নওগাঁর ধামইরহাট উপজেলায় প্রবাসী নারীকে মিথ্যে বিয়ের ফাঁদে ফেলে রবিউল ইসলাম নামের এক যুবকের বিরুদ্ধে সাড়ে ৭ লক্ষ টাকা আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে। সঠিক বিচারের দাবিতে ভুক্তভোগী ওই নারী সংবাদ সম্মেলন করেছেন। বুধবার ধামইরহাট সাংবাদিক ইউনিয়নের সাংবাদিকদের সহিত এ সংবাদ সম্মেলন করেন ভুক্তভোগী নারী ফজিলাতুন নেছা। সে উপজেলার আলমপুর ইউনিয়নের চক ভাইখাঁ গ্রামের মৃত ফয়েজ উদ্দীনের মেয়ে।সংবাদ সম্মেলনে তিনি বলেন, আমি ২০১৭ সালে প্রথমে সৌদি আরবে প্রবাস জীবন শুরু করি। পরে সেখান থেকে ওমান দেশে যাই। সেখানে থাকা অবস্থায় উপজেলার জাহানপুর ইউনিয়নের বিকন্দখাস এলাকার আসাদুল ইসলামের ছেলে রবিউল ইসলামের সঙে আমার প্রেমের সম্পর্ক তৈরি হয়। পরে তার সঙ্গে আমার মোবাইল ফোনের মাধ্যমে বিবাহ হয়। পরে ১শত টাকার একটি ভুয়া স্ট্যাম্পের মাধ্যমে আমাদের বিবাহের চুক্তিপত্র হয়। সেই থেকে আমরা দীর্ঘ কয়েক বছর স্বামী স্ত্রীর মত একে অপরের সঙ্গে নিয়মিত কথা বলি। পরে তাকে নিজের স্বামী হিসেবে বিশ^াস করে ব্যাংকের মাধ্যমে ৩লক্ষ এবং বিকাশ এর মাধ্যমে সাড়ে ৪ লক্ষ টাকা জমানোর জন্য পাঠিয়ে থাকি।তিনি আরও জানান, তাকে উপজেলার হরিতকীডাঙ্গা বাজারে একটি ফার্মেসির ব্যবসা প্রতিষ্ঠান পর্যন্ত তৈরি করে দিয়েছিলাম। পরে জানতে পারি সে আমাকে ভুয়া স্ট্যাম্পের মাধ্যমে বিয়ের নাটক সাজিয়ে আমার টাকাগুলো আত্মসাৎ করেছেন। আমি আরও জানতে পারি সে বিবাহিত এবং একটি ছেলে সন্তানের পিতা। আমাকে মিথ্যে কথা বলে আমার এতগুলো টাকা সে আত্মসাৎ করেছে। আমি তার বিরুদ্ধে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছি। অভিযোগ দেয়াতে ওই ছেলের পক্ষের লোকজন আমাকে এবং আমার পরিবারের লোকজনকে বিভিন্ন ভাবে ভয়ভিতি দেখাচ্ছে। আমি প্রশাসনের নিকট বিচার চাই পাশাপাশি আমার কষ্টের উপার্জিত টাকা আমি দ্রæত ফেরত চাই।অভিযুক্ত রবিউল ইসলামের সঙ্গে মুঠোফোনে একাধিকবার যোগাযোগ করার চেষ্টা করা হলে তার মোবাইল ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।