নেত্রকোণায় পরশ মুছলেহা দম্পতি হঠাৎ করে শতকোটি টাকার মালিক হওয়ায়, দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেন, হিমেল গং। তারই পরিপ্রেক্ষিতে বিভিন্ন মিথ্যে অভিযোগ করে ২৩.০৩.২০২৩ ইং সংবাদ সম্মেলন করেন,পরশ মুছলেহা দম্পতি।
এদিকে আজ সকাল ১১ টায় নেত্রকোণা শহরের বড়বাজারস্থ মিড পয়েন্ট রেস্টুরেন্টে মিথ্যে অভিযোগের প্রেক্ষিতে পাল্টা সংবাদ সম্মেলন করেন হিমেল গং। এসময় হিমেল জানান, আমি সমাজের একজন সচেতন নাগরিক হিসেবে, সরকারের ট্যাক্স ফাঁকি দিয়ে পরশ মুছলেহা দম্পতি শতকোটি টাকার মালিক হয়েছে। তাই নিজের দায়িত্ববোধ থেকে সরকারকে সহযোগিতা করতে পরশ মুছলেহা দম্পতির উপর দুদকসহ বিভিন্ন দপ্তরে অভিযোগ করেছি। তিনি আরো জানান, পরশ নেত্রকোণা লোকাল জর্দা ফ্যাক্টোরী দুলাল, সেই কোম্পানির একজন বেতন ভুক্ত কর্মচারী(ম্যানেজার), সে কি করে শতকোটি টাকার মালিক হয়েছে এই নিয়ে জনমনে প্রশ্ন রয়েছে, এতদিন পরশ এবং তার স্ত্রী মুছলেহার ভয়ে কেউ মুখ খোলেনি। কেউ তাদের বিরুদ্ধে মুখ খুললে প্রাণনাশের হুমকিও দিয়েছে বলে তিনি জানান। পরশ মুছলেহা দম্পতি নিজেরাই হুমকি দিয়ে থেমে নেই, মুছলেহার বড় ভাই গেলমান বিভিন্ন সময় প্রাণনাশের হুমকি দিয়েছে বলে হিমেল গংরা জানিয়েছেন।
অন্যদিকে পরশ মুছলেহার উপর আনিত অভিযোগের সত্যতা যাচাই করতে গিয়ে সরেজমিনে তদন্তে নামেন,বিভিন্ন ইলেকট্রনিক, প্রিন্ট এবং অনলাইন পোর্টালের সাংবাদিক বৃন্দ। এবিষয়ে কয়েকজন সাংবাদিকদের কাছে জানতে চাইলে, তারা জানান,পরশ মুছলেহা দম্পতি নামে বেনামে অসংখ্য জায়গা জমি, স্থাবর অস্থাবরের মালিক তারা। যার বাজার মূল্য প্রায় শতকোটি টাকা। শুধু তাই নয় নেত্রকোণা জেলাধীন বিভিন্ন উপজেলায় একাধিক কারিগরি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান রয়েছে যার নৈপত্যে রয়েছে পরশ। এসব কলেজে শিক্ষক নিয়োগ থেকে শুরু করে আয়া পর্যন্ত নিয়োগ হয় লক্ষ লক্ষ টাকার বিনিময়ে। আর এসব টাকার একমাত্র মালিক এই পরশ।
আজকের এই সংবাদ সম্মেলনে, দুদকে দেয়া অভিযোগের অগ্রগতি নিয়ে জানতে চাইলে হিমেল জানান, আমরা অভিযোগ দিয়েছি,কেন সময় কালক্ষেপণ হচ্ছে আমি বোধগম্য নই। আমি আশা করব দুদক সহ বিভিন্ন দপ্তরে দেয়া অভিযোগ আমলে নিয়ে দ্রুত নিবেন। এতে করে যেমনি পরশ মুছলেহার মুখোশ উন্মোচন হবে তেমনি সরকার বিপুল অংকের রাজস্ব পাবে।