নওগাঁ থেকে ঢাকায় গিয়ে লাশ হয়ে ফিরলো একই গ্রামের দুই যুবক। নিহত দুই যুবক তাদের
দরিদ্র পরিবারকে আর্থীক সহযোগীতা করতে ঢাকায় গিয়ে একটি কারখানাতে কর্মরত ছিলেন। কিন্তু ভ্যাগ্যের কি পরিহাস দু’জনই যাত্রীবাহী বাসের চাকায় পিষ্ট হয়ে দূর্ঘটনাস্থলেই মর্মান্তিকভাবে মৃত্যু বরণ করেন। নিহত দুই যুবক হলেন, নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বাগধানা গ্রামের মোশারফ হোসেন এর ছেলে রিসান (২২) ও তার প্রতিবেশি চাচাত ভাই ময়েন উদ্দিন ওরফে লোদার ছেলে জাকারিয়া (২০)।
শুক্রবার রাতে দুই যুবকের মৃত্যুর খবর শুনে গ্রাম জুড়ে শোকোর ছায়া নেমেছে,
পুলিশ ও স্থানীয় সুত্রে জানা গেছে, শুক্রবার দিনগত রাতে রিসান ও জাকারিয়া একটি চার্জার চালিত অটো-রিকশায় চড়ে ঢাকা গাজীপুর এর নাওজোর এলাকা থেকে ভোগরা এলাকার দিকে যাচ্ছিলেন। যাওয়ার পথে দূর্ঘটনাস্থলে একটি যাত্রীবাহী বাস পেছন থেকে তাদের অটো-রিকশাকে চাপা দিলে দূঘটনা স্থলেই দুই জনের মৃত্যু হয়। দূর্ঘটনার খবর পেয়ে পুলিশ দূর্ঘটনাস্থলে পৌছে প্রথমে নাম ও পরিচয় বিহীন দু’ জনের মৃতদেহ উদ্ধার করেন এবং পরবর্তীতে তাদের কাছে থাকা মোবাইল ফোনের সুত্র ধরে নিশ্চিত হয় যে, নিহত রিসান ও জাকারিয়া গাজীপুরের বগুড়া এলাকায় ভাড়া বাড়িতে থেকে স্থানীয় একটি পোশাক কারখানায় কাজ করতেন। তারা সম্পর্কে প্রতিবেশি চাচাতো ভাই এবং তাদের বাড়ি নওগাঁর মহাদেবপুর উপজেলার বাগধানা গ্রামে। পরবর্তীতে রাতেই মুঠোফোনে নিহতদের বাড়িতে মৃত্যুর খবর পৌছালে সেখান থেকে মোবাইলে ঢাকা শহরে বসবাসরত স্বজনরা খবর পেয়ে রাতেই তারা এসে মৃতদেহ দুটি সনাক্ত করেন।
এব্যাপারে গাজীপুর মেট্রোপলিটন এর বাসন থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মালেক খসরু জানান, নাওজোর এলাকায় দূর্ঘটনায় রিসান ও জাকারিয়া নিহত হওয়ার ঘটনায় নিহতদের স্বজন হুজুর আলী নামে একজন বাদী হয়ে একটি মামলা দায়ের করেছেন।
অপরদিকে শুক্রবার দিনগত রাতে মৃত্যুর খবর গ্রামে পৌছার পর থেকে আজ শনিবার সন্ধা পর্যন্ত নিহতদের বাড়িতে স্বজনদের কান্না যেন থামছে না, গ্রাম জুড়ে চলছে শোকের মাতম। সংবাদ সংগ্রহকালে মৃতদেহ গ্রামে পৌছাই নি, তবে পৌছার পর রাতেই দাফন সম্পূর্ণ করা হবে বলেই জানিয়েছেন নিহতদের স্বজন সহ স্থানীয় ইউপি সদস্য মোঃ রাশেদুজ্জামান চৌধুরী রাশেদ।