নিজস্ব প্রতিবেদক:
রাজধানীর মিটফোর্ড এলাকায় সংঘটিত লালচাঁদ সোহাগ হত্যাকাণ্ডকে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে ব্যবহার করা হচ্ছে বলে অভিযোগ করেছে বিএনপি। সোমবার গুলশানে দলীয় চেয়ারপারসনের রাজনৈতিক কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলের মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এই অভিযোগ করেন।লিখিত বক্তব্যে তিনি বলেন, মিটফোর্ড হত্যাকাণ্ড নিয়ে একটি মহল পরিকল্পিতভাবে রাজনৈতিক পরিবেশ উত্তপ্ত করছে। জাতীয় নির্বাচনকে বাধাগ্রস্ত করতে এবং একটি বিশেষ দল ও নেতৃবৃন্দকে হেয় করতে এটি ব্যবহৃত হচ্ছে।দলীয় ব্যবস্থা ও অভিযোগের অসঙ্গতি
ফখরুল জানান, এই ঘটনায় যাদের বিরুদ্ধে অভিযোগ আনা হয়েছে, তাদের সরাসরি সম্পৃক্ততার প্রমাণ নেই। এরপরও দলীয় শৃঙ্খলার আওতায় অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আজীবন বহিষ্কারের মতো কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।তিনি বলেন, নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকেও এজহারে নাম থাকা কয়েকজনের বিরুদ্ধে কোনো অভিযোগ নেই বলে জানানো হয়েছে। এটি একটি গভীর ষড়যন্ত্রের ইঙ্গিত দেয়।প্রশ্নের জন্ম দিচ্ছে পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা বিএনপি মহাসচিব প্রশ্ন তোলেন, দিনদুপুরে, শত মানুষের সামনে, পুলিশের নিকটবর্তী স্থানে এ হত্যাকাণ্ড সংঘটিত হলো অথচ কেউ প্রতিরোধ করল না, এ বিষয়টি জনমনে প্রশ্নের সৃষ্টি করছে। তিনি বলেন, ঘটনার আসল অপরাধীদের গ্রেপ্তার না করে বিএনপির ওপর দায় চাপানো হচ্ছে রাজনৈতিক উদ্দেশ্যেই।ফ্যাসিবাদ পুনরুত্থানের আশঙ্কামির্জা ফখরুল বলেন, এই ঘটনার পর একাধিক ফেসবুক পেজ ও আইডি থেকে আগে থেকেই তৈরি করা ফটোকার্ড ছড়িয়ে দেওয়া হয়। এটা থেকেই বোঝা যায় যে, এটি একটি পরিকল্পিত অপপ্রচারের অংশ। তিনি আশঙ্কা প্রকাশ করে বলেন, দেশ আবারও ফ্যাসিবাদী রাজনীতির দিকে ধাবিত হচ্ছে।”দলের অবস্থান স্পষ্টতিনি বলেন, অপরাধীর কোনো দল নেই। আমরা কখনোই অপরাধীর পক্ষে নয়। কিন্তু অপরাধকে কেন্দ্র করে যারা রাজনৈতিক ফায়দা নিতে চায়, তাদের আমরা প্রতিহত করবো। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ড. খন্দকার মোশাররফ হোসেন, মির্জা আব্বাস, গয়েশ্বর চন্দ্র রায়, সালাহউদ্দিন আহমেদ, বেগম সেলিমা রহমান, টুকু, মেজর (অব.) হাফিজ উদ্দিন আহমেদ, ও ডা. এ জেড এম জাহিদ হোসেন উপস্থিত ছিলেন।