
আহসান হাবীব নাহিদ সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রতিনিধি :
গাইবান্ধার সাদুল্লাপুরের জমিলা বেওয়ার অসহায়ত্ব ও দরিদ্রতার কথা জানতে পেরে সরজমিন গিয়ে নিজ অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী প্রদান করলেন সাদুল্লাপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র রায়।
উপজেলার ৮নং ভাতগ্রাম ইউনিয়নের কৃষ্ণপুর উত্তরপাড়া গ্রামের মৃত নজলা মিয়ার স্ত্রী ৭৩ বছর বয়সী বৃদ্ধা জমিলা বেওয়া সোজা হয়ে দাড়িয়ে চলাফেরা করতে পারলেও সংসারে থাকা বিধবা পুত্র বঁধু ও ১০ বছরের এক নাতির জন্য মানুষের বাড়ী বাড়ী গিয়ে ভিক্ষাবৃত্তি করে চালান সংসার। সমাজসেবী অধিদপ্তরের অর্থায়নে পরিচালিত বয়স্ক ভাতা তালিকায় অন্তর্ভুক্ত ভুক্ত থাকার কারণে ভাতা পেয়ে আসছিলেন কিন্তু ভাতার আবেদনে নিজের আঙ্গুলের ছাপ না আসার কারণে ছেলের নামে ব্যবহিত আঙুলের ছাপে ব্যবহিত মোবাইলের সিম নাম্বার দিয়েছিলেন আবেদন পত্রে এবং সেই নাম্বারেই পেয়ে আসছিলেন ভাতার অর্থ। ছেলের মৃত্যুর পরে উপজেলা সমাজসেবা কার্যালয়ে গিয়ে নাতনির নামে ব্যবহিত মোবাইলের সিম নাম্বার দিয়ে পরিবর্তন আবেদন করে আসেন। পরিবর্তনের আবেদন করার দীর্ঘদিন অতিবাহিত হলেও ভাতার অর্থ না পাওয়া বিষয়টি চ্যানেল এস এর সাদুল্লাপুর উপজেলা প্রতিনিধি আহসান হাবীব নাহিদ কে অবগত করেলে আবেদনের বিষয়টি সম্পর্কে উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা মানিক চন্দ্র রায় এর আলোচনা করলে তিনি আবেদন গ্রহণ করা হয়েছে বলে নিশ্চয়তা প্রদান করেন এবং আলোচনায় জমিলা বেওয়ার অসহায়ত্ব ও দরিদ্রতার বিষয়ে জেনে ৭ই জুলাই সোমবার বিকেলে চ্যানেল এস এর প্রতিনিধি আহসান হাবীব নাহিদ ও ইউনিয়ন সমাজকর্মীদের কে নিয়ে সরজমিন জমিলা বেওয়ার বাড়ীতে গিয়ে নিজ অর্থায়নে খাদ্য সামগ্রী জমিলা বেওয়ার হাতে তুলে দেন এবং জমিলা বেওয়া অসুস্থতা জনিত কারণ হলে তার পূর্ণ সংযোগিত প্রদান ও বিধবা পুত্র বঁধুর বিধবা ভাতার জন্য আবেদনকৃত বিধবা ভাতার ব্যবস্থা গ্রহণ করার জন্য আস্বস্ত প্রদান করেন।