সৈয়দ সময় ,নেত্রকোনা:
নেত্রকোণার কেন্দুয়ায় সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের এক সহকারী শিক্ষিকা ছুটি ছাড়াই ১৫ দিন যাবত অনুপস্থিত তাঁর কর্মস্থলে।দিচ্ছেন প্রক্সি/পাঠদান ডিগ্রি পড়ুয়া এক শিক্ষার্থী।বৃহস্পতিবার (৭ আগস্ট) দুপুরে বলাইশিমুল বড়বাড়ি সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে সরেজমিনে গিয়ে এর সত্যতাও মিলে । তাঁর জায়গায় প্রক্সি দিচ্ছেন অর্পিতা আক্তার ।সোমবার (১১ আগস্ট) দুপুরেও উক্ত বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী ও প্রধান শিক্ষকের সাথে মুঠোফোন কথা বলে জানা যায় আজও ঐ অভিযুক্ত সহকারি শিক্ষক বিদ্যালয়ে আসেননি।অভিযুক্ত ও অনুপস্থিত শিক্ষিকার নাম সুমাইয়া জাহান রিম্মি।তাঁর স্থায়ী ঠিকানা রাজিবপুর, বটরগাতি, বলাইশিমুল ইউনিয়নে হলেও বর্তমানে তিনি নেত্রকোণার বনুয়াপাড়ায় বসবাস করছেন। অভিযোগ রয়েছে গত দুই মাস যাবত তিনি বিদ্যালয়ে পাঠদান করছেন না।মাঝে মাঝে স্কুলে এসে শুধু স্বাক্ষর করে চলে যান।স্থানীয় বাসিন্দাদের একজন নাম না প্রকাশের শর্তে বলেন,রিম্মি ম্যাডাম স্কুলে নিয়মিত আসেন না।মাসে পনেরো দিনে একবার এসে শুধু স্বাক্ষর করে চলে যান।বিদ্যালয়ের একজন শিক্ষিকা (নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক) আক্ষেপ করে বলেন, “যারা স্কুল ফাঁকি দেয়, তারা ক্ষমতার বলেই ফাঁকি দেয়। তাদের বেলায় কারো কিছু করার থাকে না।আমাদের মত মানুষ সব সময় কলুর বলদের মতো খেটে যাই। আবার শেষে দোষীর ভাগীদারও হই।”অভিযুক্ত শিক্ষিকা সুমাইয়া জাহান রিম্মির সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি জানতে চান,কে অভিযোগ করেছে ? তিনি আরো বলেন, আমি নৈমিত্তিক ছুটিতে আছি।উক্ত প্রতিষ্ঠানের প্রধান শিক্ষক মো. শাহজাহান বলেন, রিম্মি একটু অসুস্থ। মানে তিনি প্রেগন্যান্ট। তাই তিনি ১৫ দিন যাবত আসছেন না। তিনি আরো বলেন, কয়েক জন শিক্ষক নেতার অনুরোধে ও মানবিক কারণে তার জায়গায় আপাতত অর্পিতা পাঠদান করছেন।তবে রিম্মি ম্যাডাম অফিসিয়ালি কোন ছুটি নেননি।উপজেলা সহকারী শিক্ষা অফিসার মো. সবুর মিয়া মুঠোফোনে জানান, বিষয়টি আমার জানা ছিলো না।পরে খোঁজ-খবর নিয়ে দেখেছি এর সত্যতাও মিলেছে।আমি পরবর্তী পদক্ষেপ নিচ্ছি।এ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার ইমদাদুল হক তালুকদারের সাথে মুঠোফোনে কথা হলে তিনি বলেন, আমি শিক্ষা অফিসারের সাথে এ ব্যাপারে কথা বলবো যেন বিষয়টি খতিয়ে দেখে যথাযথ ব্যবস্থা নেয়