হবিগঞ্জের বানিয়াচংয়ে গত বছরের ৫ আগস্ট নয় ছাত্রজনতাকে গুলি করে হত্যা মামলায় তৎকালীন সময়ে বানিয়াচং থানার অফিসার ইনচার্জ(ওসি) দেলোয়ার হোসেনকে আটক করে ডিবি পুলিশ।এই বিষয়টি নিশ্চিত করেন,সাবেক নাইন মার্ডার মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা পরিদর্শক(ওসি)
তদন্ত মো:আবু হানিফ।১৪আগষ্ট(বৃহস্পতিবার)তিনি এই প্রতিবেদককে নিশ্চিত করেন বলেন,১৩ আগষ্ট(বুধবার)রংপুর জেলা ডিবি পুলিশ রংপুর পুলিশের রেঞ্জ অফিসে পরিদর্শক পদে থাকা কর্মস্থল থেকে তাকে আটক করা হয়েছে।সেখান থেকে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যালের নেওয়া হবে বলেও তিনি জানান।উল্লেখ্য,গতবছরের ৫ আগস্ট পর্যন্ত ওসি দেলোয়ার বানিয়াচং থানায় কর্মরত ছিলেন।সেদিন বেলা ১১টায় বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন সাগরদিঘীর পশ্চিমপাড় ঈদগাহ মাঠ থেকে একটি মিছিল বের করেন।মিছিলটি গ্যানিংগঞ্জ(নতুন বাজার)প্রদক্ষিণ শেষে মিছিলকারী ৮/১০হাজার লোক বড়বাজার শহীদ মিনারে গিয়ে জড়ো হন।পরে বিক্ষুব্ধ লোকজন মিছিলের একটি অংশ থানার সামনে গেলে পুলিশের সঙ্গে তাদের কথা কাটাকাটি হয়।আন্দোলনকারীরা পুলিশকে লক্ষ্য করে ইটপাটকেল ছুড়তে থাকে।প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান,ঘটনার সময় পুলিশ রাবার বুলেট,কাঁদানে গ্যাস,সাউন্ড গ্রেনেড ছোড়ে।পুলিশের গুলিতে ঘটনাস্থলে চারজন সহ দিনভর আন্দোলন চলাকালে সাতজন নিহত হন।এসময় চিত্র ধারণ করতে গেলে বিক্ষুব্ধরা এক সাংবাদিককে পিটিয়ে হত্যা করলে মৃতের সংখ্যা দাড়ায় ৮জনে।এরপর বিক্ষুব্ধ জনতা থানার উপ-পরিদর্শক(এসআই)সন্তোষ চৌধুরী দাসকে গভীর রাতে সেনাবাহিনী সকল অবরুদ্ধ পুলিশকে উদ্ধারকরাকালীন সময়ে ছিনিয়ে নিয়ে পিটিয়ে হত্যা করলে মৃত্যুর সংখ্যা দাড়ায় ৯জনে এবং সর্বশেষ এই ঘটনায় পুলিশের গুলিতে আহত গুলিবিদ্ধ আনাস ৬আগষ্ট সিলেট হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মারা যায়।মোট ১০জনের প্রানহাণী ঘটে।এবং শতাধিক এর উপরে গুলিবিদ্ধ সহ অনেকেই আহত হন।এই ঘটনায় নয় জন নিহতের পরিবারের পক্ষ থেকে ও থানা পুড়িয়ে সরকারি সবকিছু ধ্বংস করে অস্ত্র গুলাবারুদ লুটপাট এবং এক পুলিশ সদস্য(এসআই) সন্তোষ হত্যাকাণ্ডের ঘটনায় পুলিশের পক্ষ থেকে আলাদা একটি মামলা সহ পরপর দু’টি মামলা করা হয়।তারপর পুলিশের গুলিতে নিহত হওয়া সাদিকুল হত্যার অভিযোগ এনে তার ছোট্ট ভাইয়ের বরাত দিয়ে আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালে তৎকালীন অফিসার ইনচার্জ(ওসি)দিলোয়ার হোসেন পুলিশ সদস্য ও রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দ,নিরীহ জনসাধারণ এবং অনেক প্রবাসীদের আসামি করে আরেকটি অভিযোগ দায়ের হয়।এই অভিযোগ এর পর ২য় দফায় আন্তর্জাতিক অপরাধ ট্রাইব্যুনালের দায়িত্বপ্রাপ্ত প্রসিকিউটর এর প্রতিনিধিদল বানিয়াচং আসেন।এবং পৃথক পৃথক ভাবে ইতোমধ্য ৩০ জনের অধিক লোকজনের সাক্ষ্য নিয়েছেন।