
গোলাম সারোয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্যুরো প্রধান /
ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় চলতি মওসুমে লক্ষ্যমাত্রার চেয়েও বেশি জমিতে পাটের আবাদ হয়েছে। তবে ফলন ভাল হলেও হাসি নেই
পাটচাষিদের মুখে। জেলার নদ-নদী আর খাল বিলে পানি কম থাকায় বিপাকে পড়েছেন কৃষকরা। এ ছাড়া ন্যায্যমূল্য না পাবার অভিযোগও রয়েছে চাষিদের।
কৃষি বিভাগ জানিয়েছে, চলতি মৌসুমে ৪ হাজার ১৮৯ হেক্টর জমিতে পাট আবাদের লক্ষ্যমাত্রা নির্ধারণ করা হলেও আবাদ হয়েছে ৪ হাজার ১৯২ হেক্টর জমিতে।
গত বছরের তুলনায় এবার প্রায় ২১৩ হেক্টর বেশি আবাদ হয়েছে। এর মধ্যে রয়েছে দেশি, তোষা ও কেনাফ জাতের পাট। তাই
চলতি মৌসুমে জেলায় পাটখড়িসহ প্রায় ৬০ কোটি টাকার পাটের আাঁশ উৎপাদিত হবে বলে আশা করছে কৃষি বিভাগ।
পাট চাষি আব্দুল বারী জানান, এবার পাটের ফলন ভাল হয়েছে। তবে পানি কম থাকায় পাট প্রক্রিয়াকরণে চাষিদের উৎপাদন খরচ কিছুটা বেড়েছে। এছাড়া ব্যাপারীরা কৌশলে কৃষকদের কাছ থেকে কম দামে পাট কিনে মজুদ করছে। এতে কাঙ্ক্ষিত লাভ থেকে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন।
আরেক পাট চাষী জহির মিয়া বলেন, এবার বর্ষায় পানি স্বাভাবিক না হওয়ার কারণে তারা এখন পাট নিয়ে বিপাকে পড়েছেন। গত
মৌসুমে প্রকার ভেদে প্রতি মণ পাট ৩ থেকে সাড়ে ৩ হাজার টাকা দরে বিক্রি করলেও এবার ২ থেকে আড়াই হাজার টাকা দাম
উঠছে। প্রতি কানি জমিতে তাদের খরচ হয়েছে ৮/১০ হাজার টাকা। এতে উৎপাদন খরচ বাদ দিলে তাদের তেমন লাভ থাকবে না।
ব্রাহ্মণবাড়িয়া কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপ-পরিচালক সুশান্ত সাহা বলেন, অল্প পানিতে পাট কিভাবে ছাড়ানো যায় এ বিষয়ে কৃষকদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হচ্ছে