গোলাম সারোয়ার, ব্রাহ্মণবাড়িয়া ব্যুরো প্রধান/
সাবেক বিএনপি নেতা ও ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২ (সরাইল-আশুগঞ্জ) আসনের সাংসদ উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার চারটি জানাজা অনুষ্ঠিত হলেও বিএনপির কোনো নেতাকর্মীকে জানাযায় অংশ নিতে দেখা যায়নি।
শনিবার (৩০ সেপ্টেম্বর) বিকেলে সরাইল অন্নদা স্কুল মাঠে, বাদ মাগরিব অরুয়াইল কলেজ মাঠ ও বাদ এশায় হাজী মকসুদ আলী স্কুল মাঠের জানাজায় বিএনপির জেলা-উপজেলা পর্যায়ের কোনো নেতাকর্মীর দেখা মেলেনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে ব্রাহ্মণবাড়িয়া জেলা বিএনপির আহ্বায়ক অ্যাডভোকেট আব্দুল মান্নান বলেন, উনার (সাত্তার ভূঞা) জানাজায় অংশ নিতে দলীয় কোনো বিধিনিষেধ ছিল না। বিধিনিষেধ ছিল বিবেকের। মীর জাফরের জন্য দলীয় বিধিনিষেধের দরকার নাই। তিনি দল ছেড়ে যাওয়ায় বিএনপির সব স্তরের নেতাকর্মী ক্ষুব্ধ।
বিকেলে সরাইল অন্নদা স্কুল মাঠে জানাজায় ব্রাহ্মণবাড়িয়া-১ (নাসিরনগর) আসনের এমপি বিএম ফরহাদ হোসেন সংগ্রাম, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আল মামুন সরকার, জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সম্পাদক মাহবুবুল বারী চৌধুরী, সরাইল উপজেলা চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর, নাসিরনগর উপজেলা চেয়ারম্যান ডা. রাফিউদ্দিন, সাবেক এমপি জিয়াউল হক মৃধা ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি নাজমুল হোসেন প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
এসময় সরাইল উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান রফিক উদ্দিন ঠাকুর বলেন, সকাল থেকে জানাজার কথা জানিয়ে মাইকিং করিয়েছি। বিএনপির বন্ধুরা ৩০-৩৫ বছর এ লোকটাকে লুটেপুটে খেয়েছেন। আজকে তার এ শেষ বিদায়ে আপনারা আসলেন না। তা খুব দুঃখজনক ও বেদনাদায়ক।
জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও জেলা পরিষদের চেয়ারম্যান বীর মুক্তিযোদ্ধা আল মামুন সরকার বলেন, আজকে যাদের উপস্থিত থাকার কথা ছিল তারা নেই। দীর্ঘদিন যাদের তিনি সঙ্গ দিয়েছিলেন তাদের অনুপস্থিতি বেদনাদায়ক। কেউ মৃত্যুবরণ করলে তার প্রতি ক্ষোভ থাকা উচিৎ ছিল না। তাদের উপস্থিত থাকা দরকার ছিল, শ্রদ্ধা নিবেদনের দরকার ছিল। আজকে যে ভুলটি আপনারা করেছেন, আগামীতে মানুষ হিসেবে সেই ভুলটি যেন আপনারা না করেন।
এর আগে, বেলা ১১টায় জাতীয় সংসদ ভবনে উকিল আব্দুস সাত্তার ভূঞার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শনিবার রাত ৩টা ২ মিনিটে এভার কেয়ার হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান