রানা খান, আটপাড়া (নেত্রকোনা) প্রতিনিধি:
নেত্রকোনা জেলার আটপাড়া উপজেলার শিক্ষার্থীদের অন্যতম স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন আটপাড়া স্টুডেন্টস’ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন আয়োজিত “প্রজেক্ট কেয়ার আটপাড়া” শিরোনামে ৩ দিনব্যাপী একটি সামাজিক সচেতনতা এবং পরিবেশ উন্নয়নমূলক কার্যক্রম শুরু হয়েছে।প্রকল্পের প্রথম দিন, (৭ আগস্ট) বৃহস্পতিবার উপজেলার বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান এবং গুরুত্বপূর্ণ স্থানে প্রায় ৫০০ অধিক ফুল, ফল ও ঔষধি গাছের চারা রোপণ করা হয়। আটপাড়া উপজেলার সাতটি ইউনিয়নের বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান ছাড়াও জনবহুল এলাকাগুলোতে এই বৃক্ষরোপণ কার্যক্রম পরিচালনা করা হয়। পাশাপাশি, উপজেলার বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে বিনামূল্যে গাছের চারা বিতরণ করা হয়, যা প্রজেক্টটিকে আরও জনসম্পৃক্ত ও কার্যকর করেছে।প্রকল্পের দ্বিতীয় দিনে (৮ আগস্ট) উপজেলার বিভিন্ন জনবহুল ও অপরিচ্ছন্ন এলাকায় পরিচ্ছন্নতা অভিযান পরিচালনা করেন সংগঠনের স্বেচ্ছাসেবকরা। এ সময় স্থানীয় জনসাধারণও স্বতঃস্ফূর্তভাবে অংশগ্রহণ করেন।প্রজেক্ট লিডার হিমেল আহমেদ সাকিব জানান, “আটপাড়ার শিক্ষা, সংস্কৃতি ও পরিবেশ উন্নয়নে আমরা বিগত ছয় বছর যাবত নিরবিচারে কাজ করে যাচ্ছি। ‘প্রজেক্ট কেয়ার আটপাড়া’ আমাদের প্রকৃতিক পরিবেশ সংরক্ষণে এক নতুন মাইলফলক হবে। প্রশাসন এবং স্থানীয়দের সহযোগিতা পেলে আমরা নিয়মিতভাবে এমন কার্যকরী উদ্যোগ গ্রহণ করে আটপাড়ার সামগ্রিক উন্নয়নে ভূমিকা রাখবো।”উপজেলা নির্বাহী অফিসার রুয়েল সাংমা এ প্রকল্প সম্পর্কে বলেন,> “আটপাড়ার পরিবেশ রক্ষায় শিক্ষার্থীদের সংগঠনটি ধারাবাহিকভাবে যে কার্যক্রম পরিচালনা করছে তা প্রশংসনীয়। ‘প্রজেক্ট কেয়ার আটপাড়া’ নিঃসন্দেহে একটি সময়োপযোগী উদ্যোগ। এছাড়া প্রকল্পের স্পন্সর প্রতিষ্ঠান চন্দ্রকলী ফাউন্ডেশন-কে আন্তরিক ধন্যবাদ জানাই। আশা করি, তারা ভবিষ্যতেও আটপাড়ার কল্যাণে সহযোগিতা অব্যাহত রাখবে।”২০২০ সালে প্রতিষ্ঠিত আটপাড়া স্টুডেন্টস’ ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন ইতোমধ্যেই স্থানীয় শিক্ষার্থীদের মাঝে ব্যাপক আলোড়ন তুলেছে। প্রতিবছর সংগঠনটি আয়োজন করে শিক্ষা মেলা, স্কলারশিপ পরীক্ষা, বিতর্ক ও কুইজ প্রতিযোগিতা, বৃক্ষরোপণ কর্মসূচি, সেমিনার, সাংস্কৃতিক সন্ধ্যা এবং ক্রীড়া প্রতিযোগিতা সহ নানা ধরনের শিক্ষামূলক ও সামাজিক উন্নয়ন কর্মকাণ্ড।প্রজেক্ট কেয়ার-এর এই বৃক্ষরোপণ কার্যক্রমের মাধ্যমে আটপাড়ায় পরিবেশগত ভারসাম্য রক্ষা, সবুজায়ন বৃদ্ধি এবং জনসচেতনতা বৃদ্ধির একটি নতুন দিগন্ত উন্মোচিত হয়েছে বলে মত দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা।