চাঁপাইনবাবগঞ্জের শিবগঞ্জ উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বিনোদপুর খাসের হাট আজ রীতিমতো দখলদারদের রাজ্যে পরিণত হয়েছে। সরকারি হাটের গরু উঠার মূল মাঠজুড়ে এখন গজিয়ে উঠেছে অন্তত ৫০টি অবৈধ দোকান। একসময় যেখানে প্রতি হাটে উঠত ৫০০-৭০০ গরু সেখানে এখন গরুর সংখ্যা নেমে এসেছে ৮০-১০০-তে। হাটের আয়ের প্রধান উৎসই এখন প্রায় বন্ধ হওয়ার পথে।সরজমিন ঘুরে দেখা গেছে, গরুর দাঁড়ানোর জায়গাও ফাঁকা নেই। পুরো জায়গা দখল করে নিয়েছে চায়ের দোকান, মুদিখানা, খাবার হোটেল থেকে শুরু করে নানা স্থাপনা। এর ফলে হাটের পশু ব্যবসায়ীরা যেমন ক্ষতিগ্রস্ত, তেমনি ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে হাট ইজারাদাররা ।বাংলা ১৪৩২ সনের জন্য হাটটি ৩২ লাখ ৫০ হাজার টাকায় ইজারা নিয়েছেন মো. রেদওয়ানুল বারী। তিনি বলেন, হাট ইজারা নিয়েছি লাভের আশায়, কিন্তু এখন দেখি পুরো জায়গা দখলে। গরু উঠবে কোথায়? প্রশাসনকে বারবার জানানো সত্ত্বেও কার্যকর কোনো পদক্ষেপ দেখা যাচ্ছে না।একই ক্ষোভ পশু ব্যবসায়ী আবদুল খালেকের কণ্ঠেও। তিনি জানান, এই হাটে আগে প্রতিটি হাটে শত শত গরু নামতো। এখন জায়গাই নেই। বেচাকেনা বলতে গেলে বন্ধ। আমরা এখন অন্য হাট খুঁজছি।স্থানীয় একজন সচেতন নাগরিক আবদুস শুভান বলেন,সরকারি হাটের জমি দখল করে দোকান বসানো সম্পূর্ণ বেআইনি। অথচ দেখার কেউ নেই। অবিলম্বে কঠোর ব্যবস্থা নিতে হবে। এদিকে হাট পরিচালনাকারী আমিনুল ইসলাম জানান,গত বছর যেখানে আয় হতো লাখ টাকায়, সেখানে এখন আয় নেমে এসেছে অনেক নিচে। হাটের জায়গা সংকুচিত হওয়ায় ইজারাদার ও ব্যবসায়ীরা মারাত্মক ক্ষতির মুখে।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাহার আলী বলেন, দখলদারদের একাধিকবার উচ্ছেদ করা হয়েছে। কিন্তু তারা আবার ফিরে আসে। বিষয়টি জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে। অনুমতি পেলেই দ্রুত অভিযান চালানো হবে।এই হাট শুধু একটি বাজার নয়, এটি উপজেলার অর্থনৈতিক প্রাণ। এই বাজারের রাজস্ব দিয়ে চলে স্থানীয় উন্নয়ন। হাটে পশু না উঠলে শুধু ইজারাদার নয়, ক্ষতিগ্রস্ত হয় পুরো অঞ্চল। তাই দখলদার উচ্ছেদ এখন সময়ের দাবি, বলছেন সচেতন মহল