কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জামে মসজিদে তারাবির নামাজের পর ইমাম দোয়া করলেন যেন ঠিকাদারদের ফাইলগুলো দ্রুত আল্লাহ সমাধান করে দেন। পরদিন নামাজ পড়াতে মসজিদে আসতেই অফিস থেকে জানানো হয় ইমামের চাকরি নেই। ব্যতিক্রমী এই ঘটনাটি নিয়ে বেশ আলোচনা, সমালোচনা চলছে পুরো এলাকা জুড়ে।
অভিযোগ উঠেছে, মসজিদের ইমামের এমন দোয়া পড়ায় ক্ষিপ্ত হয়ে কিশোরগঞ্জ পল্লী বিদ্যুৎ সমিতির জেনারেল ম্যানেজার (জিএম) ইঞ্জিনিয়ার জুলফিকার মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদকের কাছে ওই ইমামের চাকরিচ্যুত করার নির্দেশ দেন। পরে মসজিদ কমিটির সাধারণ সম্পাদক স্টোর কিপার আঃ বাতেন তাকে অপসারণ করে নতুন ইমাম নিয়োগ দেন।
উক্ত ঘটনাটার তথ্য সংগ্রহ কালে জানা যায়,যে কিছুদিন পূর্বে মসজিদের ইমাম সাহেব তাহার জুমার নামাজের বক্তব্যে ঘুষ এবং দুর্নীতি নিয়ে এরকম বয়ান দিয়েছিলেন । কোরআন ও হাদিসের আলোকে ঘুষ এবং দুর্নীতির বিষয়ে ইসলামের অবস্থান তুলে ধরেছিলেন তিনি। ইমাম সাহেব কোরআন ও হাদিসের উদ্ধৃতি দিয়ে এসব কথা বলেছিলেন, ঘুষ এবং দুর্নীতি বাদ দিয়ে তওবা করার কথাও বলেছিলেন তিনি। এসব বয়ানের কারণেও বিগত দিনে মসজিদ কমিটির মাধ্যমে ইমাম সাহেবকে সতর্ক করে দেয়া হয়েছিল।
চাকরিচ্যুত পল্লী বিদ্যুৎ জামে মসজিদের ইমাম ও খতিব হাফেজ মাওলানা রুহুল আমিন সংবাদ মাধ্যম কে জানান আমার কাছে কয়েকজন ঠিকাদার দোয়া চেয়েছিলেন যেন তাদের ফাইলপত্র গুলো সকল বাঁধাবিপত্তি পেরিয়ে আল্লাহ যেন সমাধান করে দেন। আর এই দোয়াই আমার কাল হয়ে দাঁড়িয়েছে।
তিনি আরো বলেন, রোববার (১৬ এপ্রিল) থেকে আমাকে অফিসেও ডুকতে দেয়া হচ্ছে না এবং এই মসজিদে নামাজ পড়তেও বাধা দিচ্ছে।
তিনি আরো বলেন, মাহে রমজানের মাসে ইদের আগে আমাকে অপমান করে চাকরিচ্যুত করায়, আমার এলাকায় মুখ দেখাতেও লজ্জা হচ্ছে।