সুনামগঞ্জের নবগঠিত মধ্যনগর উপজেলার প্রানকেন্দ্রে সরকারী টাকায় বঙ্গবন্ধুর ম্যুরাল থেকে এমপি মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তাঁর আপন ভাই আওয়ামী লীগের বিদ্রোহী উপজেলার চেয়ারম্যান মোজাম্মেল হোসেন রোকনের ছবি অপসারনের দাবিতে মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার বরাবর স্মারকলিপি প্রদান করা হয়েছে। আজ রোববার দুপুরে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসকের মাধ্যমে প্রধানমন্ত্রীর কাছে এ স্মারকলিপি প্রদান করেন মধ্যনগর উপজেলা সম্মিলিত সাংস্কৃতিক জোট। স্মারকলিপিতে উল্লেখ করা হয়, মধ্যনগরে সরকারি টাকায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার ছবি সম্বলিত ম্যুরাল স্থাপন করা হয়। ম্যুরালে স্থানীয় সরকার মন্ত্রনালয় কর্তৃক অনুমোদিত ডিজাইন উপেক্ষা করে, সুনামগঞ্জ- ১ আসনের সংসদ সদস্য মোয়াজ্জেম হোসেন রতন ও তাঁর আপন ভাই মোজাম্মেল হোসেন রোকনের ছবি স্থাপন করা হয়েছে। এ কারণেই ফুঁসে উঠেছে আওয়ামী লীগের নেতাকর্মী ও এলাকাবাসী। স্মারক লিপিতে ৩ দফা দাবি প্রধানমন্ত্রীর নিকট উপস্থাপন করেন তারা। দাবিগুলোর মধ্যে মুর্যাল থেকে এমপি ও তার সহোদরের ছবি অপসারণ, স্থাপত্যকর্মের মূল ডিজাইন পরিবর্তনের সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় এনে উপযুক্ত শাস্তি, জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান ও প্রধানমন্ত্রীর সুনাম খুন্ন ও মর্যাদায় আঘাত করার সাথে জড়িতদের আইনের আওতায় আনার দাবি জানান স্মারকলিপিতে।
মধ্যনগর সাংস্কৃতিক জোটের আহবায়ক ও বংশিকুণ্ডা দক্ষিণ ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান রাসেল আহমেদ বলেন, বঙ্গবন্ধুর সঙ্গে কারো তোলনা হয়না, তাহার সমান কোন এমপি বা উপজেলার চেয়ারম্যান হতে পারেনা, তাদের ছবি সরিয়ে তিনদফা দাবি না আদায় হলে আমরা জনগনকে নিয়ে কঠোর আন্দোলনে যাবো। মধ্যনগর উপজেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পরিতুষ সরকার বলেন, বঙ্গবন্ধু ম্যুরাল নিয়ে যারা ছিনিমিনি খেলছে তাদের আইনের আওতায় এনে যথাযথ ব্যবস্থা নিতে হবে।
এ ব্যাপারে সুনামগঞ্জ জেলা প্রশাসক মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর হোসেন বলেন, স্মারকলিপি পেয়েছি এবং সেটি মাননীয় প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে প্রেরণ করা হবে৷ কর্তৃপক্ষ এর যথাযথ ব্যাবস্থা গ্রহণ করবেন।##