সৈয়দ সময় , নেত্রকোনা :
বাংলাদেশের রাজনীতিতে যেখানে সংঘাত, অবিশ্বাস আর বিভাজন প্রতিদিনের বাস্তবতা, সেখানে ব্যারিস্টার কায়সার কামালের একটি উদ্যোগ একেবারেই ব্যতিক্রমী। বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমানের নির্দেশে এবং দলীয় মানবিক আদর্শকে ধারণ করে তিনি অসহায় মানুষের চোখে আলো ফেরানোর যে কর্মযজ্ঞ শুরু করেছেন, তা আজ গ্রামীণ বাংলাদেশে এক নতুন আস্থার প্রতীক।দুর্গাপুর উপজেলার অচল জীবনের ভারে নুয়ে পড়া মানুষগুলো, যারা বছরের পর বছর ছানি রোগে ভুগছিলেন কিন্তু টাকার অভাবে চিকিৎসার আশা ছেড়ে দিয়েছিলেন তারা আজ আবার আলো দেখতে পাচ্ছেন। গত সোমবার (১৮ আগস্ট) ময়মনসিংহের ডা. কে জামান বিএনএসবি চক্ষু হাসপাতালে ৮ম ধাপে আরও ৪০ জন রোগীর ছানি অপারেশন সফলভাবে সম্পন্ন হয়েছে। এর মধ্যে ২৩ জন নারী ও ১৭ জন পুরুষ।তাদের একজন বৃদ্ধা হাফিজা বেগম আবেগে কেঁদে বলেন, “আমি ভেবেছিলাম মৃত্যুই হবে চোখের আলো দেখা ছাড়া। আজ আবার ছেলেমেয়েদের মুখ দেখতে পারছি এ আনন্দ ভাষায় প্রকাশ করা যাবে না।”প্রথম ধাপ শুরু হয়েছিল ১৯ জুলাই। সাত ধাপে ৩০৪ জন রোগী চোখের চিকিৎসা পেয়েছেন। সর্বশেষ ধাপে আরও ৪০ জন যোগ হওয়ায় এ পর্যন্ত মোট ৩৪৪ জন মানুষ নতুন জীবন ফিরে পেলেন। শুধু অপারেশনই নয়ওষুধ, যাতায়াত, খাবার থেকে শুরু করে চিকিৎসার যাবতীয় খরচ বহন করেছেন কায়সার কামাল নিজ উদ্যোগে।স্থানীয় সূত্র জানায়, দুর্গাপুরের গুজিরকোণা গ্রামে এক ফ্রি মেডিকেল ক্যাম্পে ৯৩২ জন রোগী তালিকাভুক্ত হয়েছিলেন। ধাপে ধাপে তাদের অপারেশন সম্পন্ন হচ্ছে। প্রতিটি ধাপে উপজেলা বিএনপির স্বেচ্ছাসেবকরা রাতদিন কাজ করে যাচ্ছেন ।এ উদ্যোগ কেবল চিকিৎসা নয় ,এক ধরনের রাজনৈতিক বার্তাও বহন করছে। যেখানে অনেক নেতা ক্ষমতার অলিন্দে ব্যস্ত, সেখানে কায়সার কামালের এই মানবিক রাজনীতি তৃণমূলে নতুন আস্থা সৃষ্টি করছে। মানুষ বলছে ,“যে রাজনীতি মানুষের জীবন বদলে দেয়, সেই রাজনীতিই আসল।”বিশ্লেষকরা মনে করছেন, এই ধরনের মানবিক কার্যক্রম শুধু জনপ্রিয়তা নয়, রাজনৈতিক সংস্কৃতিতেও ইতিবাচক পরিবর্তনের সঞ্চার ঘটাতে পারে। বিএনপির স্থানীয় নেতারা বলছেন, “কায়সার কামালের এই উদ্যোগ প্রমাণ করছে রাজনীতি শুধু বক্তব্য বা আন্দোলনের ভেতরে সীমাবদ্ধ নয়, এটি মানুষের জীবনে আলো জ্বালানোর পথও।”সংশ্লিষ্টরা জানিয়েছেন, এখনো আরও শত শত মানুষ এই কর্মসূচির আওতায় অপারেশনের অপেক্ষায় রয়েছেন। কায়সার কামাল প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন ,যতদিন প্রয়োজন হবে, এ কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে।প্রশ্ন এখন একটাই—এই আলো কি শুধু চোখেই সীমাবদ্ধ থাকবে, নাকি বাংলাদেশে মানবিক রাজনীতির নতুন ভোরের সূচনা করবে