খোরশেদ আলম, সাভার প্রতিনিধিঃ
একের পর এক গণমাধ্যম কর্মীদেরকে হুমকি ধামকি শিকার হতে হচ্ছে, গাজীপুরে সাংবাদিক তুহিন হত্যাকাণ্ডের রেশ কাটতে না কাটতেই সাভারের শিল্পাঞ্চল আশুলিয়ায় বেসরকারি টেলিভিশন ৭১ টিভির আশুলিয়া প্রতিনিধি জাহিদুল ইসলাম অনিককে মারধর ও অপহণ চেষ্টার ঘটনা ঘটেছে। এ সময় ঘটনাস্থল থেকে দু’জনকে আটক করে থানায় হস্তান্তর করেছে স্থানীয়রা জনতা।আটক দু’জন হলেন- নওগার বদলগাছী থানার খাদাইল মিঠাপুর এলাকার মরহুম ওয়াহেদের ছেলে ইমন (৩২) এবং অন্যজন তার ভাই জাহিদ হাসান (২৬)।মঙ্গলবার (১২ আগস্ট) সকালে আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সফিকুল ইসলাম সুমন তাদের দুই জন কে আদালতে পাঠানোর বিষয়ে নিশ্চিত করেছেন। এর আগে, সোমবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে আশুলিয়ার বাইপাইলে এ ঘটনা ঘটে।হামলার শিকার অনিক বলেন, ‘গতকাল রাতে একটি অনুসন্ধান শেষ করে চায়ের দোকানে যাচ্ছিলাম। সেখানে আগে থেকে দু’জন মোটরসাইকেল নিয়ে অপেক্ষা করছিলেন। পরে সেখান থেকে বাসার উদ্দেশ্যে রওনা হলে তারা মোটরসাইকেল নিয়ে আমার পিছু নেয়। আমি বাইপাইল বাসস্ট্যান্ড এসে পৌছলে তাদের আরো একটি প্রাইভেটকারে চারজনকে দেখা যায়। কোন কিছু বুঝে উঠার আগেই দেশীয় অস্ত্র নিয়ে আমার উপর হামলা চালায় ও প্রাইভেটকারে উঠিয়ে নেয়ার চেষ্টা করে। পরে স্থানীয়রা এগিয়ে এলে সবাই পালিয়ে যায়। ওই সময় দু’জনকে আটক করে পুলিশে দেয়া হয়।’তিনি আরো বলেন, ‘আমার অনুসন্ধান ছিলো ফার্মেসি নামের আড়ালে মাদকদ্রব্য সরবরাহ ও বিক্রি নিয়ে। এই নিয়ে তারা আমাকে টার্গেটে রাখে। তারা জানত আমি কাজ শেষে আশুলিয়ার পল্লীবিদ্যুৎ এলাকায় যাবো। তাদের পরিকল্পনা ছিল যেকোনোভাবে অপ্রীতিকর পরিস্থিতি তৈরি করে আমাকে অপহরণ করা। ওই সময় তাদের পরিকল্পনা বুঝতে পেরে ওই স্থান ত্যাগ করি। কিন্ত তারা পিছু নেয় এবং তাদের পূর্ব পরিকল্পনার অনুযায়ী আগে থেকেই দেশীয় অস্ত্র ও প্রাইভেটকার নিয়ে বাইপাইল আমার বাসায় যাওয়ার সড়কে অবস্থান নিয়ে রাখে। তারা চেষ্টা করেছে গাড়িতে উঠিয়ে নেয়ার। একজন ধারালো অস্ত্র দিয়ে মারার চেষ্টা করেছে। কিন্ত আঘাত লাগেনি। এছাড়া বাকিরা মারধর করেছে। ওই সময় স্থানীয়রা এগিয়ে এলে প্রাইভেটকার নিয়ে চারজন পালিয়ে যায়। বাকি দু’জন মোটরসাইকেল স্ট্যার্ট না হওয়ায় পালিয়ে যেতে পারেনি। পরে তাদের আটক করে পুলিশে খবর দেয়া হয়। পরে আমাকে উদ্ধার করে প্রথমে ধামরাই উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে যায়। সেখানে প্রাথমিক চিকিৎসা শেষে স্থানীয় একটা ক্লিনিকে ভর্তি করে।আশুলিয়া থানার পরিদর্শক (অপারেশন) সফিকুল ইসলাম সুমন জানান, ‘ঘটনার খবর পাওয়ার পর পর কয়েকটি টিম ঘটনাস্থলে পাঠিয়েছি। দু’জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে। বাকিদের গ্রেফতারের জন্য অভিযান অব্যাহত রয়েছে। সেইসাথে গ্রেফতার দু’জনকে আদালতে পাঠানো হচ্ছে।