সৈয়দ সময় ,নেত্রকোনা :
নেত্রকোনা মদন পৌর সদরে তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে মারামারির ঘটনা ঘটেছে।সোমবার (১১ আগস্ট ) বিকেলে পৌরসভা ৮ নং ওয়ার্ডে আমিনুল ইসলামের বাড়িতে এ ঘটনাটি ঘটে।আমিনুল ইসলামকে প্রতিপক্ষের লোকজন মারধর করার সময় তার স্ত্রী শারমিন আক্তার ফিরাইতে গেলে তাকেও মারধর করে প্রতিপক্ষের লোকজন মিলে।পরে আমিনুল ইসলামের মাথায় প্রতিপক্ষের লোকজনের লাঠির আঘাতে গুরুতর জখম আহত হলে স্বজনেরা তাকে উদ্ধার করে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্স এ নিয়ে আসলে কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে ভর্তি করেন।এক ঘটনায় ভুক্তভোগী শারমিন আক্তার বাদী হয়ে আল্লাদ মিয়ার ছেলে পলিন(১৯) কে প্রধান আসামি করে ১২ জনের নাম উল্লেখ করে থানায় লিখিত অভিযোগ দায়ের করেছেন তাদের বিরুদ্ধে।পুলিশ ও অভিযোগ সূত্রে জানা যায়, পলিনের ভাই আমিরুলের কাছে থেকে একটি মোবাইল নেয় দেখার জন্য। পরে মোবাইলটা ফেরত চাইছে যায় এ নিয়ে দুজনের মধ্যে কথা কাটাকাটি হয়।মোবাইলের এই তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে পলিনের লোকজন আমিরুল ইসলামের বাড়িতে গিয়ে তাকে মারধর শুরু করে এবং তার বাড়িঘর ভাঙচুর করে।স্বামী আমিরুলকে প্রতিপক্ষ পলিনের লোকজন মিলে দাঁড়ালো অস্ত্র দিয়ে মাথায় আঘাত করলে (স্ত্রী) শারমিন আক্তার স্বামী আমিরুল কে বাঁচাতে যায়, পরে তাকেও মারধোর করে শরীরের বিভিন্ন জায়গায় যখন করে।শারমিন আক্তারের নাকের স্বর্ণের একটি নাকফুল এবং কানের স্বর্ণের দুটি দুল এসময় নিয়ে যা প্রতিপক্ষের লোকজনে।বর্তমানে আমিরুল ইসলাম উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি চিকিৎসাধীন অবস্থায় রয়েছেন।ভুক্তভোগী শারমিন আক্তারের জানায়, হঠাৎ অতর্কিতভাবে আমার বাড়িতে হামলা করে আমার স্বামীকে মারধর শুরু করে আমি ফিরাইতে গেলে আমি অন্তঃসত্তা আমাকে টানাহেঁচড়া ও লাঠি দিয়ে মারধর করে আমার গায়ের কাপড়চোপড় ছিড়ে শ্লীলতাহানি করে।অভিযোগের বিষয়টি নিশ্চিত করে মদন থানার তদন্ত ওসি দেবাংশু কুমার দে বলেন, পৌরসভার ৮ নং ওয়ার্ড মারামারি ঘটনা একটি লিখিত অভিযোগ পেয়েছি। তদন্ত সাপেক্ষে আইনগত ব্যবস্থা প্রক্রিয়াধীন।