে জুন, রোববার রোয়াইলবাড়ী বাজারে প্রকাশ্যে সুমাইয়াকে মারধর করে সে। অপমান ও মানসিক আঘাত সহ্য করতে না পেরে সুমাইয়া ওইদিন সকাল আনুমানিক ১১টার দিকে কিটনাশক (বিষ ) পানে আত্মহত্যার পথ বেছে নেয়। পরিবারের সদস্য ও এলাকাবাসী বলেন, মৃত্যুর আগে সুমাইয়া একটি চিরকুটে তার কষ্টের কথা ও আত্মহত্যার কারণ উল্লেখ করেছে ভোক্তভাগী।রোয়াইলবাড়ী ফাজিল মাদ্রাসার শিক্ষার্থী ছিল সুমাইয়া। চিরকুটটিতে ছিল তার না বলা যন্ত্রণার করুণ স্বীকারোক্তি। এই হৃদয়বিদারক ঘটনায় পুরো এলাকা জুড়ে শোকের ছায়া নেমে এসেছে। দ্রুত গ্রেপ্তারসহ দোষীর দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানিয়েছেন স্থানীয়রা ।আত্মহত্যা প্রসঙ্গে কেন্দুয়া থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মিজানুর রহমান বলেন, ঘটনার খবর পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গেই আমরা ঘটনাস্থলে পুলিশ পাঠাই এবং প্রাথমিক তদন্ত শুরু করি। ভোক্তভোগীর পরিবারের দেওয়া তথ্য ও উদ্ধার করা চিরকুটের ভিত্তিতে আমরা ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনায় নিয়ে আইনি প্রক্রিয়া চালিয়ে যাচ্ছি।অভিযুক্ত যুবকের বিষয়টি তদন্ত করে দেখা হচ্ছে। যদি প্রমাণ মেলে যে, বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে সম্পর্ক গড়ে তোলে এবং শারীরিক ও মানসিক নির্যাতন করে থাকে, তাহলে তার বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।” তিনি আরও বলেন, এ ধরনের ঘটনা অত্যন্ত দুঃখজনক। আমরা বিষয়টি সর্বোচ্চ গুরুত্ব দিয়ে তদন্ত করছি।”