
আটপাড়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:
আটপাড়া উপজেলায় পাট উৎপাদনে একযুগ আগেও ব্যাপক খ্যাতি ছিল। তবে চলতি সময়ে পাটের ন্যায্য মূল্য না পেয়ে কৃষকদের চোখে মুখে নেই কোনো হাসি। উৎপাদন মৌসুমেও রপ্তানিযোগ্য এই পণ্যটির উপস্থিতি চোখে পড়ার মতো নয়। পাটের আশঁ কম হওয়ায় ফলন অনেক কমে গেছে। এছাড়া বীজ, সার, তেল, ওষুধ আর মুজুরীর খরচ বেশির কারণে এবং কম দামে পাট বিক্রি করে লোকসানের মুখে পড়েছেন বেশীর ভাগ পাট চাষীরা। এছাড়া সরকার কর্তৃক যে তোষা পাটের প্রণোদনা দেওয়া হয় এই উপজেলায় কৃষকদের তা আবাদ করতে দেখা যায় না ।
কৃষকদের অভিযোগ চলতি মৌসুমে সার,ওষুধ ও মুজুরীর মুল্য বেশি হওয়ায় পাটের উৎপাদন খরচ বেড়েছে অনেক। তার ওপর আবার সঠিক সময় মতো বৃষ্টিপাত না হওয়ায় কাঙ্ক্ষিত উৎপাদনও হয়নি তাদের।তাছাড়া শ্রমিক দিয়ে আঁশ ছাড়ানো ও শুকনোর জন্য যে টাকা খরচ হচ্ছে,পরিবারের সকল সদস্য মিলে যে পরিমান শ্রম ও সময় ব্যায় করেছে,সেটা ধান বা মৌসুমের অন্য যে কোনো ফসলের জন্য করলে অনেক লাভ হতো তারা জানান। পাট চাষী মোকসুদ আলী বলেন আগামী বছর আর পাট চাষ করবো না প্রতিবছর আর কত লস দেখবো। উপজেলা কৃষি সম্প্রসারণ সূত্রমতে, এবছর আটপাড়া উপজেলায় ৪৫০ হেক্টর লক্ষ্যমাত্রা ছিল। তবে খুব কম সংখ্যক কৃষক পাটের আবাদ করেছে।উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা ফয়জুন নাহার নিপা বলেনএ উপজেলার মাটি ও আবহাওয়া পাট চাষে উপযোগী হওয়ায় এ অঞ্চলে আগে উন্নত মানে পাট উৎপাদন হতো”। “তবে প্রতি বছর উৎপাদন ব্যয় তুলনামূলক বেড়েছে এবং আবহাওয়া জনিত কারণে পাট চাষে আগ্রহ হ্রাস পাচ্ছে” । তবে সচেতন মহল বলেন সরকার প্রণোদনা দিলেও যথেষ্ট তদারকির অভাব আছে কিনা তা খতিয়ে দেখার দাবি।