,,মানুষ হিসেবে প্রত্যেকেরই কিছু অধিকার আছে। এগুলো লালন করার এবং প্রয়োগ করার সার্বিক অনুমোদন আছে। এক কথায় মানবাধিকার হল সব ধরনের ভয় ও অভাব থেকে মুক্তি। এ অধিকার গুলো কউ কখনো কারো কাছ থেকে কেড়ে নিতে পারে না। এ সমস্ত অধিকার সমাজে শান্তিপূর্ণ সহাবস্থানের ক্ষেত্রে গুরুত্বপূর্ণ আবদান রাখে। এই অধিকারগুলো জন্মসুত্রে প্রাপ্ত। অর্থাৎ এই অধিকারগুলো কোন মানুষকে অর্পন করার ক্ষমতা বা সামর্থ্য কোন মানুষের নেই। এ ক্ষমতা কোন রাষ্ট্রেরও নেই। সুতরাং অধিকার অর্পনের কোন ক্ষমতা যদি কোন ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের না থাকে তাহলে অধিকার হরণ বা খর্ব করার ক্ষমতাও কোন ব্যক্তি বা রাষ্ট্রের থাকতে পারে না। তবে এই অধিকারগুলোর সংজ্ঞা কী? সধারণ ভাষায় বললে, যা কিছু মনব মর্যাদাকে সরক্ষিত করে, বিকাশিত করে ও পূর্ণাঙ্গ মানুষ হিসাবে বেঁচে থাকতে সাহায্য করে,তাই হচ্ছে মানবাধিকার। মনবসত্তর মর্যাদা_ ই হচ্ছে মানবাধিকারের মূল কথা।-১৯৪৮ সালে জাতিসংঘ কর্তৃক ঘোসিত মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রে ৩০ টি অধিকার অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ১৯৪৮ সালে ১০ ডিসেম্বর তারিখে গৃহীত হবার পর থেকে অদ্যাবধি
এই দলিলটি বিশ্বব্যাপি সমাদৃত স্বকৃত ও অনুসৃত হয়ে আসছে।সার্বজনীনতা এই দলিলটির অন্যতম বৈশিষ্ট্য
এই প্রকাশনাটি মানবাধিকারের সার্বজনীন ঘোষণাপত্রে উল্লেখিত ৩০টি অধিকারের ব্যাখ্যা প্রদান করার মাধ্যমে সহজভাবে মানবাধিকারের ধরণা সুস্পষ্ট করতে যথাযথ ভূমিকা পালন করবে বলে আশা করি।
এই প্রকাশনাটির বহুল প্রচার যেমন কাম্য তেমনি এটিও প্রত্যাশিত যে আমরা যেন অন্তর থেকে বিশ্বাস করি, মানবাধিকার সবার জন্য, সবখানে, সমভাবে প্রযোজ্য।
ইমাম হোসেন
চেয়ারম্যান আন্তর্জাতিক মানবাধিকার ফাউন্ডেশন,