টিকটক ইমো ফেসবুকে তরুণ-যুবকদের প্রেমের ফাঁদে ফেলে ব্ল্যাকমেইল করে মোটা অংকের অর্থ হাতিয়ে নেয় রাজশাহীর শিল্পী আক্তার। ভুক্তভোগী যুবকদের বিরুদ্ধে দফায় দফায় মিথ্যা মামলা ও হয়রানীর প্রতিবাদ জানিয়ে এবং বিচারের দাবিতে সংবাদ সম্মেলন হয়েছে চাঁপাইনবাবগঞ্জে।সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরে জেলা শহরের একটি অফিসে ভুক্তভোগী শামীম বাবু নামের এক যুবক সংবাদ সম্মেলন করেছেন। শামীম বাবুর বাড়ি সদর উপজেলার চরবাগডাঙ্গা ইউনিয়নের বাখের আলী গ্রামে। অভিযুক্ত নারী রাজশাহীর বাঘা এলাকার ফজলুর মেয়ে শিল্পী আক্তার (৩০)। সংবাদ সম্মেলনে ভুক্তভোগী শামীম বাবু বলেন, একটি ইন্সুরেন্সের কাজে গিয়ে শিল্পী আক্তারের সাথে পরিচয়ের সূত্র ধরে প্রেমের ফাঁদে ফেলে বিয়ে করে। এরপর বিভিন্ন অযুহাতে কয়েক লাখ টাকার স্বর্ণালংকার ও আসবাবপত্র কিনে নেয়। কিন্তু এখন ২০ লাখ টাকা দাবি করছে। টাকা দিতে অস্বীকৃতি জানালে র্যাব, পুলিশ, ডিবি পরিচয়ে বিভিন্ন মানুষকে দিয়ে ভয়ভীতি ও হুমকি দিচ্ছে। আমার নামে মিথ্যা মামলা করে হয়রানির চেষ্টা করছে। আমার আগে আরো কয়েকজন যুবককে একইভাবে ফাঁসিয়েছে।তিনি আরো বলেন, শিল্পী আক্তারের জন্য এটিই প্রথম প্রতারণার ঘটনা নয়। এর আগে হারুন নামের এক ব্যক্তিকে বিয়ে করেছিলেন তিনি। ঠিক একই কৌশলে যৌতুকের মামলা করে, সেই মামলা তুলে নেওয়ার শর্তে হারুনের কাছ থেকে তিনি আদায় করেন ৭ লক্ষ টাকা। শিল্পীর প্রতারণার মূল মাধ্যম হলো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম। ফেসবুক ও ইমুতে বিভিন্ন পুরুষের সাথে প্রেমের সম্পর্ক গড়ে, পরে আইনি প্যাঁচে ফেলার হুমকি দিয়ে অর্থ আদায় করাই তার মূল কৌশল। শিল্পী আক্তার এখন ২০ লক্ষ টাকা দাবি করছে। সেই টাকা না পেয়ে আমাকে ফাঁসাতে এই পথ বেছে নিয়েছেন।ঘটনার সুষ্ঠ তদন্ত ও বিচার দাবি করেন ভুক্তভোগী যুবক শামীম বাবু। তবে মুঠোফোনে অভিযোগ অস্বীকার করেন শিল্পী আক্তার। তিনি বলেন, আমরা দুজনে বিয়ে করেছিলাম, কিন্তু এখন সংসার করব না। তবে স্বামীর নামে চুরির মামলা করার বিষয়ে কোন মন্তব্য করতে রাজি হননি শিল্পী আক্তার।