• ঢাকা, বাংলাদেশ রবিবার, ১৭ অগাস্ট ২০২৫, ০৯:০৩ অপরাহ্ন
  • [কনভাটার]
সর্বশেষ খবর
নওগাঁয় ব্রীজ থেকে নদীতে ঝাঁপ দিয়ে নিখোঁজ কিশোরের লাশ উদ্ধার আত্রাইয়ে ট্রেনে কাটা পড়ে যুবকের মৃত্যু নওগাঁয় র‌্যাবের অভিযানে ট্যাপেন্টাডল ট্যাবলেট সহ এক নারী আটক আশুলিয়ায় ভারতীয় জাল রুপি ও জাল টাকাসহ একজন গ্রেপ্তার  শিবগঞ্জের কৃতি সন্তান রুবেল হক নির্বাচিত ৩৬তম বিসিএস পুলিশ সার্ভিস অ্যাসোসিয়েশনের সদস্য সচিব মধ্যনগরে উঃ বংশীকুন্ডা ইউনিয়নের ৬নং ওয়ার্ডে বিএনপির আংশিক কমিটি গঠন বারহাট্টায় ২জন সাংবাদিক সংবর্ধিত সফল নারী উদ্যোক্তা তাহমিনা ইসলাম , সুঁই-সুতায় বদলে যাওয়া শত জীবনের গল্প পূর্বধলায় রেলওয়ের লিজকৃত ভূমি দখল মুক্ত করার দাবীতে দলিত সম্প্রদায়ের মানববন্ধন কেন্দুয়ায় দৈনিক দিনকাল এর উপজেলা প্রতিনিধিঃ মোহাম্মদ সালাহ উদ্দিন সালাম এর ৪৪তম জন্মদিন উদযাপন
বিশেষ খবর
কলমাকান্দা ব্যবসায়ী মালিক সমিতির নতুন আহবায়ক কমিটি গঠন ফিল্মি স্টাইলে শিক্ষককে তুলে নিয়ে মাথা ফাটাল ছাত্রদল” শিরোনামে প্রকাশিত সংবাদের প্রতিবাদে সাংবাদিক সম্মেলন  অনুপ্রবেশকারী ও সুবিধাভোগীদের বিএনপিতে স্থান হবে না আনিসুজ্জামান বাবু নেত্রকোনায় জাতীয় পরিচয়পত্র (NID) সেবা নির্বাচন কমিশনের অধীনে রাখার দাবিতে মানব-বন্ধন ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত ডিসেম্বর অথবা জানুয়ারিতে জাতীয় নির্বাচন আ.লীগের নিবন্ধন থাকবে কিনা, যা বললেন সিইসি নির্বাচন সংশ্লিষ্টদের পেশাদারত্বের সঙ্গে কাজ করতে হবে : সিইসি সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে কাজ করছে ইসি: সিইসি ব্রাহ্মণবাড়িয়ায় ১০ বছর পর সম্মেলন ঘিরে বিএনপির ব্যাপক প্রস্তুতি ষড়যন্ত্র রুখে ঐক্যবদ্ধ থেকে নির্বাচন আদায় করতে হবে: রুমিন ফারহানা
কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) : / ১৫২ জন দেখেছেন
আপডেটঃ শনিবার, ১৭ ফেব্রুয়ারী, ২০২৪

জরাজীর্ণ অবস্থা রাণীনগরের আবাদপুকুর হাটের

জরাজীর্ণ অবস্থা রাণীনগরের আবাদপুকুর হাটের

কাজী আনিছুর রহমান,রাণীনগর (নওগাঁ) :
নওগাঁর রাণীনগর উপজেলার আবাদপুকুর হাট থেকে প্রতিবছর কোটি টাকা রাজস্ব আদায় হয়। বর্তমানে সংস্কারের অভাবে সেই হাটের জরাজীর্ণ অবস্থা। বছরের পর বছর বরাদ্দকৃত নির্ধারিত অর্থের সঠিক ব্যবহার না করায় আবাদপুকুর হাটের এমন অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে বলে অভিযোগ স্থানীয়দের। ফলে প্রতিনিয়ত চরম দুর্ভোগের মধ্যে কেনা-বেচা করতে হচ্ছে ক্রেতা ও বিক্রেতাদের। দ্রুত এই জনগুরুত্বপূর্ণ ধান ও পশুর হাটটিকে আধুনিকায়ন করা প্রয়োজন বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।
সূত্রে জানা গেছে যে, রাণীনগর উপজেলার ঐতিহ্যবাহী বৃহত্তম ধান ও পশুর হাট হচ্ছে আবাদপুকুর হাট। সেই হাটে মাছ-মাংস ও সবজি বিক্রেতাদের জন্য কয়েকটি শেড নির্মাণ করে দেওয়া হলেও বর্তমানে এই হাটের মাছ ও মাংশ পট্টির শেডগুলোর টিন মরিচায় নষ্ট হয়ে গেছে। কোনটির টিন ঝড়ে উড়ে গেছে। হাট-বাজারে ঢুকলেই ক্রেতা-বিক্রেতার ভোগান্তির শেষ থাকে না। হাটের শেডগুলোর অবস্থা জরাজীর্ণ। কোথাও টিনের চালা ভেঙে পড়ে আছে, আবার কোথাও টিনের চালা নেই। ব্যবসায়ীরা পলিথিন টাঙিয়ে ব্যবসা করছে। বর্তমানে হাটের শেডগুলোর জরাজীর্ন অবস্থার কারণে বর্ষা মৌসুমে বৃষ্টিতে ভিজে আর শুষ্ক মৌসুমে রোদে পুড়ে কেনা-বেছা করতে হয় ব্যবসায়ীদের। সপ্তাহের রবিবার ও বুধবার হাটবার। সপ্তাহের বাকি দিনগুলোয় বসে বাজার। এছাড়াও হাটে একটি ব্যবহারযোগ্য গণশৌচাগার না থাকায় চরম দুর্ভোগে পড়তে হয় আগতদের। হাটে চলাচলের জন্য রাস্তা ও পানি নিষ্কাশনের জন্য খারাপ ড্রেনেজ ব্যবস্থা দুর্ভোগের মাত্রা আরো বাড়িয়ে দেয়। অথচ গত ২০২২সালে এই হাটটির ইজারা মূল্য ছিলো ৮২লাখ টাকা, যা ভ্যাট ও অন্যান্য খাত মিলে সরকার এই হাট থেকে সরকার রাজস্ব হিসেবে কোটি টাকা আয় করে আসছে। সরকারি নিয়ম অনুসারে প্রতিবছর সরকারি ইজারা মূল্যের শতকরা ১৫শতাংশ অর্থ হাটের সংস্কার, মেরামত ও অবকাঠামোগত উন্নয়নের কাজে ব্যয় করার নিয়ম। হাটের সার্বিক অবকাঠামোগত কাজে বরাদ্দকৃত অর্থ সঠিক ভাবে লাগানোর দাবী সংশ্লিষ্টদের।
মাংস ব্যবসায়ী রশিদুল শেখ বলেন, বংশগতভাবে হাটে মাংসের ব্যবসা কনে আসছি। এখানে সাতজন মাংস ব্যবসায়ী আছে। বর্ষায় বৃষ্টি শুরু হলে মাংস ভিজে যায়। অথচ আমরা ঠিকমতো হাটের টোল দিয়ে থাকি। তার মতে হাটে আসা মুরগী ও অন্যান্য ব্যবসায়ীরাও একই কথা বলেন।
হাট ইজারাদার হেলাল উদ্দিন হেলু মেম্বার বলেন, বর্তমানে হাটের শেডগুলোর অবস্থা জরাজীর্ণ। কোথাও টিনের চালা ভেঙে পড়ে আছে, আবার কোথাও টিনের চালা নেই। ব্যবসায়ীরা পলিথিন টাঙিয়ে ব্যবসা করছে। উপজেলা প্রশাসনের নিকট বিগত কয়েক বছরের হাটের ইজারা থেকে বরাদ্দকৃত যে পরিমাণ অর্থ জমে আছে সেই অর্থাদিয়েও হাটের আধুনিকায়নের কাজ করা সম্ভব। উর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ইচ্ছে করলেই হাটের এমন বেহাল দশা থেকে আমাদেরকে মুক্ত করতে পারেন।
উপজেলা প্রকৌশলী ইসমাইল হোসেন জানান, গতবছর তৎকালীন ইউএনও শাহাদাত হুসেইন স্যারের নির্দেশক্রমে উপজেলার সকল হাট ও বাজারের আধুনিকায়নের কাজের জরিপ সম্পন্ন করে জমা দেয়া হয়েছে। এরপর তিনি বদলী হওয়ার কারণে পরবর্তিতে আর কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয়নি। এই বাবদ অর্থ ইউএনও স্যারের নিজস্ব এ্যাকাউন্টে জমা থাকে এবং সেই অর্থ খরচের বিষয়ে একমাত্র তিনিই সিদ্ধান্ত গ্রহণ করতে পারেন।
উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা উম্মে তাবাসসুম বলেন, আমি এই উপজেলায় নতুন যোগদান করেছি। তাই এই বিষয়ে খোঁজখবর নিয়ে দ্রুতই পদক্ষেপ গ্রহণ করবো।


আপনার মতামত লিখুন :

Leave a Reply

Your email address will not be published. Required fields are marked *

এই বিষয়ের আরও খবর
August 2025
S S M T W T F
 12
3456789
10111213141516
17181920212223
24252627282930
31  

Categories