• ঢাকা, বাংলাদেশ শনিবার, ১৬ অগাস্ট ২০২৫, ০৭:৩৬ পূর্বাহ্ন
  • [কনভাটার]
সর্বশেষ খবর
হবিগঞ্জের মাধবপুরে যৌথবাহিনীর অভিযানে ছাত্রদল নেতাসহ ২ চাঁদাবাজ আটক। নেত্রকোণায় খালেদা জিয়ার জন্মদিনে ছাত্রদলের দোয়া মাহফিল নেত্রকোনায় বারটানের“সুস্বাস্থ্যের জন্য ফলিত পুষ্টি “ বিষয়ক প্রশিক্ষন অনুষ্ঠিত শিল্পের তথ্য বিদেশে পাচারের অভিযোগে আশুলিয়া বিক্ষোভ   নওগাঁয় আত্রাই নদীর পানি বিপদ সীমার ৩৭ সেন্টিমিটার উপরে’ পানিবন্দী ৫শ’ পরিবার, ঝুকিপূর্ন বেশ কয়েকটি পয়েন্ট নাগরপুরে বেগম খালেদা জিয়া’র ৮0  তম জন্মদিন পালন  খালেদা জিয়ার ৮০তম জন্মবার্ষিকীতে শিবগঞ্জে দোয়া মাহফিল সাবেক প্রতিমন্ত্রী টিটু’র কুখ্যাত বেজি গ্রুপের প্রধান অমিও এবং ইমন গ্রেফতার নওগাঁয় মোবাইল ফোনে কথা বলতে নিষেধ করায় স্কুল ছাত্রীর আত্নহত্যা পাটুরিয়ায় পদ্মার ভাঙনে ৫ নম্বর ফেরিঘাট বন্ধ, ফেরি চলাচলে বিঘ্ন
বিশেষ খবর
কলমাকান্দা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন ফিল্মি স্টাইলে শিক্ষককে তুলে নিয়ে মাথা ফাটাল ছাত্রদল” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন  অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধাভোগীদের বিএনপিতে স্থান হবে না আনিসুজ্জামান বাবু নেত্রকোনায় জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিতে মানব-বন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আ.লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা, যা বললেন সিইসি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে : সিইসি সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করছে ইসি: সিইসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ বছর পর সম্মেলন ঘিরে বিএনপির ব্যাপক প্রস্তুতি ষড়যন্ত্র রুখে ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচন আদায় করতে হবে: রুমিন ফারহানা
মেহেদী হাসান বাবু ব্যুরো প্রধান,গাইবান্ধা। / ৭৬ জন দেখেছেন
আপডেটঃ শুক্রবার, ১১ জুলাই, ২০২৫

রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যেই নিশ্চিত হবে স্থায়ী গণতন্ত্র – অ্যাডঃ মাজহারুল ইসলাম সোহেল

অ্যাডঃ মাজহারুল ইসলাম সোহেল

মেহেদী হাসান বাবু ব্যুরো প্রধান,গাইবান্ধা।
রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর ক্ষমতার ভারসাম্যেই নিশ্চিত হবে স্থায়ী গণতন্ত্র – অ্যাডঃ মাজহারুল ইসলাম সোহেল
সংবিধান একটি দেশের মৌলিক আইন যা সরকার পরিচালনার নিয়মকানুন ও জনগণের অধিকার ও দায়িত্ব নির্ধারণ করে। বাংলাদেশের সংবিধানের ঘটনা প্রবাহ একটি জটিল প্রক্রিয়া, যেখানে রাজনৈতিক, সামাজিক ও আইনি বিষয়গুলো পরস্পর সম্পর্কিত। রাজনৈতিক অস্থিরতা, নির্বাচন, মানবাধিকার লঙ্ঘন, ইত্যাদি ঘটনা সংবিধানের প্রয়োগ এবং দেশের সাংবিধানিক কাঠামোকে প্রভাবিত করে। ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে লাল সবুজের পতাকা শোভিত স্বাধীন রাষ্ট্র হিসেবে, দীর্ঘ নয় মাসের রক্তক্ষয়ী যুদ্ধে বাংলাদেশের আত্মপ্রকাশ ঘটে। দীর্ঘ প্রায় ২৩ বছরের শোসন আর বঞ্চনার বিরুদ্ধে গণতান্ত্রিক আন্দোলন সংগ্রামের অভিজ্ঞতায় রাষ্ট্র হিসেবে আমরা সত্যিই সৌভাগ্যবান ছিলাম যে, স্বাধীনতার মাত্র এক বছরের মধ্যেই দেশের শাসনতন্ত্র প্রণয়নের গৌরব অর্জন করেছি। যদিও পরবর্তীতে ১৭ বার সংশোধনীর মাধ্যমে আমাদের সংবিধান কে কাঁটা ছেড়া করা হয়েছে। তবুও বাংলাদেশের সংবিধান অসাধারণ যুগোপযোগী, আধুনিক ও মানবিক একটি সংবিধান। ১৯৭০ সালের ডিসেম্বর ও ১৯৭১ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত নির্বাচনের জাতীয় পরিষদ ও প্রাদেশিক পরিষদের সদস্যদের নিয়েই গনপরিষদ গঠিত হয়। উক্ত গণপরিষদে ১৯৭২ সালের ১১ এপ্রিল তৎকালীন মাননীয় আইনমন্ত্রী ডক্টর কামাল হোসেন কে সভাপতি করে ৩৪ সদস্য বিশিষ্ট একটি সংবিধান প্রণয়ন কমিটি গঠিত হয়। সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সদস্যরা ১৯৭২ সালের ১৭ এপ্রিল হতে ০৩ অক্টোবর পর্যন্ত বিভিন্ন সময়ে বৈঠকে মিলিত হন। এবং ১৯৭২ সালের ১২ অক্টোবর সংবিধান প্রণয়ন কমিটির সভাপতি ও মাননীয় আইনমন্ত্রী ডক্টর কামাল হোসেন বিল আকারে খসড়া সংবিধান গণপরিষদে উপস্থাপন করেন। ১৯৭২ সালের ০৪ নভেম্বর গণপরিষদে বাংলাদেশের সংবিধান গৃহীত হয় এবং ১৯৭২ সালের ১৬ ডিসেম্বর হতে বাংলাদেশের সংবিধান কার্যকর হয়। ১৯৭৩ সালের ২০ সেপ্টেম্বর সংবিধানের দ্বিতীয় সংশোধনীর মাধ্যমে জরুরি অবস্থা’র বিধান সংযুক্ত করা হয়। দেশে একক নেতৃত্বের একটি ব্যবস্থার অধীনে ‘সমাজতান্ত্রিক রুপান্তর’ বাস্তবায়িত করতে গিয়ে, ১৯৭৪ সালের ২৮ ডিসেম্বর সংবিধানের ১৪১(ক) সংযুক্ত ধারাবলে দেশে জরুরি অবস্থা জারী করা হয়। বাংলাদেশের সরকারব্যবস্থার পরিবর্তন হয় ১৯৭৫ সালের ২৫ জানুয়ারি সংবিধানের চতুর্থ সংশোধনীর মাধ্যমে মন্ত্রীপরিষদ শাসিত সরকার ব্যবস্থা পরিবর্তিত হয়ে রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকারে রুপান্তর হয়, ঐতিহাসিকভাবে যা একদলীয় শাসন ব্যবস্থা নামেই সর্বাধিক পরিচিত।১৯৯০ সালের ২৮ নভেম্বর দ্বিতীয় বার প্রচণ্ড গণআন্দোলন কে দমানোর জন্যে জরুরি অবস্থা জারী করা হয় এবং ১৯৯০ সালের ০৬ ডিসেম্বর এরশাদ সরকারের পতন ঘটে। ১৯৯১ সালের ০৬ আগষ্ট দ্বাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে বাংলাদেশের সরকার ব্যবস্থা আবারো পুনঃরায় রাষ্ট্রপতি শাসিত সরকার ব্যবস্থা হতে মন্ত্রীপরিষদ শাসিত সরকার ব্যবস্থায় রুপান্তরিত হয়। ১৯৯৬ সালের ১৫ ফেব্রুয়ারি বিতর্কিত নির্বাচনের পরে, ১৯৯৬ সালের ২৭ মার্চে ত্রয়োদশ সংশোধনীর মাধ্যমে সংবিধানে নির্দলীয় নিরপেক্ষ তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা জাতীয় সংসদে পাশ হয়। পরবর্তীতে আদালতের রায়ের অজুহাত দেখিয়ে পূর্নাজ্ঞ রায় প্রকাশের পূর্বেই ২০১১ সালের ৩০ জুন সংবিধানে পঞ্চদশ সংশোধনীর মাধ্যমে তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কে বিলুপ্ত করা হয়। এর ফলে ১৯৯১ পরবর্তী দেশের গণতান্ত্রিক ব্যবস্থা যেভাবে সুসংগঠিত হচ্ছিল, তা আবারো হুমকির সম্মুখীন হয়। তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কে বিলুপ্ত করে এবং প্রধান-প্রধান দল সমূহের মধ্যে বিকল্প অন্য কোন ব্যবস্থা গঠিত না হওয়ায় তৎকালীন ক্ষমতাসীন সরকার, দেশে ২০১৪, ২০১৮ ও ২০২৪ সালে তিনটি বিতর্কিত জাতীয় নির্বাচন অনুষ্ঠিত করে। উক্ত তিনটি নির্বাচনেই নাগরিকদের ভোট দিতে না পারার ক্ষোভ ও সরকারি চাকুরীতে কোটা ব্যবস্থা বাতিলের দাবীতে ২০২৪ সালের ০৫ আগষ্ট তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী দেশ ছেড়ে পালিয়ে ভারতে আশ্রয় গ্রহণ করেন। ০৮ আগষ্ট, ২০২৪ দেশের একমাত্র নোবেলবিজয়ী ডক্টর মোহাম্মদ ইউনুসের নেতৃত্বে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার গঠিত হয়। বর্তমান অন্তর্বর্তীকালীন সরকার সংবিধান সংস্কার কমিটি গঠন করেছেন। তাঁরা সকল রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের সঙ্গে আলোচনা করছেন। প্রত্যাশা করছি সংস্কার কমিটির আলোচনা যেন ফলপ্রসূ হয় এবং তাঁরা যেন একটি ঐক্যমত্যে উপনীত হন। আগামী ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাধ্যমে গঠিত সংসদের মাননীয় সংসদ সদস্যরা যেন সংবিধানের অষ্টাদশ সংশোধনীর মাধ্যমে ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ করে। এমন একটি ক্ষমতার বিকেন্দ্রীকরণ হয় যেন ভবিষ্যতে আমাদের গণতন্ত্র কোনভাবেই আর হুমকির সম্মুখীন না হয়। ক্ষমতার সেই বিকেন্দ্রীকরণে যেন মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী উভয়ের ক্ষমতার ভারসাম্য তৈরী হয়। মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধানমন্ত্রী’র ক্ষমতার ভারসাম্য করতে হলে, বিচার বিভাগ ও প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় উভয় বিভাগ কে যৌথভাবে মহামান্য রাষ্ট্রপতির অধীনে রাখতে হবে। মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রচলিত আইন ও প্রথা মেনে বিচার বিভাগ, প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় পরিচালনা করবেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের মাননীয় সর্বজৌষ্ঠ (কর্মকাল বিবেচনায়) বিচারপতি মহোদয় কে বাংলাদেশের মাননীয় প্রধান বিচারপতি নিয়োগ প্রদান করবেন। পাশাপাশি বিচার বিভাগের সর্বস্তরে (আপিল বিভাগ, হাইকোর্ট বিভাগ ও জেলা জজ আদালতেও) জৌষ্ঠতা মেনে চলতে হবে। বিচার বিভাগের নিয়োগ, বদলি ও পদন্নোতি সহ বিচার বিভাগীয় সকল কর্মকাণ্ড মহামান্য রাষ্ট্রপতি ও মাননীয় প্রধান বিচারপতি সম্পন্ন করবেন (মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় আইনমন্ত্রী উক্ত কর্মকাণ্ডে কোন হস্তক্ষেপ করবেন না)। মহামান্য রাষ্ট্রপতি প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের প্রধান হিসেবে জৌষ্ঠতার ভিত্তিতে বাংলাদেশ সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধান কে নিয়োগ প্রদান করবেন। প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের সকল কর্মকাণ্ড মাননীয় সেনা, নৌ ও বিমান বাহিনীর প্রধানগন যৌথভাবে মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট দায়বদ্ধ থাকবেন (তবে উল্লেখ্য যে প্রতিরক্ষা ইস্যু যেহেতু রাষ্ট্রের নিরাপত্তার সাথে সংশ্লিষ্ট সুতরাং প্রতিরক্ষা সংক্রান্ত যাবতীয় কর্মকাণ্ড মাননীয় প্রধানমন্ত্রী ও মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতার সাথে পরামর্শ গ্রহন করবেন)।পাশাপাশি দেশের আর একটি গুরুত্বপূর্ণ সংস্থা হচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন। দুর্নীতি কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনের সদস্য দের কে মহামান্য রাষ্ট্রপতি নিয়োগ দান করবেন। মহামান্য রাষ্ট্রপতি পৃথকভাবে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী, মাননীয় বিরোধীদলীয় নেতা ও পিএসসি’র চেয়ারম্যানের নিকট হতে প্রাপ্ত তালিকা হতে দুর্নীতি দমন কমিশনের চেয়ারম্যান ও কমিশনের সদস্য দের নিয়োগ দান করবেন। দুর্নীতি দমন কমিশনের সকল কর্মকাণ্ড মহামান্য রাষ্ট্রপতির নিকট দায়বদ্ধ থাকিবে।উল্লেখিত তিনটি বিভাগ / সংস্থা ব্যতীত সকল কিছু মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর অধীনে থাকিবেন এগুলো ব্যতীত জাতীয় সংসদের মাননীয় ডেপুটি স্পিকার বিরোধীদল হতে নিয়োগ প্রদান করবেন। পাশাপাশি সংসদীয় কমিটির মধ্যে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, আইন মন্ত্রণালয়, জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়, সমাজকল্যাণ মন্ত্রণালয়, শিক্ষা মন্ত্রণালয় ও স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি কে বিরোধীদলীয় সংসদ সদস্য হতে করতে হবে এবং অন্যান্য সকল মন্ত্রণালয়ের সংসদীয় কমিটির সভাপতি সরকার দলীয় সংসদ সদস্য হবে।যেহেতু মহামান্য সুপ্রিম কোর্ট তত্ত্বাবধায়ক সরকার ব্যবস্থা কে পূর্নবহাল করে রায় প্রদান করেছেন, সুতরাং দীর্ঘদিনের যে সৃষ্ট নির্বাচনকালিন সরকারের সমস্যা তা আর থাকবে না, সম্পূর্ণ কেটে যাবে। আগামী সংসদে নির্বাচনকালিন সরকারের কাঠামো মহামান্য সুপ্রিম কোর্টের রায় ও ত্রয়োদশ সংশোধনীর আলোকে পুনরায় সংবিধানে সংযুক্ত করলে নির্বাচন নিয়ে সমস্যা দূরীভূত হবে। এবং নির্বাচনি সমস্যার স্থায়ী সমাধান করতে পারলে দেশের গণতন্ত্র সুনিশ্চিত হবে।উল্লেখিত কর্মকাণ্ড সম্পন্ন করতে পারলে দেশে যেমন আইনের শাসন নিশ্চিত হবে, পাশাপাশি গণতন্ত্রও সুপ্রতিষ্ঠিত হবে।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিষয়ের আরও খবর
August 2025
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

Categories