মায়ের লাশ বাড়িতে রেখে এসএসসি পরীক্ষা দিলো জেলার নবীনগর উপজেলার সলিমগঞ্জ আবদুর রউফ মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী সাদিয়া আক্তার। আগের রাতে মারা যান তার মা। পরের দিন বুধবার সকালে মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখেই পরীক্ষা কেন্দ্রে যায় সে।
সাদিয়া ওই বিদ্যালয়ের মানবিক বিভাগের শিক্ষার্থী ও ব্রাহ্মণবাড়িয়ার বাঞ্ছারামপুর উপজেলার আকানগর গ্রামের প্রবাসী শফিকুল ইসলামের একমাত্র মেয়ে। সে মধ্যনগর গ্রামে নানার বাড়িতে থেকে লেখাপড়া করতো।
জানা যায়, সাদিয়ার মা জলি বেগম শারীরিকভাবে অসুস্থ ছিলেন। মঙ্গলবার (২ মে) সন্ধ্যায় তাকে ঢাকার একটি হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়। ওই রাতেই তার মৃত্যু হয়। পরের দিন বুধবার সকালে মায়ের মরদেহ বাড়িতে রেখে ইংরেজি প্রথম পত্রের পরীক্ষা দিতে যায় সাদিয়া। পরে মধ্যনগর গ্রামে জলি বেগমের মরদেহ দাফন করা হয়।
সলিমগঞ্জ আবদুর রউফ মুসলিম উচ্চ বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আহাম্মদ আলী বলেন, এসএসসি পরীক্ষার্থী সাদিয়ার মা হারানোর বিষয়টি খুবই মর্মান্তিক। পরীক্ষার কক্ষে মাঝেমধ্যে কান্নায় ভেঙে পড়ে সে। আমিসহ সহপাঠীরা তাকে সান্ত্বনা দেওয়ার চেষ্টা করেছে। মোটামুটি সব উত্তর লিখেছে সে।
সাদিয়া আক্তার জানায়, তার মা তাকে অনেক ভালোবাসতেন। মা চাইতেন যেন সে পড়াশোনা করে অনেক দূর এগিয়ে যেতে পারে। তাই মায়ের কথা ভেবেই পরীক্ষায় অংশ নিয়েছে সে।
এ বিষয়ে নবীনগর উপজেলা মাধ্যমিক শিক্ষা কর্মকর্তা মো. মোকাররম হোসেন বলেন, বিষয়টি জানতে পেরে কেন্দ্র পরিদর্শনে যাই। ওই পরীক্ষার্থীকে সান্ত্বনা দেওয়ার পাশাপাশি স্বজনদের সঙ্গে কথা বলি। পরীক্ষার হলে অনেক কান্না করলেও, সাদিয়ার পরীক্ষা ভালো হয়েছে।