সাভার উপজেলা প্রতিনিধি ঢাকা
ঢাকার আশুলিয়ায় জাতীয় শ্রমিক লীগের একটি পূর্ণাঙ্গ আঞ্চলিক কমিটি থাকা সত্ত্বেও এই কমিটি বিলুপ্ত না করে একক সাক্ষরে নতুন করে আহ্বায়ক কমিটি দিয়েছেন জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক।
এই কমিটির পাল্টা জবাবে ঢাকা জেলা শ্রমিক লীগও দিয়েছেন আরেকটি থানা কমিটি। এখন আশুলিয়াতেই শ্রমিক লীগের তিন কমিটি।
এক থানা এলাকায় একাধিক কমিটি নিয়ে শ্রমিক লীগ নেতা-কর্মীদের মাঝে দেখা দিয়েছে অসন্তোষ। ফলে চরম বিতর্কের সৃষ্টি হয়েছে অত্র এলাকায়।এতে বেশ বিব্রতকর পরিস্থিতিতে পড়েছেন দলীয় নেতারা।
জানা গেছে,আশুলিয়া শ্রমিক লীগের আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আকবর হোসেন মৃধা ও সাধারণ সম্পাদক লায়ন ইমাম হোসেন। পূর্ণাঙ্গ এই কমিটি থাকতে সম্প্রতি আরেকটি আহ্বায়ক কমিটি করা হয়।এই কমিটিতে মোকলেছুর রহমান কাজলকে আহ্বায়ক ও সানাউল্লাহ সানিকে সদস্য সচিব করেন শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক। এরপর থেকে ব্যানার ফেস্টুনে নিজেদের জানান দিচ্ছে তাঁরা।
এদিকে জেলা কমিটিকে না জানিয়ে কেন্দ্রীয় সম্পাদক একাই কমিটি দেওয়ায় এই কমিটির পাল্টা আরেকটি আশুলিয়া থানা কমিটি দিয়েছেন ঢাকা জেলা শ্রমিক লীগ।এই কমিটিতে জুয়েল রানাকে সভাপতি ও তারেক আজিজকে সাধারণ সম্পাদক করা হয়েছে। তারাও তাদের নতুন কমিটির প্রচার প্রচারণা চালাচ্ছেন।
এতে করে চরম বিশৃঙ্খলা দেখা দিয়েছে শ্রমিক লীগ নেতা কর্মীদের মাঝে।
এদিকে জেলা কমিটিতেও একই অবস্তা বিরাজ করছে। ঢাকা জেলা শ্রমিক লীগের কমিটি থাকতে আযম খসরুর একক সাক্ষরে আরেকটি কমিটি দিয়েছেন বলে অভিযোগ তুলেছেন ঢাকা জেলা শ্রমিক লীগের সাধারণ সম্পাদক আকরাম হোসেন বাদল।
আকরাম হোসেন বাদল বলেন, আযম খসরু আগে ফ্রীডম পার্টি করত। সে দলের পোড় খাওয়া নেতাদের দেখতে পারেনা। একটি পূর্ণাঙ্গ কমিটি থাকতে আবার কেনো আহব্বায়ক কমিটি দেওয়া হল। সে একেরপর এক বিতর্কের সৃষ্টি করে চলেছে। এতে দলের ভাবমূর্তি ক্ষুণ্ন হচ্ছে মন্তব্য করেছেন তিন।
তবে কেন্দ্রীয় সভাপতির দাবি, সাধারণ সম্পাদক খসরু আযম অনৈতিক সুবিধা নিয়ে কখনো মৌখিক আবার কখনো তার একক সাক্ষরে এসমস্ত ভুয়া কমিটি দিয়ে দলের বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে।
এবিষয়ে আশুলিয়া আঞ্চলিক কমিটির সভাপতি আকবর হোসেন মৃধা বলেন, আমাদের একটি পুর্নাঙ্গ কমিটি আছে। তারপরও আমাদের কিছু না জানিয়ে আশুলিয়ায় একেরপর এক কমিটি দিয়েই যাচ্ছে। এতে আমরা চরম বিব্রতকর পরিস্থিতি পড়েছি। নতুন এসব কমিটি কারা কিভাবে দিচ্ছেন জানিনা।তবে শুনেছি এসমস্ত কমিটিতে চিহ্নিত অপরাধিরাও পদপদবী পেয়েছে।
এবিষয়ে জানতে জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাধারণ সম্পাদক আযম খসরুর মুঠোফোনে কল দিলে তিনি বলেন,আপনার সব প্রশ্নের জবাব সমনা সমনি দিব। ফোনে আপনার সাথে কিছু বলবনা।
জাতীয় শ্রমিক লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির ভারপ্রাপ্ত সভাপতি নূর কুতুব মান্নান বলেন, আশুলিয়ায় আমাদের একটি কমিটি তো রয়েছে। সেখানে আবার কেন কমিটি দিতে হবে? খসরু আযম অনৈতিক সুবিধা নিয়ে এসব কমিটি দিচ্ছে। আমি এসব কমিটির ব্যাপারে কিছুই জানিনা। মনগড়া এসব ভুয়া কমিটি দিয়ে দলে বিশৃঙ্খলা সৃষ্টি করছে সে।আমি এসব ব্যাপারে নেত্রীর কাছে বিচার দিব।