ওয়াসিম সরকার রিপোর্টার পূর্বধলা উপজেলা নেত্রকোনা
নেত্রকোণার পূর্বধলায় আজ বুধবার (১৯ এপ্রিল) দুপুরে ৮ গ্রামের বাসিন্দাদের ভোগান্তি লাঘবে ব্যক্তি উদ্যোগে বাঁশ-কাঠ দিয়ে সেতু তৈরী করে উদ্বোধন করেন উপজেলা চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন। উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নে দুধী হতে সানকিডুয়ারী গ্রামে চলাচলের জন্য কালিহর নদীর উপর সেতুটি নির্মাণ করা হয়েছে। এতে ইউনিয়নের ইউনিয়নের ৮ গ্রামের প্রায় ৩৬ হাজার লোকজনে মনে শান্তি ফিরে পেয়েছে।
সরেজমিনে স্থানীয় বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দিন জানান, উপজেলার ঘাগড়া ইউনিয়নের ৮ গ্রামের প্রায় ৩৬ হাজার লোকজন প্রতিনিয়ত যাতায়াত করতো। কিন্তু তাদের দুঃখের কোন শেষ ছিল না। স্কুল কলেজে পড়া ছাত্র-ছাত্রী, গর্ভবতী রোগী সহ সকল শ্রেণীর লোকজন চলাচলের মাধ্যম ছিল নৌকা। কিন্তু প্রায়ই নৌকা ডুবে যেত। বর্ষাকালে এ দুর্দশা আরও তীব্র আকার ধারণ করে। নদী পার হতে গিয়ে প্রতিনিয়ত মানুষকে ছোট বড় নানা ধরনের দুর্ঘটনার শিকার হতে হয়। এমনকি নৌকার জন্য দাড়িয়ে থাকতে হতে হতো। নির্বাচন আসলে অনেকেই উক্ত নদীর উপর ব্রিজ করে দেওয়ার মিথ্যা আশ্বাস দিত। আর এসব ভোগান্তির কথা চিন্তা করে স্থানীয়দের সহযোগীতায় উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন’র উদ্যোগে বাঁশ, কাঠ ও চাউ গাছ দিয়ে একটি সেতু নির্মান করা হয়েছে।
এসময় বীর মুক্তিযোদ্ধা হাজী মিয়া হোসেন’র সভাপতিত্বে এবং আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগ নেতা সারোয়ার হোসেন রাসেলের উপস্থাপনায় প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান জাহিদুল ইসলাম সুজন। বিশেষ অতিথি হিসেবে ছিলেন, উপজেলা পরিষদের ভাইস চেয়ারম্যান শারমিন সুলতানা সুমি আকন্দ।
এসময় বক্তব্য রাখেন বীর মুক্তিযোদ্ধা আব্দুল মজিদ, বীর মুক্তিযোদ্ধা জালাল উদ্দীন,বিশিষ্ট লেখক ও গবেষক আলী আহম্মদ খান আইয়ুব, পূর্বধলা প্রেসক্লাবের সভাপতি সৈয়দ আরিফুজ্জামান ,সাবেক ছাত্র নেতা জুলফিকার আলী শাহীন, সাবেক ইউপি সদস্য হিরো মিয়া,বর্তমান ইউপি সদস্য হক মিয়া, মোহাম্মদ ওমর আলী,আওয়ামী লীগ নেতা রফিকুল ইসলাম, স্থানীয় রফিকুল ইসলাম, পূর্বধলা সরকারি কলেজের শিক্ষার্থী মোছাঃ মনি আক্তার প্রমুখ।
এ সময় অন্যান্যদের মাঝে উপস্থিত ছিলেন আওয়ামী স্বেচ্ছাসেবক লীগের পূর্বধলা উপজেলা সভাপতি সৈয়দ হাসানুজ্জামান রাফি, যুবলীগ নেতা মোফাজ্জল হোসেন সহ স্থানীয় গণমাধ্য ব্যক্তিবর্গ সহ বিভিন্ন সাংবাদিক বৃন্দ উপস্থিত ছিলেন।
স্থানীয় রফিকুল ইসলাম জানান, এই সেতুটি দিয়ে আমাদের সকলের উপকারে আসবে কিন্তু আমরা এখানে একটি স্থায়ী সেতুর দাবী জানাচ্ছি প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনা’র কাছে। আমরা আশা করছি ৩০ থেকে ৪৫ হাজার মানুষের দূর্ভোগ লাঘবের জন্য সরকার দ্রুত এখানে একটি সেতু তৈরি করে দিবেন