• ঢাকা, বাংলাদেশ রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন
  • [কনভাটার]
সর্বশেষ খবর
নেত্রকোনায় কাভার্ডভ্যান-সিএনজি সংঘর্ষ, নিহত ১ নওগাঁয় সড়কে ঝরলো শিক্ষক সহ দু’ জনের প্রাণ, শিশুসহ ৬ জন আহত কলমাকান্দায় ৩০ বোতল ভারতীয় মদসহ এক ব্যক্তি আটক। ৩১ দফা বাস্তবায়নই গণতন্ত্র পুনরুদ্ধারের পথ — বেলাল ই বাকী ইদ্রিশী পিআর পদ্ধতিতে নির্বাচন হলে ৫৪ বছরের কলঙ্কমুক্ত হবে দেশ: জামায়াত নেতা ডা. সৈয়দ আব্দুল্লাহ মু. তাহের রাণীনগরে ট্রেনে কাটা পড়ে বৃদ্ধের মৃত্যু নওগাঁয় আত্রাই নদীর বেড়িবাঁধ ভেঙ্গে দুই শতাধিক পরিবার পানিবন্দী নওগাঁয় ট্রেনের নিচে কাটাপড়ে এক ব্যক্তির মৃত্যু বাহুবলে সড়ক পাকাকরণ কাজের উদ্বোধন করলেন এমপি প্রার্থী মখলিছুর রহমান ইসরায়েলি হামলায় গাজায় ত্রাণপ্রত্যাশীসহ নিহত ১ হাজার ৭৬০ জাতিসংঘ
বিশেষ খবর
কলমাকান্দা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন ফিল্মি স্টাইলে শিক্ষককে তুলে নিয়ে মাথা ফাটাল ছাত্রদল” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন  অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধাভোগীদের বিএনপিতে স্থান হবে না আনিসুজ্জামান বাবু নেত্রকোনায় জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিতে মানব-বন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আ.লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা, যা বললেন সিইসি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে : সিইসি সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করছে ইসি: সিইসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ বছর পর সম্মেলন ঘিরে বিএনপির ব্যাপক প্রস্তুতি ষড়যন্ত্র রুখে ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচন আদায় করতে হবে: রুমিন ফারহানা
রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি / ২০০ জন দেখেছেন
আপডেটঃ বৃহস্পতিবার, ১৪ সেপ্টেম্বর, ২০২৩

নেত্রকোনার বিভিন্ন উপজেলায় পাটের বাম্পার ফলনেও লোকসানে চাষিরা, মূল্যবৃদ্ধির দাবি

রিপন কান্তি গুণ, নেত্রকোনা জেলা প্রতিনিধি/

আগাম বৃষ্টি না হওয়ায় এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় এবার নেত্রকোনার বিভিন্ন উপজেলায় পাটের বাম্পার ফলন হয়েছে। ফলে ক্রমেই পাট চাষের প্রতি আগ্রহ বাড়ছে কৃষকদের। এবার পাটের ভালো ফলন হওয়ায় পাট চাষিরা খুশি। তবে, বরাবরের তুলনায় এবার ভাল ফলন হওয়ার পরও দাম নিয়ে হতাশায় ভুগছেন কৃষকরা।

বিভিন্ন উপজেলায় সরেজমিনে ঘুরে দেখাগেছে, প্রায় প্রতিটি উপজেলাতেই ক্ষেত থেকে পাট কাটার কাজ শেষ করেছে কৃষকরা। ইতিমধ্যে তারা মুক্ত জলাশয়ে জাঁক দেয়া পাট থেকে আঁশ ছাড়ানো ও শুকানো কাজ শেষ করে বিক্রির চিন্তা করছেন। কিন্তু বাজারে পাটের সঠিক মূল্য পাওয়া নিয়ে শঙ্কা প্রকাশ করেছেন কৃষকেরা। বর্তমানে সরকারি ও বেসরকারি পাটকলগুলো বন্ধ হয়ে যাওয়ায় সাধারণ কৃষকেরা পাটের সঠিক দাম পাওয়া নিয়ে দুশ্চিন্তায় ও হতাশায় পড়েছেন।

বারহাট্টা, মোহনগঞ্জ, মদনসহ কয়েকটি উপজেলার পাট চাষিদের সঙ্গে কথা বলে জানা যায়, পাট চাষ করে কয়েক বছর আগেও চাষিরা লোকসানে পড়েছিলেন। তাই অনেকে বাধ্য হয়ে অন্যান্য ফসলের দিকে ঝুঁকে পড়েন। যারা স্বল্প পরিসরে আবাদ ধরে রেখেছিলেন, তারাই লাভবান হয়েছেন। তাদের উৎসাহে অনুপ্রাণিত হয়ে অন্য কৃষকরাও আবার পাট চাষে আগ্রহী হয়েছিলেন। গত বছর পাটের দাম ভালো পাওয়ায় চলতি মৌসুমের শুরুতেই চাষিরা পাট চাষের দিকে ঝুঁকে পড়েছিলেন। এতে করে পাটের আবাদ বেড়েছে এবং আবহাওয়া অনুকূলে থাকায় পাটের ফলনও ভালো হয়েছে। কিন্তু এ বছর দাম কমে যাওয়ার আশঙ্কায় রয়েছেন পাট চাষিরা।

বারহাট্টা উপজেলার পাটচাষি জজ মিয়া বলেন, আমি এবার ৫০শতাংশ জমিতে পাট চাষ করেছি। প্রতি বছরই আমি পাট চাষ করে থাকি। বরাবরের তুলনায় এবার ফলন ভাল হয়েছে। কিন্তু বর্তমান বাজারে পাটের দাম অনেক কম। এতে লোকসানের আশঙ্কায় রয়েছি।

নেত্রকোনা সদর উপজেলার তাঁতিয়র এলাকার রতন সরকার নামে অন্য পাটচাষি বলেন, গত বছর আমি দুই বিঘা জমিতে পাট আবাদ করে কিছুটা লাভ করতে পেরে এবার আবাদ বাড়িয়েছিলাম। কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতিতে দেখা যাচ্ছে গতবারের থেকে এবার পাটের দাম ১ হাজার টাকা কমে গেছে। ফলে পাটের উৎপদন খরচ আর বদলি খরচ বাবদ ৫০০ টাকা খরচসহ বর্তমানে পাটের যে বাজার মূল্য হয়েছে তাতে করে আমাকে লোকসানের মুখে পড়তে হবে। সরকার যদি পাটের দাম না বাড়ায় তাহলে আমাদের মত পাটচাষিদের পাটের আবাদ করা থেকে সরে আসতে হবে।

পাটের ফলন ভাল হওয়ায় বিভিন্ন এলাকার মৌসুমি শ্রমিকদের ব্যস্ততাও বেড়েছে। এক আঁটি জাঁক দেওয়া পাট থেকে আঁশ ছাড়িয়ে ২০-২৫ টাকা পাওয়া যায়। সব মিলিয়ে দিনে ১০০ থেকে ১২০ টাকা টাকার মতো আয় হয় তাদের।

পাট ব্যবসায়ী রাজ্জাক হোসেন বলেন, গত বছরে কেনা পাট আজও গোডাউনে ভরা। অনেক ব্যবসায়ী গত বছরের পাট বিক্রি করতে পারেনি। এজন্য এবছর ঝুঁকি নিচ্ছে না ব্যবসায়ীরা। পাট চাষি ও ব্যবসায়ীরা উভয়েই বিপাকে পড়েছে। কৃষকদের লোকসান হচ্ছে, খরচের টাকাও তুলতে পারছে না তারা। গতবছর এসময় ২৫০০ টাকা মণ ছিলো, এবছর প্রায় অর্ধেকে নেমে এসেছে৷

জেলা কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক মোহাম্মদ নূরুজ্জামান জানান, জেলায় এ বছর ৪ হাজার ৮০০ হেক্টর জমিতে পাট আবাদ হয়েছে। গত মৌসুমে এসময়ে প্রতিমণ পাটের দাম ছিলো ২৫০০-২৬০০ টাকা। গত বছরের সেই পাট ব্যবসায়ীরা বিক্রি করতে পারেননি। ব্যবসায়ীরা লোকসানের ঝুঁকিতে রয়েছে। এজন্য পাট ক্রয়ে ব্যবসায়ীদের আগ্রহ কম। ফলে পাটচাষিদের লোকসান হচ্ছে, দাম পাচ্ছেন অনেক কম। বর্তমানে প্রতি মণ পাট ১৫০০ থেকে ১৭০০ টাকা বিক্রি করছে কৃষক। প্রতি বিঘায় পাট উৎপাদন হচ্ছে ৬-৭ মণ, যেখানে উৎপাদন হওয়ার কথা ১০-১২ মণ। সবমিলিয়ে পাট চাষিরা লোকসানের মধ্যে রয়েছেন


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিষয়ের আরও খবর
August 2025
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

Categories